ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার কিছুদিন আগেও বাসে ট্রেনে আলোচনার সবজায়গায় বলতাম গর্বকরে সর্বদা পোষাক শিল্পের প্রসার দেখে বাংলাদেশ একদিন পৃথিবী বিখ্যাত হবে পোষাক রপ্তানীতে । কিন্তু কয়েকটি অগ্নিকান্ড ও বিল্ডিং ধস থেকে শ্রমিক নামক মানুষদের মৃত্যুর মিছিল দেখে মনে হয় আমাদের দরকার নেই খ্যাতির প্রৃয়োজন নেই জিডিপি'র বৃদ্ধি । অগুনতি শ্রমিকের প্রাণের বিনিময়ে জিডিপি বৃদ্ধি হোক চাই না । বিজিএমই তাদের স্বার্থ সংরক্ষন করে চলেছে সব সরকারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে । এতগুলো দূর্ঘটনায় কোন গার্মেন্ট মালিকের শাস্তি হয়েছে তার নজির নেই ।
বরং তাদের রক্ষাকরাই বিজি্এমই'র কাজ । তারা কথায় কথায় বলে তাদের ব্যবসায় কোন লাভ নেই .......তাহলে ঢাকা শহরে যে সব বিলাসবহুল গাড়ী দেখা যায় তা কাদের ? এমন কী প্রতিটি গার্মেন্ট মালিক নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্বের বিভিন্ন সভ্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশে স্বল্প মুল্যের মজুরীতে ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে । আর খুন হচ্ছে এদেশের আবাল বনিতা বিনিময়ে কিছু আর্থিক সাহায্য । এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুন তা না হলে অচিরেই .....বন্ধ হয়ে যাবে সস্তা পারিশ্রমিকের কারবার ।
সরকারের প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঃ
১।
প্রতিটি গার্মেন্ট মালিকের নিজস্ব ভুমিতে বিল্ডিং কোড ও শিল্প আইন মেনে সব ব্যবস্থা রেখে কারখানা তৈরী করতে হবে ।
৮। প্রতিবছর কারখানায় সরকার পক্ষের পরিদর্শন সাপেক্ষে একবছর বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উৎপাদন কার্য পরিচালনার অনুমোদন থাকবে ।
৩। কোন ভাড়া বিল্ডিং এ কেউ কারখানা স্থাপন করতে পারবে না ।
৪। লোকালয় ও জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ এলাকা ছেড়ে শহরের বাইরে অথবা বন্দর এলাকায় নির্দিষ্ট অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করতে হবে ।
৬। শ্রমিকের মজুরী হতে হবে আন্তর্জতিক মানদন্ড বজায় রেখে ।
৭।
যে কোন দূর্ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষতিপূরন বীমা ব্যবস্থা চালু থাকতে হবে ।
৮। কারখানা এলাকায় শ্রমিকদের বাসভবন তৈরী করতে হবে ।
৯। সকল শ্রম আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে ।
১০। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কর্মরত শ্রমিকের তালিকা ও মজুরী শীট শ্রম মন্ত্রনালয়ে পেশ করতে হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।