শেষ পর্যন্ত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাজেট ঘাটতি নিয়ে ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষ হয়েছে। এই অর্থবছরে সরকারকে মোট ৩৪ হাজার ৮৭৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ঘাটতি অর্থায়ন করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও নিজস্ব উপাত্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘাটতি অর্থায়নের যে হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রস্তুত করেছে, তা থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এটি অবশ্য সাময়িক হিসাব।
সরকার গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৪ দশমিক ৮০ শতাংশে রাখার কথা বলেছিল।
সে হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি হওয়ার কথা ছিল ৪৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এটি বিদেশি অনুদান বাদ দিয়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোট ঘাটতি অর্থায়নের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৫৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বিদেশি উৎস থেকে এসেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘মূল বাজেটে প্রাক্কলিত ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপির ৫ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা সামান্য হ্রাস পেয়ে দাঁড়াবে জিডিপির ৪ দশমিক ৮ শতাংশে।
এ ঘাটতি জিডিপির ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৈদেশিক উৎস থেকে এবং বাকি ৩ দশমিক ১ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মেটানো হবে। ’
২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে প্রকৃত ঋণ নিয়েছে ১৭ হাজার ৭৮৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা; যা মোট অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের প্রায় ৮০ শতাংশ।
একই সময়ে ব্যাংক-বহির্ভূত উৎস থেকে সরকার নিয়েছে দুই হাজার ৭০৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সিংহভাগই সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হিসাব অনুসারে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৭৯ কোটি ডলারের বিদেশি সহায়তা এসেছে।
অবশ্য গত অর্থবছরে দাতারা ৫৯২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর মধ্যে ঋণ ৫৩৪ কোটি ডলার ও অনুদান ৫৮ কোটি ডলার।
গত অর্থবছরে ছাড় করা বিদেশি সহায়তার মধ্যে ঋণ হিসেবে ২১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার ও অনুদান হিসেবে ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার পাওয়া গেছে।
অবশ্য ইআরডির তথ্যমতে, দাতাদের আগের দায় পরিশোধ করতে গত অর্থবছরে ১১২ কোটি ১৩ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে আসল হিসেবে ৯১ কোটি ৮১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
আর ২০ কোটি ২১ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আর তাই গত অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রকৃত বিদেশি সহায়তা পেয়েছে ১৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার; যা ঘাটতি অর্থায়নে ব্যবহূত হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।