কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :)
যে কারনে আমার এই পোষ্টের অবতারণাঃ
মাঝে মাঝে ব্লগে ব্লগ নিয়ে পোস্ট আসে । সেখানে ব্লগের সংজ্ঞা দেওয়া হয় । সেই সংজ্ঞা ও ব্লগের ব্যবহার সম্পর্কে সেখানকার লেখা আমার কাছে মনে হয়েছে অসম্পূর্ণ । আর কোন বিষয়ে আংশিক তথ্য প্রদান করা একরকম পাঠকদেরকে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়ার মতই ব্যাপার । কারণ কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য না দিলে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তি থেকে যায় ।
আসুন দেখি সেই ব্লগিং এর সংজ্ঞা তারা যেভাবে দেয় –
ব্লগিং হচ্ছে এক ধরণের নাগরিক সাংবাদিকতা , সে হিসেবে ব্লগ একটা শক্তিশালী বিকল্প মিডিয়া , যেমন এই মাত্র একজন ব্লগার ব্যাংকে টাকা নিতে গিয়ে জাল ডলার বা টাকা পেলেন – , কোন জায়গায় আগুন লেগেছে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের মাধ্যমে , অথবা ভুমি অফিসে বা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কোন গোঁজামিল খুঁজে পেলেন , কোন একটা স্থানে ব্রীজ ভেঙ্গে পড়েছে যে দিকে একটা ট্রেন চলাচলের রাস্তা আছে , এই সব নিয়ে কি ভাবে কত টাকার নোট কার কোন কাউন্টারে পেলেন তা সেখানে থাকা অন্য গ্রাহকদের জানিয়ে প্রতিরোধের পাশাপাশি থাকলে প্রমান সহ ব্লগে সে ব্যাপারে সবিস্তারে লিখে সবাইকে সচেতন করা, আবার অফিস বা কাজের ফাঁকে দূরে থাকা ব্যাক্তি যেন আগুনের নিউজটি দেখে ওই স্থানে থাকা তার পরিজনকে ফোনে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন বা ফায়ার সার্ভিস কে জানাতে পারেন , ট্রেনটি যথা সময়ে যাত্রা বিরতি দিয়ে , জন সাধারণ এবং সরকা্রের বিরাট ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারেন , যে নিউজটি হয়তো পেপারে আসার সম্ভাবনা নেই অথবা আসলে ও তা অনেক পরে , অথবা সাম্প্রতিক বিষয় গুলোর মধ্যে দেশ বা জনগণের জন্য ক্ষতিকারক বিষয়ে পরিচ্ছন্ন ,বস্তুনিষ্ট লেখার মাধ্যেম জনগণের সচেতনতা জাগিয়ে দিয়ে এই সব প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে একত্রিত করার প্রয়াস ।
এই অংশের ব্যাখ্যাঃ এটা নিঃসন্দেহে ব্লগিং এর একটি ভালো ধারা । কিন্তু ব্লগিং এর সংজ্ঞা নয় । তাহলে এটাকে ব্লগিং বলা হত না । বলা হত অনলাইন সাংবাদিকতা ! আর যারা অংশগ্রহণ করত তাদের ব্লগার না বলে বলা হত ডিজিটাল রিপোর্টার ।
আমরা হুজুগে বাঙাল । কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য । প্রবাদবাক্য গুলো অকারনে সৃষ্টি হয় নি , কিংবা এক দিনের অভিজ্ঞতায় তৈরি নয় । এগুলো যথাযথ বলেই প্রবাদ বলা হয় , আর আজও তা টিকে আছে । একজন সাংবাদিক কোন এক জায়গায় তার ব্লগিং স্টাইল সম্পর্কে হয়তো সংজ্ঞা দিয়েছিলেন ।
আর অনেকেই সেটাকে ব্লগিং এর সংজ্ঞা ধরে নিয়ে তা অন্যকে গলধকরণ করাতে চায় । যা একটি বড়ধরনের ভুল এবং অন্যায় । কারণ অনেক নতুন ব্লগাররা এই সংজ্ঞা পড়ে ব্লগিং সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে ব্লগিং শুরু করে । অনেকে হয়তো এই গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে গিয়ে ব্লগিং এর অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজেদের সাবলীল ও পারদর্শী ব্লগিংকে টুঁটি টিপে ধরছেন ।
আসুন দেখি এবার ব্লগ এবং ব্লগিং সম্পর্কে প্রকৃত কিছু তথ্য জানিঃ ( যাদের হাতে সময় কম তারা শুধু বোল্ড করা অংশগুলিই দেখুন )
ব্লগ কাকে বলেঃ
১) ব্লগ মূলত একাধিক শব্দের ধ্বনি ও অর্থ সংযুক্ত করে গঠিত শব্দ ।
