আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মডেল কন্যা রুহী হাসনাত !!

আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! প্রথম বার রিং হওয়ার পরেই রুহী ফোন টা রিসিভ করল । আমি একটু অবাক না হয়ে পারলাম না । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত তিনটার কাছাকাছি বাজে ! এতো রাতে রুহী জেগে আছে ? কেন ? আমার যেমন ঘুম আসছে না সেই রকম ভাবে কি ওরও ঘুম আসছে না ? নাহ !! জেগে থাকতেই পারে ! এমনি তে সে ঢাকার মেয়ে ! ঘুমাতে ঘুমাতে একটু তো দেরী হতেই পারে ! রুহীর কন্ঠস্বর শুনে বাস্তবে ফিরে এলাম । রুহী বলল -এতো রাতে ? -সরি ! তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম ! -না ঠিক আছে ! আমার এমনিতেও ঘুম আসছিল না । জেগেই ছিলাম ।

ঘুম আসছিল না ? রুহী কি কোন ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত ? কোন ব্যাপার নিয়ে অস্থির হয়ে আছে ? আমার ব্যাপার নিয়ে ? নাহ !! অপু মিয়া বেশি বেশি কল্পনা করতেছ!! আউল ফাউল গল্প লিখে লিখে তোমার মাথায় কেবল এই গুলাই ঘুরতেছে । এতোই সহজ ! একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হল আর তারপরই সে তোমার প্রেমে পড়ে গেল ! মেয়েরা এতো বোকা হয় নাকি ?? মেয়েরা বোকা না হোক কিন্তু আমি তো বোকা ! আমি ঐ মেয়ের প্রেমে পরেছি । এবং ভাল ভাবেই পরেছি ! বলতে গেলে হাবুডুবু খাচ্ছি !! রুহী আবার বলল -কিছু বলবা ? -আসলে ? আমি.... রুহী হেসে ফেলল । বলল -প্যাচাচ্ছ কেন ? বল । আমি খুব বড় করে দম নিলাম ।

তারপর এক নিঃশ্বাসে বললাম -রুহী আমি তোমাকে ভালবেশে ফেলেছি ! লাইনটা বলতে মনে হয় আমার তিন সেকেন্ডেরও কম সময় লেগেছে । রুহী ঠিক মত বুঝতে পেরেছে কি না আমি জানি না ! আমি নিজের কানেই আমি ঠিক মত শুনতে পাইনি আর রুহীতো শুনতে পাবার কথাই না । বলে ফেলেই মনে হল কি করলাম ! কি দরকার ছিল ! ভালই ছিল কথা হচ্ছিল ! দেখা হচ্ছিল এখন ? আমি আর একটুও দেরি করলাম না । ফোন কেটে দিলাম সঙ্গে সঙ্গে ! তারপর বন্ধ ! আর কোন কথা নাই । নিজের গালে একটা জুতা মারতে ইচ্ছে করছে ! রুহী কি না কি ভাববে ! এমন করে কেউ কাউকে প্রপোজ করে ! তাও আবার রুহীকে ! রুহী হাসনাত ! নাম করা একজন মডেল ! ঐ মেয়ে কোন দিন আমাকে ভালবাসবে ! কোনদিন না !! যাও এতো দিন আমার সাথে টুকটাক কথা বলতো এখন তো আর বলবে না ! আমার সাথে হয়তো আর ডেখাই করবে না ।

আমার নাম্বর থেকে ফোন গেলে ফোন ধরবে না অথবা নাম্বারটাই বদলে ফেলবে ! ফেসবুক থেকে হয়তো আমাকে ডিলিট করে দিবে ! ফেসবুক !! এই ফেসবুক থেকেই রুহী হাসনাতের সাথে আমার পরিচয় ! বলতে গেলে খানিকটা হঠাৎ করেই । আমার ফেসবুকে ফ্রেন্ডের সংখ্যা খুবই কম । অপরিচিত কাউকেই আমি ফ্রেন্ডলিষ্টে যোগ করি না কিন্তু ফ্যান পেইজ মাহশাল্লাহ লাইক দেওয়া আছে হাজার খানেকের উপর । প্রতিদিন কোন যে আপডেট আছে ! এই রকম একটা পেজ থেকে রুহীকে প্রথম দেখতে পাই । পেজটা সম্ভবত কোন মিডিয়া ফটোগ্রাফারের ছিল ।

