আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিমালয় কন্যা কালিম্পং

পাহাড়ের শহর কালিম্পং। ক্যাকটাস-অর্কিডের শহর কালিম্পং। তিব্বতী, সিকিমি, ভুটানী ও নেপালী জনগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক মিলনক্ষেত্র কালিম্পং। সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য শহর কালিম্পং। পাহাড়ের বিশালতা, উপত্যকার নিবিড় সবুজ গালিচা, উপত্যকা মধ্যবর্তী তিস্তা, রেলি ও রিয়াং নদীর উচ্ছ্বল ছুটে চলা এবং মৌনি কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফাবৃত চূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসুন কালিম্পং।

আদিবাসী পাহাড়ি জনগোষ্ঠির ঐতিহ্যগত আতিথেয়তা ও রহস্যময়তা এই শহরকে পর্যটকদের কাছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে। অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত কালিম্পং ভারতের অন্যতম বড় মহকুমা শহর। হিমালয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় সমুদ্র সমতল থেকে ১২৫০ মি: (৪০৯১ ফুট) উচ্চতায় শহরটি অবস্থিত। শহরকেন্দ্র ডেলো এবং ডুরপিন নামের দুটি পাহাড়কে সংযুক্ত করেছে। পাহাড়ী এলাকার অধিকাংশ বড় পর্যটন শহর যেমন শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, গ্যাংটক ও পেলিং থেকে কালিম্পং প্রায় সমান দূরত্বে অবস্থিত (২.৫-৩ ঘন্টার)।

ভ্রমণের সময়: সারা বৎসর মোটামুটি আরামদায়ক জলবায়ু থাকে। তবু কালিম্পং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারী মাস পর্যন্ত। গ্রীষ্মের মৃদুভাবাপন্ন আবহাওয়া ও পাহাড়ের গাছে গাছে নতুন কুড়ির সজ্জা এবং শরৎ ও শীতের রৌদ্রকরোজ্জল আবহাওয়া, স্বচ্ছ নীলাকাশ ও হিমালয়ের তুষারশৃঙ্গের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য স্বততই পর্যটকদের আবাহন জানায়। যেভাবে যাবেন: কালিম্পং ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশী যাত্রীদের লালমনিরহাটের বুড়িমারী চেকপোষ্ট দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করা শ্রেয়। ভারতীয় অংশের চ্যাংড়াবান্ধা থেকে শিলিগুড়ির দুই ঘন্টার দূরত্ব প্রাইভেট ট্যাক্সি অথবা শেয়ারড ট্যাক্সিতে যেতে পারেন।

অত:পর শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে প্রাইভেট ট্যাক্সি বা বাসযোগে কালিম্পং গমন। সময় লাগবে ২.৩০ মিনিট। ভাড়া ৪০-৬০ রুপি। কলকাতা হয়েও যেতে পারেন। কলকাতা থেকে কালিম্পং এর দূরত্ব ৬৪৬ কি:মি:।

কলকাতার শেয়ালদা থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দার্জিলিং মেইল নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ১২ ঘন্টা। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাস, মিনিবাস অথবা জিপ যোগে কালিম্পং যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগবে। কলকাতার উল্টোডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকেও আপনি ঘইঝঞঈ এর বাসে সরাসরি কালিম্পং যেতে পারেন। যেখানে রাত্রিযাপন করবেন: পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের একাধিক টুরিষ্ট লজ রয়েছে এখানে।

বাসস্ট্যান্ডের এক কি:মি: দূরে মেইন রোডে মর্গান টুরিষ্ট লজ, দুই কি:মি: দূরে ডুরপিন দাঁড়ার পথে কালিম্পং টুরিষ্ট লজ, এর পাশে তাশি টুরিষ্ট লজ এবং হিলটপ টুরিষ্ট লজ। সামর্থ্য অনুযায়ী বেসরকারী হোটেলের আবাসন ও বেছে নিতে পারেন। অপেক্ষাকৃত ভালো মানের হোটেল হচ্ছে- ডেকি লজ, হোটেল সিলভার ওক্স, হিমালয়ান হোটেল, জেপি লজ, কালিম্পং পার্ক হোটেল, হোটেল মাউন্টেন ভিউ প্রভৃতি। যা করবেন: নিসর্গ দর্শনের জন্য আপনি শহরের পাহাড়ি পথে উদ্দেশ্য বিহীনভাবে ঘুড়ে বেড়াতে পারেন। সাইট সিয়িং কোম্পানিগুলোর ট্যুর প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারেন।