Blog শব্দটি আসে মূলত Web + Log = Weblog থেকে । যার সংক্ষিপ্ত রুপ Blog . যেখানে Web ( শব্দটি WWW = World Wide Web ) এ Log রাখা হয় । Log শব্দটির আবিধানিক অর্থ ‘’ যে কোন দৈনন্দিন কার্যাবলীর হিসাব রাখা ‘’ তাহলে শাব্দিকভাবে অর্থ করলে দাড়ায় ‘’ ব্লগ হল ইন্টারনেটে এমন একটি অংশ যেখানে যে কোন দৈনন্দিন কার্যাবলীর হিসাব রাখা হয় । ‘’
** এখন সেই দৈনন্দিন কার্যাবলীর হিসাবের মধ্যে যেমন থাকতে পারে একটা দুর্ঘটনার বর্ণনা , একটা অনিয়মের প্রতিবাদ কিংবা আপনার লেখা একটা কবিতা !
২) ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ , যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলার হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।
বেশিরভাগ ব্লগই কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়সম্পর্কিত ধারাবিবরণী বা খবর জানায়; অন্যগুলো আরেকটু বেশিমাত্রায় ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনলাইন দিনপত্রী/অনলাইন দিনলিপিসমূহ।
একটা নিয়মমাফিক ব্লগ লেখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পেজ আর এবিষয়ের অন্য মাধ্যমের লিংকের সমাহার/সমষ্টি। পাঠকদের মিথষ্ক্রিয়াময় ছাঁচে মন্তব্য করার সুবিধে-রাখা বেশিরভাগ ব্লগের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রায় ব্লগই মূলত লেখায় আকীর্ণ, কিছু কিছু আবার জোর দেয় শিল্প (আর্ট ব্লগ), ছবি (ফটোব্লগ), ভিডিও (ভিডিও ব্লগিং), সঙ্গীত (এমপিথ্রিব্লগ) আর অডিওর (পডকাস্টিং) ওপর। মাইক্রোব্লগিং-ও আরেকধরনের ব্লগিং, ওটায় খুব ছোট ছোট পোস্ট থাকে। ডিসেম্বর, ২০০৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় এগারো কোটি বার লাখেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।
** বোল্ড করা অংশটুকু খেয়াল করুন । সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে । অর্থাৎ নাগরিক সাংবাদিকরা ব্লগকে তাদের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন । ব্লগ কখনোই শুধুমাত্র নাগরিক সাংবাদিকতার জন্য তৈরি হয় নি বা শুধুমাত্র নাগরিক সাংবাদিকতার জন্য ব্যবহার করা হয় না । আর ব্লগে নাগরিক সাংবাদিকতা করতে আসা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের বলা হচ্ছে ‘’ ব্লগার ‘’ তাদেরকে কিন্তু আর সিটিজেন জার্নালিস্ট / নাগরিক সাংবাদিক বলা হচ্ছে না ।
কারণ তারা ব্লগে লিখছেন বলেই ব্লগার বলা হচ্ছে ।
নাগরিক সাংবাদিকতা ও ব্লগের মধ্যে পার্থক্যঃ
ব্লগের সংজ্ঞা তো উপরে দেওয়াই হল । এবার দেখুন তথাকথিত নাগরিক সাংবাদিকতা / ব্লগ সম্পর্কে কিছু কথা ।
১) নাগরিক সাংবাদিকতা সম্পর্কে তৌফিক ইমরোজ খালিদী ( বিডি নিউজ ২৪.কম ) যদিও সে যথেষ্ট বিতর্কিত , তবুও একজন সাংবাদিক ও অনলাইন সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বলেন ‘’ এক বছর আগে আমরা যখন আমাদের বাংলা ব্লগ নতুন করে শুরু করেছিলাম তখন ঠিক করে নিয়েছিলাম, এই ব্লগ অন্য আর পাঁচটি ব্লগের মত হবেনা। এখানে ব্লগাররা শুধুই তাদের মতামত দেবেন না, শুধুই অন্য কোন ঘটনা, কোন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন না; তারা তথ্যও দেবেন।
তারাও একধরণের সাংবাদিকতা করবেন। ‘’
খেয়াল করুন এখানে তিনি নাগরিক সাংবাদিকতা সম্পর্কে সাংবাদিকতার কথা বলেছেন , ব্লগিং বলেন নি ।
২) এখন দেখুন প্রথম আলো’তে নাগরিক সাংবাদিকতা সম্পর্কে একটা বিজ্ঞপ্তি ‘’ অনলাইনে নাগরিক সাংবাদিকতা করার সুযোগ দিয়ে চালু হয়েছে গ্লোক্যাল২৪ (http://www.glocal24.com) নামের একটি ওয়েবসাইট। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনা দ্রুত সবার কাছে তুলে ধরা যাবে এ সাইটে।