রুহীর একটা ছবি দেখলাম ! সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ পরা । আসলে আমার সব সময় সাদার প্রতি আমার সব সময় আলাদা আকটা আকর্ষন আছে ! তারপর মেয়েটা ছবির নিচে যখন লিংক দেখলাম একটু কৌতুহল হল মেয়েটার উপর । লিংক ক্লিক করেই দেখলাম রুহীর ফেবু প্রোফাইল । বেশ সিকিউর দেখলাম । কোন তথ্যই নেই পাবলিকের জন্য ।

বেরিয়েই আসব ঠিক তখনই আমার চোখে আর একটা জিনিস বাধলো ! টুডে ইস হার বার্থডে ! আজ মেয়েটার জন্ম দিন ! মেসেজ অপশন ওপেন করা আছে ! কিছুক্ষন ভাবলাম চুপচাপ ! পাঠাবো একটা মাসেজ ? না থাক কি ভাববে ? আরে কি ভাববে ! জন্মদিন ! যে কেউ উইস করতেই পারে ! এতে দোষের কি আছে ? তা অবশ্য ঠিকই আছে ! কিন্তু কি লিখে পাঠাবো ? কেবল জন্মদিনের লাইন টা ? আমি লিখলাম এক টুকরো আকাশ ছিল সাথে এক টুকরো নীল লাল সবুজের মেলা ছিল কোমল শুভ্র ঝিল ! সেই ঝিলেতে ভাসিয়ে দিলাম মনের যত ঋণ শুনতে কি পাও বলছি তোমায় শুভ জন্মদিন !! মন মত হয়েছে লাইনটা ! সেন্ড অপশনে চাপ দিয়েই দিলাম । আমি ভেবেছিলাম কাহিনী এখানেই শেষ ! ঢাকার মেয়ে ! তার উপর আবার মডেল এই মেয়ের তো হাজার খানেক ফেবুতে হাজার খানেক ফ্রেন্ড থাকবে ! আমার মেসেজ হয়তো চোকখেই পড়বে না ! আর পরলেও খুব একটা গুরুত্ব দিবে বলে মনে হয় না ! কিন্তু আমার ধারনা একটু ভুল প্রমানিত হল। সকাল বেলা আবার যখন ফেবুতে লগইন করলাম তখন ইনবক্সে একটা মেসেস দেখলাম । এবং অবাক হবার বিষয় মেসেজা টা পাঠিয়েছে রুহী ! আমি সত্যি একটু অবাক হলাম ! মেসেজে লেখা আপনার কবিতা ভাল লেগেছে । আরো ভাল লেগেছে কবিতা আমার জন্য লেখা দেখে ! ধন্যবাদ ! এতো সুন্দর রিপ্লে দেখে আমারও ইচ্ছে হল আমিও একটু মেসেজ পাঠাই ।

লিখলাম সুন্দর মানুষ কে সব সময় সুন্দর করেই বলতে হয় ! ওয়েলকাম ! আমি আমি ভেবেছিলাম এই মেসেজটারও রিপ্লে আসবে । আসলে মেয়েটা যেভাবে মেসেজের রিপ্লে দিয়েছে আর আমি যেভাবে রিপ্লে দিলাম তাতে আর একটা মেসেজ আমি আশা করতেই পারি । কিন্তু এতো জলদি আসবে ঠিক ভাবতে পারি নি ! প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেসেজ এসে হাজির । আমি সুন্দর না ছাই ! আচ্ছা আপনি কি আমাকে চিনেন ? আমি লিকখলাম ঠিক চিনি না ! তবে আপনার বেশ কিছু চমৎকার চমৎকার ছবি দেখেছি ! আপনি মনে হয় প্রিন্ট মডেল ! রুহী রিপ্লে দিল হুম ! কিছু শাড়ি আর কামিজের মডেল হয়েছি ! আমি লিখলাম সুন্দর ! আসলেই সুন্দর ! ......... ...... এভাবেই শুরু ! তারপর ফেবুতে রিকোয়েষ্ট পাঠানো ! চ্যাটিং তারপর ফোনে আলাপন । সবার শেষে দেখা ! মাজর ব্যাপর হল রুহীর বাসা মুহাম্মদপুরেই ! মুহাম্মাদ পুরের লালমাটিয়াতে ! একদম আমার বাড়ির কাছেই ! প্রথম আমাদের দেখা হল ।