আবার ট্রেকিংএও বেড়িয়ে পড়তে পারেন। শহরটি ভুটানীদের দ্বারা যেমন শাসিত হয়েছে তেমনি বৃটিশদের শাসনেও ছিল। আবার একসময় তিব্বতীদের সঙ্গে উল ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। তাই আপনি চাইলে বৌদ্ধ, হিন্দু ও ক্রিশ্চিয়ান ধর্মের ইতিহাস-ঐতিহ্য আবিস্কারেও বেড়িয়ে পড়তে পারেন। যা দেখবেন: অত্যন্ত আকর্ষনীয় কতগুলি ভিউ পয়েন্ট রয়েছে কালিম্পং-এ, যা দর্শন করে আপনি পরবর্তী জীবনে স্মৃতিকাতর হতে পারেন।

কলোনিয়াল বাংলো, ক্রিশ্চিয়ান চার্চ, হিন্দু মন্দির, নেপালী গুম্ফা এবং বৌদ্ধ মনাষ্ট্রির ছড়াছড়ি এখানে। উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে: গৌরিপুর হাউস, ডেলো হিল, ম্যাকফারলেন চার্চ, টসোঙ্গাঁ গুম্ফা, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, জ্যাংঢোগ পালরী ফোডাং, লেপচা মিউজিয়াম, পাইন ভিউ নার্সারী, হনুমান মন্দির প্রভৃতি। দর্শণীয় স্থানসমূহ: গৌরিপুর হাউস শহর থেকে চার কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্নকে ধারণ করে আছে বিখ্যাত গৌরিপুর হাউস। স্থানীয়ভাবে ‘চিত্রাভানু’ নামে পরিচিত। মংপু যাওয়া-আসার পথে রবীন্দ্রনাথ প্রায়ই এখানে অবকাশ যাপন করতেন।

পাহাড়ী টিলায় অবস্থিত এই শান্ত নির্জন পরিবেশে এসে রবীন্দ্রনাথের ‘চির আমি’ কবিতার সেই বিখ্যাত লাইন মনে পড়ে যাবে “তখন কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি? সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি” মনে হবে যেন আপনি রবীন্দ্রনাথের হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছেন। ডেলো হিল: কালিম্পং শহরের সর্বোচ্চ চূড়া। উচ্চতা ৫৫৯১ ফুট। অবস্থান শহরের একদম উত্তর প্রান্তে। পুরো কালিম্পং শহরের নিসর্গ অবলোকনের জন্য এটি আদর্শ স্থান।

এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার স্বর্গীয় সৌন্দর্য যেমন আপনি উপভোগ করতে পারবেন, তেমনি অন্যদিকে রেলি উপত্যকা সন্নিহিত গ্রামগুলোর শান্ত রূপ আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই মুগ্ধতা দ্বিগুন হবে উপত্যকার মধ্য দিয়ে খরস্রোতা সুন্দরী তিস্তার গড়িয়ে চলা দেখে। শহর থেকে তিন কি:মি: দূরে এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে একটি লেক। এখানে বোটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। ম্যাক ফারলেন চার্চ ১৮৯০ সালের নভেম্বর মাসে স্কটিশ মিশনারীদের দ্বারা স্থাপিত এই অপূর্ব স্থাপত্য কর্মটি কালিম্পং এর ল্যান্ডমার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতবর্ষে ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম প্রসারের লক্ষ্যে এই চার্চে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় (বোডো, নেপালী, বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী, চাইনিজ, লেপ্চা, সংস্কৃত, উর্দু ও তিব্বতী) ধর্মোপদেশ প্রদান করা হত। অপূর্ব সুন্দর স্থাপত্যের চার্চটি আপনার মন কেড়ে নিবে। টসোঙ্গাঁ গুম্ফা: দার্জিলিং জেলার সবচেয়ে পুরানো ভুটানি আশ্রম এটি যা ভুটানীদের কালিম্পং দখলের সাক্ষ্য বহন করছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে এই আশ্রমটি ১৬০০ সালের দিকে স্থাপিত। সার্জন রেনে এই মঠটিকে ‘টুসো চিম্পা’ নামে অভিহিত করেছেন।