নাগরিক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে প্রতি মাসে ১০ জন লেখক ও পাঁচজন মন্তব্যকারীকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
বছর শেষে রয়েছে নাগরিক সাংবাদিকতা পুরস্কার। ‘’
৩) আরও দেখুন নাগরিক সাংবাদিকতার একটি প্লাটফর্ম ‘’ নাগরিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগণের সেবার মান উন্নয়নে পিএসটিসি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকতার ব্যাপকতা এদেশে থাকলেও নাগরিক সাংবাদিকতার বিষয়টি একেবারে নতুন। প্রত্যেক নাগরিক তার সমস্যার কথা তুলে ধরবার জন্য কোন স্থায়ি প্লাটফর্ম এদেশে আগে ছিলনা। নাগরিক কণ্ঠ সেই প্লাটফর্ম যেখানে সাধারণ মানুষ তার সমস্যার কথা জানাতে পারে।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের সাধারন মানুষের সাথে মত বিনিময় করেন পিএসটিসির পরিচালক ড. নিতাই কান্তি দাস। সভায় নাগরিক সাংবাদিকতার বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। চট্টগ্রামের সাধারন মানুষ তাদের সমস্যা, দুর্দশার কথা নিয়মিত এই পোর্টালে তুলে ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ‘’
৪) প্রথম আলোতে নাগরিক সাংবাদিকতা সম্পর্কে আরও একটি লেখা ‘’ সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা গণমাধ্যমে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এর ফলে যেকোনো ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে জানার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে, নাগরিক সাংবাদিকতার সুযোগও তত বাড়বে।
গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারের টি কে ভবনে জার্নালিজম ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (যাত্রী) কার্যালয়ে ‘নিউ মিডিয়া, নিউ হোরাইজন সিটিজেন জার্নালিজম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে দেশের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ে ৫০ জন সাংবাদিকের মতামতের ভিত্তিতে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যাত্রীর গবেষণা ব্যবস্থাপক খান মো. রবিউল আলম। এতে বলা হয়, পত্রিকায় বা ইন্টারনেটের কোনো সংবাদ পড়ে বা আশপাশে কোনো ঘটনা ঘটতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার, ইয়াহু, গুগল, এমএসএনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অন্যদের জানানোই হচ্ছে সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে, নাগরিক সাংবাদিকতার সুযোগও তত বাড়বে।
‘’
যারা ব্লগিং বলতে শুধুমাত্র নাগরিক সাংবাদিকতাই বুঝেন তাদের উচিৎ উপরে ৩ নাম্বার পয়েন্টের লিঙ্কে অথবা গ্লোক্যাল২৪ http://www.glocal24.com এ যোগদান করে নাগরিক সাংবাদিকতা করা ।
নাগরিক সাংবাদিকতা / সিটিজেন জার্নালিজমঃ
The concept of citizen journalism (also known as "public", "participatory", "democratic","guerrilla" or "street" journalism is based upon public citizens "playing an active role in the process of collecting, reporting, analyzing, and disseminating news and information." Citizen journalism should not be confused with community journalism or civic journalism, both of which are practiced by professional journalists. Collaborative journalism is also a separate concept and is the practice of professional and non-professional journalists working together. Citizen journalism is a specific form of both citizen media and user generated content.