একদম হঠাৎ করেই । ক্লাস ছিল । বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়েছি বাসের জন্য ! হঠাৎ পেছন ঠেকে আমার কাধে কারো হাতের ছোয়া পেলাম । পেছন ফিরে দেখি রুহী দাড়িয়ে ! আমি প্রথমে ঠিক মত চিনতে পারি নি ! আসলে যখন মডেলিংয়ের ছবি তোলে তখন তো হাজারও রকমের মেকআপ দেওয়া থাকে তাই আসল চেহারা খুব একটা ফুটে ওঠে না । কিন্তু বাস্তবের জীবনে তো আর সেরকম হবে না ।

রুহী মনে হয় আমার মনের কথাটাই বুঝে ফেলল । বলল -কি চিনতে কষ্ট হচ্ছে ? পিসি স্ক্রীনে দেখা চেহারার মত সুন্দর লাগছে না, তাই না ? আমি লজ্জা পেয়ে একটু হাসলাম । -আরে না । কি যে বল ? তুমি এমনিতেই সুন্দর ! তোমাকে এভাবে এখানে আশা করি নি । তাই একটু অবাক লাগছে ! -কেন ? আমি তো এখান থেকেই বাসে উঠি প্রতিদিন ।

-আমি অবাক হয়ে বললাম -তুমি বাসে চলাচল কর ? আমার থেকেও রুহী বেশি অবাক হয়ে বলল -কেন ? বাসে ছাড়া আর কিসে চলাচল করবো ! প্রতিদিন যদি রিক্সা বা সিএনজি তে করে ভার্সিটিতে যেতে হয় তাহলে তো আমার খবরই হয়ে যাবে ! -খবর ? -না না ! আমার খবর না আমর বাবার পকেটের খবর হয়ে যাবে ! হাহাহাহা ! আমি সত্যি একটু অবাক হলাম । মেয়েটাকে প্রথম যেরকম ভেবেছিলাম মেয়েটা একদমই সে রকম না ! একদম আমাদের মতই ! এভাবে প্রায়ই দেখা হত । কথা হত ! একদিন আমাকে ওকে স্টুডিও তে নিয়ে গেল । কোন একটা সেলোয়ার কামিজের মডেলিং ছিল মনে হয় । ও বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছিল ! আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছিল ! আমিতো কেবল ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম ।

আমি যে ওর প্রেমে পরেছি অনেক আগেই বুঝতে পারছিলমা । কিন্তু গতকাল ব্যাপারটা আমার কাছে আরো স্পষ্ট করে ধরা পড়লো ! গতকাল আমাদের একসাথে রবীন্দ্রসরবরে যাবা কথা ছিল । কি একটা প্রোগ্রাম নাকি হবে । আমাকে বলেছিল পাঞ্জাবী পরে আসতে ! তাহলে নিশ্চই ও শাড়ি পরে আসবে ! শাড়িতে ওকে এর আগে ছবিতে দেখেছি । বাস্তবে দেখি নি ! আজকে দেখবো ! আমাকে বলেছিল বাস স্টেন্ডেই দাড়াতে ।

আমি ওর জন্যওয়েট করছিলাম । ঠিক সময়ে ও এসে হাজির ! শাড়িতে ! ও মাই গড !! মেয়েদের খুব বেশি সাজাগোজা আমি পছন্দ করি না । কিন্তু আমি রুহীকে দেখে বলতে গেলে একদম মুগদ্ধ হয়ে গেলাম । রুহী হালকা খয়েরী রংয়ের কাজকরা করা একটা শাড়ি পরেছে ! হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি ! সাথে হাত মেহেদি ! বেশ গাঢ় করেই মেহেদি দেওয়া ! কপালে লাল টিপ আর ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক ! আর চোখে হালকা করে কাজল দেওয়া ! চোখের পাতার উপর আবার কালার করা ! একে কি বলে কে জানে ? চুপ সম্পুর্ন ভাবে বাধে নি । কিছুটা বাধা আবার কিছুটা ছাড়া ! চুলে দুটো রক্তজবা গোজা ! আমি অনুভব করলাম আমার বুকের ভিতর একটা তোলপাড় শুরু হয়েছে ।