প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বন দপ্তরের পরিচালনায় স্থাপিত ইকোলজিক্যাল মিউজিয়াম। স্থাপনকাল ১৯৯০। দর্শনার্থীদের জন্য অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান এটি। যা আপনাকে পাহাড়ের বণ্য জীবন সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করবে। নানা ধরনের প্রজাপতি, গুগরে পোকা এবং অন্যান্য প্রাণীর ছবি ও নিদর্শণের একট বিশাল সংগ্রহ এখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

জ্যাং ঢোগ পালরী ফোডাং: শহর থেকে তিন কি:মি: দক্ষিণ পূর্ব দিকে ডুরপিন পাহাড়ের চূড়ায় ১৩৭২ মিটার উচ্চতায় এটি অবস্থিত। ডুরপিন মনাষ্ট্রি নামেও এটি পরিচিত। কালিম্পং এর সবচেয়ে বড় এই মনাষ্ট্রিকে ১৯৭৬ সালে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু দালাইলামার নামে উৎসর্গ করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের গেরুয়া বসন, মন্ত্রোচ্চারণের মন্দ্র সুর, ঘন্টাধ্বনি, ধূপের ধোঁয়া এবং গোধূলির মায়াবী আলো প্রতিদিন বিকালে এখানে এক অতিন্দ্রিয় পরিবেশের সৃষ্টি করে। মন চাইলে আপনিও এই প্রার্থনা সভায় যোগদান করতে পারেন।

লেপচা মিউজিয়াম: ইতিহাস মনস্ক পর্যটকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্রস্টব্য। লেপচাদের জীবন জগত ও সংস্কৃতির নানা ধরনের লিখিত নিদর্শন ও লেপচা বাদ্যযন্ত্রের সমাহার রয়েছে এখানে। শহর থেকে এক কি:মি: দূরত্বে অবস্থিত। পাইনভিউ নার্সারী: এটি ক্যাকটাস নার্সারী নামেও পরিচিত। কালিম্পং এর পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম জনপ্রিয় কেন্দ্র এটি।

শহরতলীতে অবস্থিত এই নার্সারীতে বিশ রুপি দর্শনীর বিনিময়ে আপনি প্রায় পনের’শ ধরনের বিরল প্রজাতির অপূর্ব সব ক্যাকটাসের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। ক্যাকটাস সংগ্রহের দিক থেকে এটি এশিয়াতে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। হনুমান মন্দির: পাহাড়ের শীর্ষে স্থাপিত পঁচিশ থেকে ত্রিশ ফুট উঁচু ধাতব কাঠামোর লাল রংয়ের হনুমান দেবতার জন্য বিখ্যাত স্থানটি। এখান থেকে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। হনুমান দেবতার স্থাপনার ঠিক সম্মুখে ডান দিকে দেবী দূর্গার একটি ছোট্ট মন্দির রয়েছে।

পর্বতের শান্ত পরিবেশ, পাইন বনের মৌনতা আর ভক্তদের আনাগোনা আপনাকে জগতের সৃষ্টি রহস্য ও পার্থিব জীবনের অসারতা সম্পর্কে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করবে। উল্লিখিত স্থাপনাগুলো ছাড়াও ঔপনিবেশিক যুগের চমৎকার স্থাপনা মরগান হাউস, কালিম্পং শহরের গোড়াপত্তনের অন্যতম পথিকৃৎ ড: গ্রাহামের বাড়ি এবং সায়েন্স সিটি দেখতে ভুলবেন না। বলা বাহুল্য এই সবগুলো স্থাপনাই পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। দু:সাহসী খেলাধূলা: মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা অথবা আদিবাসী সংস্কৃতির দর্শন না পেতে চাইলেও সমস্যা নেই। আপনি যদি রোমাঞ্চ সন্ধানী হয়ে থাকেন তাহলেও আপনাকে যেতে হবে কালিম্পং শহরে।