এখানে কোথাও বলা হয় নি , যে সিটিজেন জার্নালিজম এক ধরনের ব্লগিং বা ব্লগিং সম্পর্কিত কোন কিছু ! তাহলে যারা ব্লগিং মানে হল মূলত নাগরিক সাংবাদিকতাই বুঝেন এবং ব্লগে আসা অন্যান্য পোস্টকে সহায়ক বলে থাকেন ( এমনকি এমন উদাহারন ও আসে যে , নাগরিক সাংবাদিকতা ( অর্থাৎ তাদের মতে ব্লগ) প্রথম আলো হলে , ব্লগের অন্যান্য পোস্ট নাকি উন্মাদ বা রস+আলো জাতীয় কিছু একটা সংযুক্তি মাত্র ! কতো নির্বুদ্ধিতা আর হাস্যকর উদাহারন হতে পারে এটা ! যেখানে ঘটনা কিন্তু পুরাই বিপরীত ) তারা কোন যুক্তিতে তা বুঝেন , তা আমার বোধগম্য নয় । যেখানে ব্লগিং ও সিটিজেন জার্নালিজম সম্পূর্ণই ভিন্ন ব্যাপার । এখানে যোগসূত্র শুধুমাত্র এই যে , নাগরিক সাংবাদিকরা ব্লগে লিখলে তাদেরকে ব্লগার বলা হয় । আর যারা নিয়মিত ব্লগার তারা যখন কোন সংবাদ ব্লগ আকারে লিখেন , তখন টেকনিক্যালি সেটাকে নাগরিক সাংবাদিকতা বলা গেলেও মূলত সেটি একটি ব্লগ পোস্ট ।
আশা করি এতেই প্রমানিত হয় যে , ব্লগিং মানেই এক ধরনের নাগরিক সাংবাদিকতা নয় বরং নাগরিক সাংবাদিকতাই ব্লগে চলে আসলে তাকে ব্লগিং বলে এবং ব্লগিং এর একটি ধরন বলে গণ্য হয় । আর আমি অনেক খুঁজেও কোথাও নাগরিক সাংবাদিকতা / সিটিজেন জার্নালিজম এর সংজ্ঞার সাথে ব্লগ / ব্লগিং এর সম্পৃক্ততা পাই নি । কেউ যদি পেয়ে থাকেন , নিচে কমেন্ট বক্সে সাদরে জানিয়ে যাবেন । কৃতজ্ঞ হব । অযথা কোন রকম প্রমাণ ছাড়া তর্ক না করার অনুরোধ করছি ।
ব্লগের ইতিহাসঃ
মূল প্রবন্ধ: ব্লগিং-এর ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী "ওয়েবলগ" শব্দটা জোম বার্গার ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এ প্রথম ব্যবহার করেন। শব্দটার ছোট্ট সংস্করণ "ব্লগ" চালু করেন পিটার মেরহোলজ, ঠাট্টা করে তিনি তাঁর ব্লগ পিটারমে.কম (PeterMe.com)-এর সাইডবারে ১৯৯৯-এর এপ্রিল বা মে মাসের দিকে ওয়েবলগ (weblog) শব্দটা ভেঙে উই ব্লগ (we blog) হিসেবে লেখেন। তার ঠিক পরপরই, পাইরা ল্যাবস-এ ইভান উইলিয়ামস "ব্লগ" শব্দটা বিশেষ্য এবং ক্রিয়া দুটো হিসেবেই ব্যবহার করা শুরু করেন ("ব্লগ করা", মানে দাঁড়ায় "কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া") এবং পাইরা ল্যাবের ব্লগার পণ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে "ব্লগার" শব্দটা ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন পরিভাষাটি।
উৎসকথাঃ
ব্লগিং জনপ্রিয় হওয়ার আগে, ডিজিটাল গোষ্ঠীগুলোর নানান ধরন ছিলো, ছিলো ইউজনেট (Usenet), ছিলো জিনি(GEnie), বিক্স (BiX)-এর মতো বাণিজ্যিক অনলাইন সার্ভিস, আরো ছিলো পুরনো আমলের কম্পুসার্ভ (CompuServe), ই-মেল লিস্টস আর বুলেটিন বোর্ড সিস্টেমস (বিবিএস)। ১৯৯০-এর দিকে, ইন্টারনেট ফোরাম সফটওয়্যার "থ্রেড"-এর মাধ্যমে কথোপকথন চালানোর ব্যবস্থা শুরু করে।
থ্রেড হচ্ছে একটা ভার্চুয়াল "কর্কবোর্ড"-এ বার্তাগুলোর মাঝখানের সাময়িক সংযোগের সমষ্টি।
