আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবজেক্ট রিভিউ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং।

ভালো মানুষ !!!!!!! সবাই নাম শুনেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল। যা ইলেক্ট্রন নিয়ে আলোচনা করে। নামের মধ্য দিয়েই সাবজেক্ট সম্পর্কে হালকা ধারণা পাওয়া যায়।

সরাসরি চলে যাচ্ছি সাবজেক্ট রিভিউতে। সবচেয়ে পুরনো এবং প্রচলিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর মধ্যে ইইই অন্যতম আভিজাত্যের অধিকারী। আশেপাশের চারদিকে ইলেক্ট্রনিক্সের ­ বিপ্লব দেখে নিশ্চয়ই এই সাবজেক্ট পড়ুয়াদের গুরুত্ব বা চাহিদা আগ বাড়িয়ে বলে দিতে হবে না? ইলেক্ট্রিসিটি ছাড়া যদি বিশ্ব অচল হয় তবে ইইই ছাড়াও তাই। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার না থাকলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে কে শুনি? তোমার এইচএসসিতে প্রিয় বিষয় কি ছিলো? উত্তর যদি হয়ে থাকে Math বা Physics তাহলে তোমার EEE পড়া নিয়ে কোন ভয় নেই। তুমি নিঃসন্দেহে এখানে খুব সহজেইমানিয়ে নিতে পারবে।

তোমার যদি Equation Solve করতে মজা লাগে, ফিজিক্স সেকেন্ড পেপারের বিদ্যুতের চ্যাপ্টারগুলো যদি তোমার কাছে অসহ্য না লাগে, তাহলে ইইই তোমাকে হতাশ করবে না কোনদিন। সার্কিট নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে মজা লাগে? রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ, হুইটস্টোন কার্শফের অঙ্ক করতে ভালো লাগে? আবারো বলবো ইইই নাও। তোমার যদি উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকে, আর থাকে লেগে থাকার ইচ্ছা তবে তুমি ইইই পড়ে অনেক বড় কিছু করে দেখাতে পারবে। প্রকৌশলিক invention সবচেয়ে চমকপ্রদভাবে দেখানোর উপযুক্ত জায়গা হলো ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে যেমন মনে হয়, ইইই আসলে তেমন ছোট পরিসরের কোন সাবজেক্ট না।

এর পরিধি ব্যাপক, ক্ষেত্র অসীম। ইইই এর সাবডিসিপ্লিনগুল ­ো লক্ষ্য করো- 1.Power 2.Electronics 3.computar Power সেক্টরের ব্যাপারটা মনে হয় সবাই এমনিতেই বুঝতে পেরেছে। যারা বিদ্যুত উৎপাদন আর সরবরাহের দায়িত্বেথাকে। এই সেক্টরের চাহিদা বাংলাদেশেরপ্রেক ্ষাপটে এই মুহুর্তে প্রচুর। চাহিদা পুরনের জন্য প্রতি বছরই নতুন নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে।

ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনাও চলছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। আর এই সেক্টরের পুরো দায়িত্বই থাকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে। যারা নিজেকে একজন Power management engineer হিসেবে দেখতে চাও, তারা নিঃসঙ্কোচে EEE নিতে পারো। Electronics নিয়েও সবাই হালকা পাতলা কিছু জানে। Resistor, Capacitor, Inductor এসবের নাম তোমরা শুনে এসেছ।

এখনকার সময়ে তোমরা যত ডিভাইস দেখ, তার বেশিরভাগই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট দিয়ে ডিজাইন করা। স্মমার্টফোন, আইপ্যাড, নোটপ্যাড, ল্যাপটপ সবগুলোই ইলেক্ট্রনিক্সের ­ অবদান। Microcontroller ­ এর নাম হয়তোকেউ কেউশুনে থাকবে। যা রোবটিক্স নিয়ে পড়াশোনার ব্যাপক ইচ্ছা যাদের, তাদের জন্য microcontroller ­ হলো একেবারে শুরুর ধাপ। তবে হ্যা, এদিক দিয়ে আগাতে হলে অবশ্যই পরিশ্রমী আর উদ্যমী হতে হবে।

যাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বেশি, বিস্তর ইচ্ছা আছে এই rapidly runningটপিক নিয়ে পড়াশোনা করার, তার জন্য EEE'র দরজা সদা উন্মুক্ত। চাকরির বাজার নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না। শুধু বলবো EEE হলো একটা Everlasting Subject. যতদিন পৃথিবী টিকে থাকবে অতদিন এর ডিমান্ড কমবে না। দেশে থাকতে পারলে ভালো, যদি তা সম্ভব না হয়, তোমার জন্য আছে বাইরে যেয়ে পড়াশোনা করার অফুরন্ত ক্ষেত্র। দেশে বিদেশে সবজায়গাতেই তোমার সম্মানজনক অবস্থান থাকবে।

চাকরি নেই, হাজার হাজার স্টুডেন্ট হয়ে গেছে, এমন শোনা কথায় কান দিতে যেয়ো না। তোমার যদি যোগ্যতা আর মেধা থাকে, তবে EEE পড়েতোমাকে একদিনও বসে থাকতে হবে না। তুমিঠিকই তোমার Deserving পজিশনে যেতে পারবে। আর স্যালারি? এটাও বলবো না। ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই জানতে পারবে।

আমার নিজের মতামত হলো স্যালারির উন্মাদনার চেয়ে বিষয়টার প্রতি আকর্ষনথেকেই ইইই তে আসা উচিত। তোমাদের সবার জন্য রইলো শুভকামনা। যারা সত্যিকার অর্থেই ইইই পড়তে চাও, তারা যেন এই কাঙ্খিত সাবজেক্টে ভর্তি হবার সুযোগ পাও। দেখা হবে বিজয়ে... শায়খুল ইসলাম ইইই, বুয়েট - ২০১১ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.