প্যারাগ্লাইডিং, রিভার রাফটিং, ট্রেকিং, হাইকিং প্রভৃতির জন্যও কালিম্পং শহরের খ্যাতি রয়েছে। জেনে রাখা ভালো ভারতের আর কোন শহরে সম্ভবত প্যারাগ্লাইডিং এর সুযোগ নেই। আরো যা দেখবেন: শহর কেন্দ্র তথা মোটর স্ট্যান্ডকে ঘিরে রয়েছে মেলাগ্রাউন্ড, প্রতি বুধ ও শনিবারে এখানে হাট বসে। শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাডিশনাল রঙিন পোশাকে সজ্জিত হয়ে দলে দলে নারীপুরুষ হাটে আসে। এই দৃশ্য কালিম্পং এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দিবে।

মোটরস্ট্যান্ড থেকে চুক্তিতে গাড়ি নিয়ে আপনি নিকটবর্তী অন্যান্য জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান লাভা, লোলেগাঁও, পেডং, রিশপ, চারশেল ও ঘুরে আসতে পারেন। যেখানে খাবেন: বাস স্ট্যন্ডের নিকটবর্তী চায়না গার্ডেন চায়নিজ খাবারের জন্য বিখ্যাত। এদের তৈরী মেইফুন ও চিকেন ড্রামষ্টিকের স্বাদ আপনাকে বহুদিন নষ্টালজিক করবে। খোলা থাকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভারতীয় খাবারের স্বাদ পেতে যেতে পারেন শুড গার্ডেনে।

যা খোলা থাকে রাত ১০টা পর্যন্ত। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পিঠাজাতীয় খাবার মমর স্বাদ নিতে চাইলে যেতে পারেন সাগার, এভারগ্রিন, ইউনিক, শিখর, গুম্ফা ও মোহন দাজু হোটেলে। উন্মুক্ত থাকে রাত ৯টা পর্যন্ত। যা সংগ্রহ করতে পারেন: ভ্রমণের স্মারক সংগ্রহের জন্য কালিম্পং একটি আদর্শ শহর। নানান সংস্কৃতির সাংস্কৃতিক নিদর্শন রয়েছে এখানে।

মেইন বাজারে কতগুলি টুরিষ্টি শপ রয়েছে। এখানে দর কষাকষি করতে ভুলবেন না। না করলে ঠকবেন। তবে মেইন রোডে পাইকারী বাজারে নির্ধারিত দামে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এই বাজারে হাতে বানানো রুপার সামগ্রী, ট্রাডিশনাল ভুটানি বয়ন সামগ্রী, চাইনিজ ল্যাম্প, লেপচাদের তৈরী ছোড়া, মুখোশ প্রভৃতি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঋষি রোডের তাশি টাজিতে (কালার হাউস নামেও পরিচিত) অবিশ্বাস্য কম মূল্যে বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং, ওয়াল প্যানেল, কাজ করা রুমাল, হাতে তৈরী কাগজের তাস, পোর্সেলিন, কৃষ্টাল, ড্রাগন, হাড়ের তৈরী সামগ্রী পাবেন। কাপড় কিনতে আরসি মিনট্রি রোডের মাড়োয়ারী মার্কেটে যেতে পারেন। সুইস ওয়েলফেয়ার ডেয়ারীর চীজ এবং স্থানীয়দের বানানো ললিপপের স্বাদ গ্রহণ না করে কালিম্পং ত্যাগ করবেন না। মনে রাখবেন এখানে প্রস্তুতকৃত চীজ পৃথিবী বিখ্যাত। সতর্কতা: কালিম্পং ভ্রমণের জন্য বিদেশী পর্যটকদের আগাম অনুমতি নিতে হয়।

কলকাতা অথবা দার্জিলিং এর ফরেন রেজিষ্ট্রেশন অফিস বিদেশী পর্যটকদের কালিম্পং ভ্রমণের জন্য মাত্র তিনদিনের অনুমতি প্রদান করে থাকে। তাই কালিম্পং ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কালিম্পং ভ্রমণে অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য: এস টি ডি কোড ০৩৫৫২ পিন কোড ৭৩৪৩০১ তাপমাত্রা গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ২৭০ঈ, সর্বনিম্ন ৭০ঈ শীতে সর্বোচ্চ ১৫০ঈ, সর্বনিম্ন ৭০ঈ গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২২০ সেমি: প্রয়োজনীয় বস্ত্রাদি গ্রীষ্মে: হালকা সোয়েটার, শরৎ ও শীতে: উলেন পোশাক, জানুয়ারী-ফেব্র“য়ারীতে: পার্কা জ্যাকেট ভাষা গোর্খা, ইংলিশ, বাংলা, হিন্দী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।