আধুনিক ব্লগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনপত্রী থেকে, যেখানে লোকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন। এধরনের বেশিরভাগ লোকেরাই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস অথবা জুমালারস। সোয়ার্থমোর কলেজ-এ ১৯৯৪-এর দিকে পড়ার সময় ব্যক্তিগত ব্লগিং-করিয়ে জাস্টিন হল-কে অন্যতম আদি ব্লগার [৮] হিসেবে ধরা হয়, যেমনটা ধরা হয় জেরি পুমেল-কেও। ডেভ উইনার-এর স্ক্রিপ্টিং নিউজ-এরও সবচাইতে পুরনো আর সবচাইতে বেশি দিন ধরে চালু থাকা ওয়েবলগ হিসেবে খ্যাতি আছে।
প্রথম দিককার ব্লগগুলো ছিলো স্রেফ সাধারণ ওয়েবসাইটের হাতে-বানানো উন্নততর উপকরণ। তবে, সময়ের সাথে বিপরীতক্রমে পোস্ট-করা ওয়েব প্রবন্ধগুলো লেখা এবং দেখভাল করা সহজ করার জন্যে বিবর্তিত কৌশলগুলোই প্রকাশ ব্যবস্থাটা বড়সড় একটা জনগোষ্ঠীর কাছে, যারা তেমন প্রযুক্তিদক্ষ নয়, বেশ সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। এতে করেই শেষমেষ আলাদা ধরনের একটা অনলাইন প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যেটা আজকাল আমাদের চেনা চেহারার যেরকম ব্লগ সেরকমটা তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু ব্রাউজার-নির্ভর সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন ব্লগের একটা নিতান্তুই সাধারণ ব্যাপার। ব্লগ হোস্ট করার জন্যে আছে নির্ধারিত ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস, এছাড়াও ওগুলো ব্লগ সফটওয়্যার কিংবা নিয়মিত ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করেও চালানো যায়।
কিছু আদ্যিকালের ব্লগার, যেমন দ্য মিস্যানথ্রোপিক বিচ ১৯৯৭ সালের দিকে যখন ব্লগিং শুরু করে, তারা নিজেদের অনলাইন উপস্থিতির নাম দিয়েছিলো জাইন (zine)। তখনো "ব্লগ" নামের পারিভাষিক শব্দটা আজকালকার সাধারণ ব্যবহারের পর্যায়ে আসে নি।
জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
শুরুটা ধীরগতির হলেও, ব্লগিং দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৯ সাল এবং তার পর থেকেই ব্লগ ব্যবহার বাড়তেই থাকে। প্রথম দিককার কিছু ব্লগ হাতিয়ারের প্রায়-সমসাময়িক আবির্ভাব ব্যবহারটা আরো লোকপ্রিয় করে:
• ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়রি নামান, এতে করে হাজারো অনলাইন দিনপত্রী জন্ম নেয়।
ওপেন ডায়রির আবিষ্কার হচ্ছে পাঠক মন্তব্য, এটাই ছিলো প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য লেখকের ব্লগ অন্তর্ভুক্তিতে মন্তব্য করতে পারতেন।
• ১৯৯৯-এর মার্চে ব্র্যাড ফিটজপ্যাট্রিক শুরু করেন লাইভ জার্নাল।
• জুলাই, ১৯৯৯-এ এন্ড্রু স্মেলস কোন ওয়েবসাইটে একটা "খবর পাতা" রাখার বিকল্প হিসেবে জন্ম দেন পিটাস.কম-এর, এর পরপরই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯-এ আসে ডায়েরিল্যান্ড, যেখানে ব্যক্তিগত দিনপত্রীমূলক কমিউনিটির ওপর জোর দেওয়া হয়। ইভান উইলিয়ামস এবং মেগ হুরিহান (পাইরা ল্যাবস) ব্লগার.কম চালু করেন অগস্ট, ১৯৯৯-এ। (গুগল এটা কিনে নেয় ২০০৩-এর ফেব্রুয়ারিতে)।