রুহী আমার কাছে এসে বলল -কি ? -কিছু না । ওর সাথে যখন রিক্সায় উঠলাম মনে হচ্ছিল যেন আমি সব থেকে সুখি একজন মানুষ ! চারিপাশে লোকজন কেমন করে যেন তাকাচ্ছিল আমাদের দিকে । এতো দিন কেবল আমি দেখে গেছি এমন করে আজ মানুষ আমাকে দেখছে ! আর মনে মনে ঈর্ষার জ্বলছে । এর থেকে আন্দের আর কি হতে পারে ? কোথায় কি প্রোগ্রাম হচ্ছিল আমার কিছু ক্ষ্যাল ছিল না । আমি কেবল রুহীকেই দেখছিলাম ।

অন্য কিছু আমার চোখেই পরছিল না । আর বাসায় আসার পর থেকে শান্তি পাচ্ছিলাম না কিছুতেই । ঘুমও আসছিল না । তাই বলেই দিলাম । লাইনটা বলেই ফোন বন্ধ ! প্রথম প্রথম একটু বুক ধড়ফড় করলেও এখন অবশ্য শান্তিই লাগতেছে ! যাক !! বলে ফেলেছি ভাল করেছি ! কিন্তু ও যদি না করে দেয় ? তাহলে ? এইটা তো একটু চিন্তার বিষয় !! সকাল বেলাতেও ফোন বন্ধই রাখলাম ।

ভার্সিতে যারার কথা ছিল তাও গেলাম না । এমন কি একটা বার পিসিও অন করলাম না ! রুহী কি মেসেজ পাঠিয়েছে কে জানে !! বিকেল বেলা একটু বের হতে হল । বাসায় কিছু খাওয়ার ছিল না । নিচে গিয়ে নাস্তা খেতে হবে । আমি গেট দিয়ে বের হব ঠিক এই সময় আমার মনে হল আমি একটু ভুল দেখছি ।

কারন রিক্সা করে দেখলাম রুহী আসছে ! মুখটা একটু গম্ভীর ! আমি মনে মনে বললাম এটা হতে পারে না । রুহী আমার বাড়ির ঠিকানা কই পাবে ? আমি ঠিক করে তো কোন দিন বলি নাই । নিশ্চই অন্য কেউ হবে ! কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গলো যখন রিক্সাটা আমার সামনে এসেই থামলো ! থামতেই পরে ! কিন্তু রিক্সার আরহী যখন বলল -রিক্সায় উঠে বস ! তখন আর বুঝতে বাকী রইলো না যে রুহীই ! আমি একটু অবাক হয়ে রুহীর দিকে তাকিয়ে ! ভাবছি এই মেয়ে আমার বাড়ি চিনল কিভাবে ? আশ্চার্য বিষয় !! -কি হল ? কথা কানে যায় না ? রিক্সায় উঠতে বললাম না ? আমি আরো অবাক হলাম রুহীর কন্ঠস্বর শুনে ? এই আমাকে ধমক দেয় ক্যান ? রুহীর সাথে আমার পরিচয় প্রায় চার মাসে মত । কোন দিন একটু জোরেও কথা বলে নি ! আর আজকে কি হল ? তখনই আমার কাল রাতের কথা মনে হল ! অপু মিয়া তুমি ফান্দে পরছো ! এতো দিন সে তোমার বন্ধু ছিল তাই কন্ঠস্বর ছিল এক রকম ! আর কালকে তুমি যেই কামডা করছো কন্ঠস্বর কি আগের মত থাকে ?? না মামা না !! আমি আর একবার ধকম খাওয়ার আগেই রিক্সায় উঠে বসলাম । রিক্সা য়ালা কে মনে হয় আগে থেকেই বলা ছিল রিক্সায়ালা রিক্সা ঘুড়িয়ে চালাতে শুরু করলো ! কিন্তু মনের ভিতর একটা প্রশ্ন রয়েই গেল ! রুহী আমার বাড়ি চিনলো কিভাবে ? আমি রুহীকে বললাম -তুমি আমার বাড়ি চিনলে কিাভবে ? কিন্তু রুহী আমার কথার জবাব না দিয়ে বলল -কালকে রাতে ফোনে তুমি কি বলল? আমি আরো অবাক হলাম ! এই মেয়ে এতো জোর গলায় কথা বলা শিখলো কিভাবে ? আমি খানিনটা নিচু স্বরে বললাম -আর কোন দিন বলব না ! -আর তারপর ফোন বন্ধ কেন ? আমি আবার বললাম -আর কোন দিন ফোন বন্ধ করবো না ।

