পৃথিবীটা ঠিক গোল নয়, অনেকটা কমলালেবুর মতো। মহাবিশ্বের একটি গ্রহ হলো আমাদের এই পৃথিবী। এর রয়েছে একমাত্র উপগ্রহ, চাঁদ। আর পৃথিবীর তো প্রতিদিন বিরামহীনভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে চলা আছেই। প্রতিবেশী হিসেবে পৃথিবী পেয়েছে ৮ টি গ্রহ এবং তাদের অনেক চাঁদ।
তবে রাতের আকাশে তাকালে দেখা যায়, ঐ অনেক দূরে মিটি মিটি করে জ্বলছে আর নিভছে লক্ষ কোটি নক্ষত্র, এদেরকে আমরা অবশ্য তারা বলেই চিনি।
অন্ধকারের জন্য আমরা তো আলো জ্বেলে রাখি। ঐ দূর আকাশের গ্রহ নক্ষত্রের বুকে আর কোথাও কি কেউ আমাদের মতো আলো জ্বেলেছে? আমাদের মতো কেউ কি ভাবছে এই মহাবিশ্বে তারা ছাড়াও কেউ আছে কিনা?
এই মহাবিশ্বে আমরা কি একাই! পৃথিবী ছাড়া আর কোথাও কি আমাদের মতো কেউ নেই? তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু বলেছেন, আমরা একা নই। আমাদের মতো আরো অনেক বুদ্ধিমান প্রাণীই নাকি ছড়িয়ে আছে পুরো মহাবিশ্বে।
যদি থেকেই থাকে আমাদের মতো প্রাণী তবে তারা কেমন? খায়ই বা কি? তাদের কি আমাদের মতোই বুদ্ধি আছে, নাকি স্রেফ তারা পোকামাকড়ের মতো বা গাধার মতো বোকাসোকা।
এমনও তো হতে পারে তারা আমাদের থেকেও অনেক বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন। তবে তাদের কি ইচ্ছা করে না এই বিশ্বের কোথায় কি আছে সেটি দেখে আসার। নিশ্চয়ই তাদের এই ইচ্ছা করে। নাহলে কিভাবে পৃথিবীতে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় কিছু অদ্ভুত চেহারার জীব। চোখের পলকেই আবার তারা মিলিয়েও যায়।
তারা কি তবে ভীনগ্রহের বাসিন্দা, এলিয়েন বলে যাদের চিহ্নিত করা হয় ।
এলিয়েনরা যদি পৃথিবীতে এসে থাকে তবে কেনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে না? এর কারণটি হয়তো অজানা। তবে আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, তারা হয়তো আমাদের ভাষা বুঝতে পারে না। বা আমরা তাদের ভাষা বুঝি না । কিন্তু তাদের তো নিশ্চয়ই ভাষা পরিবর্তন করে নেবার ক্ষমতা থাকে।
অন্তত সিনেমাতে তো আমরা তাই দেখে আসছি সেই আগে থেকেই, তাই না? আসলে এগুলোর সবই কল্পনা। বিশেষ করে যারা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখেন, সেসব লেখকদের কল্পনা। আর বিভিন্ন সিনেমায় তাদের বিভিন্ন রূপে পরিচালকরা তুলে ধরেন।
আপনি স্টিফেল হকিং এর নাম শুনেছেন না ? তিনি বলেছেন, এলিয়েন আছে, অবশ্যই আছে। এতো বড়ো মহাবিশ্ব আর এতো এতো গ্রহ নক্ষত্র, ছায়াপথ, এদের মধ্যে কি কোথাও নেই এলিয়েন! তিনি বিশ্বাস করেন অবশ্যই এলিয়েন আছে।
শুধু আমরাই তাদেরকে খুঁজে পাচ্ছি না। তবে একদিন তো তাদের পাওয়া যাবেই।
আমিও সেই দিনের কথাই ভাবছি । নিশ্চয়ই আমার ভিনদেশের সেইসব লোকদের সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ হবো । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।