ব্লগের প্রকারভেদঃ
১) সামাজিক ব্লগঃ সামাজিক ব্লগ হচ্ছে যেখানে বহু সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের সুচিন্তিত মতামত ও লেখনীর মাধ্যমে একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলেন।
২) ব্যক্তিগত ব্লগঃ এখানে ব্যাক্তি কোন একটি বিষয়ের উপর তার মতামত পোষ্ট আকারে তুলে ধরেন এবং পাঠকদের সাথে এর উপর মতামত আদান প্রদান করেন।
৩) কোম্পানী/প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগঃ কোম্পানী/প্রতিষ্ঠান তাদের কোন পণ্য বা সেবার উপর নতুন নতুন তথ্য প্রদান করেন এবং পাঠক তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন।
৪) মাইক্রোব্লগঃ বিভিন্ন সময়ে আপলোডকৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বার্তা এবং ছবির সমন্বয়ে তৈরি ব্লগ ।
৫) রিভার্স ব্লগঃ যেখানে অনেক ব্লগার মিলে একটি ব্লগপোস্ট তৈরি করেন ।
৬) ডিভাইস অনুসারে ভাগঃ ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কি ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে তার উপরে নির্ভর করেও শ্রেণিবিভাগ করা যায় । যেমন , মোবাইল থেকে ছবি / ভিডিও + টেক্সট সহকারে যে ব্লগিং করা হয় তাকে moblog. বলা হয় । এগুলো অনেকসময় আদালতে এভিডেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
৭) মিডিয়া টাইপঃ এর মধ্যে আছে ভিডিওব্লগ , ছবি ব্লগ , স্কেচ ব্লগ , লিঙ্ক ব্লগ ইত্যাদি ।
৮) বিভাগ অনুযায়ী ব্লগঃ
এখানে বিষয়বস্তুর উপরে নির্ভর করে ব্লগের শ্রেণিবিভাগ করা হয় ।
এর মধ্যে আছে political blogs, health blogs, travel blogs (also known as travelogs), gardening blogs, house blogs, fashion blogs, project blogs, education blogs, niche blogs, classical music blogs, quizzing blogs and legal blogs (often referred to as a blawgs) or dreamlogs , art blogs and music blogs । এমনকি মায়েদের নিয়ে আছে প্রতি মাসে ২ মিলিয়ন রিডার পাওয়া ব্লগ mom blog !
Behavior; Blogger's Code of Conduct is a proposal by Tim O'Reilly@
Take responsibility not just for your own words, but for the comments you allow on your blog.
Label your tolerance level for abusive comments.
Consider eliminating anonymous comments.
Ignore the trolls.
Take the conversation offline, and talk directly, or find an intermediary who can do so.
If you know someone who is behaving badly, tell them so.
Don't say anything online that you wouldn't say in person.
সামহোয়্যার ইন ব্লগ যে ধরনের ব্লগঃ
যেহেতু সামহোয়্যার ইন ব্লগ কোন বিষয়ভিত্তিক ব্লগ নয় সেহেতু এটা সামাজিক ব্লগ ( উপরে সংজ্ঞা দেখুন ) অথবা এটাকে কমিউনিটি ব্লগিং বলা যেতে পারে । তাই এখানে ব্লগাররা যে কোন ধরনের পোস্টই দিতে পারেন । সেটা হতে পারে একটা নিউজ , কবিতা , গল্প , ছবি ব্লগ , চিকিৎসা জিজ্ঞাসা !