-ফেসবুকে কতগুলো মেসেজ পাঠাইছি তোমাকে ? -বিশ্বাস কর আমি আর কোন দিন ফেসবুক খুলবো না ! -আরে ধুর ! কাল রাতে কি বললা আবার বল ! -আমি.....। -বল ! আমি আবার একটু দম লিলাম । এবার রুহী একটু ধমক দিয়েই বলল -বল আমি আবার কালকের মত মুখস্ত বলার মত করে করে বললাম -আমি তোমাকে ভালবাসি ! রুহী আমার দিকে তাকিয়ে বলল -কালকে এটা বলেছিলে ? ঠিক আছে এটাতেও চলবে ! এখন আমাকে বল কালকের সাজ গোজ দেখে আমার প্রেমে পড়েছ নাকি .... -না বিশ্বাস কর আমি অনেক আগে থেকেই..... -তাহলে এতো দেরি করলে কেন বলতে ? আর এমন ভাবে বললে যেন মুখস্ত বলতেছে ! এ ফর অ্যাপেল বি ফো বল ! একটা মেয়েকে প্রোপজ করতেছ একটু সুন্দর করে করতে হয় ! তার উপর আবার মোবাইল বন্ধ ! এমন মেজাজ গরম হচ্ছিল না তোমার উপর !! আমি চুপ করে রইলাম ! রুহী আবার বলল -শোন এখন আমরা লেকপাড়ে যাচ্ছি ! ওখানে আমার একটা খুব পছন্দের জায়গা আছে । সেখানে গিয়ে তুমি আমাকে খুব সুন্দর করে প্রোপজ করবা ! মনে থাকবে ? -হুম ! -হুম ! কি ? -থাকবে ! রুহী একটু হাসলো ! সুন্দর করেই হাসলো ! বলল -যদি সুন্দর করে প্রোপজ না করতে পারো দেখো সারা জীবন তোমার কপালে দুঃখ আছে ! আর কিছু বলার আছে ? -হুম ! -কি ? -তুমি আমার বাসার ঠিকানা কিভাবে পেলে ? রুহী কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হেসে ফেলল । বলল -আমি তোমাকে এতোক্ষন কি বললাম সেটা নিয়ে তোমার টেনশন নাই ! তোমার বাড়ির ঠিকানা কিভাবে পেলাম সেটা নিয়ে তুমি চিন্তিত ।

আরো একটু হেসে বলল -পন্ডিট কোথাকার ! নিজের ফেসবুক ইনফোতে যে নিজের ফ্লাট নাম্বার পর্যন্ত দেওয়া আছে সে ক্ষ্যাল আছে আরে তাই তো !! আমার তো মনেই ছিল না । রুহীর কথা শুনে আমি একটু হাসলাম । ঠিক তখনই আমার মনে হল আমরা লেকের খুব কাছে চলে এসছি ! এখনই আমাকে আবার প্রোপজ করতে হবে ! তাও আবার সুন্দর করে !! কিভাবে ??? কাল ফোনেই বলতে গিয়েই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল ! আজ সামনা সামনি কিভাবে বলবো ?? আম্মু !! আমাকে বাঁচাও !!!!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।