তবে সামাজিক ব্লগের অনেকগুলোর উন্নত ভার্সনে ক্যাটাগরি ভাগ করা আছে । যা সামুতে নেই ।
থাকলে অনেক ভালো হত ।
ব্লগে সাহিত্যঃ
বিশ্বের সেরা ব্লগগুলির লিস্ট পাবেন এখানে
অনেকে ব্লগ নাগরিক সাংবাদিকতার উদাহারন দিতে গিয়ে অনেক সময় বিশ্বের সেরা সেরা ব্লগগুলির উদাহারন দিয়ে থাকে । তাদের কাহিনী হয়েছে হয়তো তারা প্রথম পাতা দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এখন সামুতে যখন ছাগুনিধন পোস্ট চলল আর ছাগুদের পোষ্টের মাতকারা চলছিল তখন যে কেউ সামুর প্রথম পেজে গেলে মনে করবে ইহা ছাগুতে ভরপুর । আসলে কিন্তু তা নয় ।
আবার যখন সামুতে আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক চলে তখন মনে হবে সামুতে এই ইস্যুতেই সবাই ব্লগিং করে । আসলে কিন্তু তা নয় । সামুতে অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট আসে । আসে দারুন সব গল্প কবিতা ছবি ব্লগ ।
কিন্তু আমি আশ্চর্য হই যে বিশ্বের সেরা ১০০ লিস্টে থাকা ব্লগের মধ্যে যারা ১ নাম্বারে থাকা The Huffington Post এর উদাহারন দেন তাদের তো এই ধরনের ভুল হওয়ার কথা না ।
কারণ এই ব্লগটি একটি কমিউনিটি ব্লগ কিন্তু এখানে ক্যাটাগরি ভাগ করা আছে ।
ছবিঃ
এখানে স্পষ্ট ক্যাটাগরি দেওয়া আছে । সেখানে যেমন politics আছে , আছে sport ,culture আছে comedy ও ! এখানে culture এ ক্লিক করলে পাবেন আরও কিছু বিভাগ 50 Shades of Grey Street Art / Art Review /Arts /Books /Photography /Poetry /Optical Illusions /Theatre /Theatre Reviews .
~খেয়াল করুন এখানে কবিতার যে বিভাগ আছে সে বিভাগে গেলে পাবেন ব্লগারদের পোস্ট করা কবিতা । এই ব্লগটি ব্লগের অনেক উন্নত একটা ভার্সন বলেই এখানে এভাবে বিভাগ ভাগ করা আছে । আর প্রথম পাতাটি অনেকটা আমাদের সামুর নির্বাচিত পাতার মত ।
এখন ঐ পাতায় সাধারণত হিট / হিটাকাঙ্ক্ষী পোস্ট ( যেগুলাতে ব্লগের কাটতি বাড়ে ) বেশির ভাগই রাজনৈতিক পোস্ট থাকে । তারমানে এই না যে হাফিংটন পোস্ট ব্লগ মানেই এটা একটি রাজনৈতিক ব্লগ ।
যেখানে বিশ্বের ১ নাম্বার ব্লগে সাহিত্যকে ক্যাটাগরি আলাদা করে গুরুত্ব সহকারে স্থান দেওয়া হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের এক নাম্বার ব্লগ সামুতে সাহিত্যকে কিভাবে ব্লগের মূলবিষয় না বরং ডালপালা বলে ট্যাগ দেওয়া হয় বুঝিনা । যারা এই কাজ করছেন তারা কি এই বিভাগে তাদের অক্ষমতার জন্যই হিংসিত হয়ে এই কাজ করছেন ?
এখানে আসুন দেখি সাহিত্য বিষয়ক সতন্ত্র সেরা ১০ টি ব্লগ
Literature = is the art of written work
বাংলা অর্থ সাহিত্য
এখানে থাকতে পারে বই রিভিউ , গল্প , উপন্যাস , প্রবন্ধ , কবিতা সবকিছুই । তাহলে যারা বলেন ব্লগে সাহিত্যের স্থান নেই তারা কি বলে যাবেন সাহিত্য বিষয়ক বিশ্ব সেরা এই ব্লগগুলিকে কেন ব্লগ বলা হয় ?
এখানে আসুন দেখি কবিতা বিষয়ক সতন্ত্র সেরা ১০০ টি ব্লগ
লিস্টের প্রথমে থাকা কবিতার ব্লগটি কিন্তু খোদ The New York Times,” এর ব্লগ ! তাহলে যারা বলেন ব্লগে কবিতার স্থান নেই তারা কি বলে যাবেন কবিতা বিষয়ক বিশ্ব সেরা এই ব্লগগুলিকে কেন ব্লগ বলা হয় ?
এখানে আসুন দেখি কমেডি বিষয়ক সেরা ৫০ টি ব্লগ
তাহলে যারা বলেন ব্লগে রম্যের স্থান নেই এবং রম্য লেখকরা ভাঁড় এবং ভাঁড়ামি করেন , তারা কি বলে যাবেন রম্য বিষয়ক বিশ্ব সেরা এই ব্লগগুলিকে কেন ব্লগ বলা হয় ?
অনেকে আবার এরকমও বলে থাকেন যে , সাহিত্য পোস্টগুলিতে আড্ডাবাজি হয় ।
কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন , ঘটনা কিন্তু উল্টোটা । যারা আড্ডাবাজি করে তারা যে কোন পোস্টেই করে । গল্প কবিতা লাগে না । আর আসুন আড্ডা দেই , কে কে জেগে আছেন , কিংবা এক লাইনের ফেবু স্ট্যাটাস , আক্রমণাত্মক পোস্ট এইগুলা ব্লগিং এর পর্যায়ে পরে না ।
তবে আমরা সামাজিক মানুষ , ব্লগ সামাজিক যোগাযোগের একটা ওয়েবসাইট ।
এখানে ব্লগিং করতে করতে একে অপরের সাথে এক অদৃশ্য সামাজিক বন্ধনে আটকে যাই । সে হিসেবে ব্লগে দুই এক লাইন ভালো মন্দের কথা জিজ্ঞেস করা কিংবা কেমন আছেন / ভালো আছি এই টাইপের দুই এক লাইন মন্তব্যের সাথে সংযুক্তি আমি ব্যাক্তিগতভাবে খারাপ মনে করি না । কারণ অনেকে হয়তো সব ব্লগারদের তাদের ব্যাক্তিগত সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে ( ফেসবুক / ইয়াহু / স্কাইপি / টুইটার ইত্যাদি ) মাধ্যমে প্রথমেই সংযোগ করার ব্যাপারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না । সামাজিকতা যদি সম্পূর্ণরূপেই বিসর্জন দিয়ে শুধু সিরিয়াস মন্তব্যই করি আর বলি সহমত / সহমত নই , তাহলে আর মানুষ হলাম কেন !
আবার অনেকে আছেন সাহিত্যের এরকম সংজ্ঞাও দেন যে ‘’ কেউ হয়তো দুনিয়া ঘুরে ঘুরে তার অভিজ্ঞতাগুলো ব্লগে লিখছেন, পশ্চিমে সেটাকেই 'সাহিত্য' হিসেবে দেখা হচ্ছে। ‘’
তারা কি বলে যাবেন যে কবিতা অথবা সাহিত্য কিংবা রম্য বিষয়ক ব্লগগুলিতে যে ব্লগ পোস্টগুলি লেখা হচ্ছে তা কি শুধু অভিজ্ঞতার বর্ণনাই ! ? না ।
আর গল্প , কবিতা আর রম্য সহ সাহিত্যের অন্যান্য বিভাগে কি লেখকরা অভিজ্ঞতার কথাই লিখছেন না এক অর্থে ? সাথে দিচ্ছেন কিছু কল্পনার মিশেল । আগে ব্লগগুলি সময় করে সার্ফিং করে দেখুন । তারপরে বলুন । সাহিত্য কি আগে জানার চেষ্টা করুন তারপরে সংজ্ঞায়িত করুন । আমি বলছি না যে আমি সব জানি ।
তবে যেটুকু জানি , আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞানের মধ্যে যে তথ্য/যুক্তি/উপাত্ত দিলাম তা যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করে দেখান ।
উৎসর্গেঃ যারা ব্লগ সম্পর্কে নিজেদেরকে কেউকেটা মনে করেন এবং একপেশে সংজ্ঞা প্রদান করেন । যারা বলেন ব্লগিং হচ্ছে এক ধরণের নাগরিক সাংবাদিকতা এবং এখানে সাহিত্যের স্থান নেই অথবা থাকলেও শুধুমাত্র সংযুক্তি মনে করেন । এবং অন্যকেও এই মতবাদ গলধকরনের জন্য জ্ঞান প্রদান করে থাকেন । তাদেরকে বলি , আগে ব্লগ ও ব্লগিং সম্পর্কে জানুন , বুঝুন , শিখুন তারপরে ব্লগিং করুন কিংবা অন্যকে ব্লগিং সম্পর্কে জানান এবং শিখান ।
~~~ ব্লগিং হোক মুক্ত পাখির মত । বাধাহীন , সত্য ও শান্তির । ~~~ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।