আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে পাড়ি জমিয়েছি বিদেশে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে। আসলেই কি জ্ঞান বাড়ছে, নিজেকেই প্রশ্ন করি মাঝে মাঝে !! আজ সামু যেন জামাতীদের। বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করেছেন। তাদের খুশি যেন ইদের খুশিকেও হার মানিয়েছে।
বিশ্লেষন করতে গেলে পদত্যাগের বিষয়টিতে তাদের খুশি হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণই নেই। খুশির কারণ হত যদি প্রমাণ হত তিনি আওয়ামী নীতিনির্ধারকদের কথায় বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। কিংবা "সাক্ষী প্রমাণে মনে হচ্ছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো আসলে ফলস" এ জাতীয় আলোচনা থাকলে।
বিচারপতি নিজামুল হক এর সাথে বেলজিয়াম প্রবাসী আইনজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এর আলোচনায় এমন কিছুই প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি, যা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে কিংবা করতে পারে। সর্বোপরি এমন হাজারটা বিচারপতি পদত্যাগ করলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অপকর্মের সাক্ষী বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষতো আর মিথ্যা হয়ে যায়নি।
জামাত শিবিরের লোকজন নিজেরাও জানে তাদের শীর্ষ নেতারা কতটা নির্মম ও ভয়ংকর ছিল ১৯৭১ এ। সেদিন এক ব্লগার একটি পোস্ট দিয়েছিল জামাত শিবিরের ব্লগারদের উদ্দেশ্য করে। কিন্তু জামাত শিবিরের লোকজন পোস্টটি এড়িয়ে গেছে দেখলাম। কেন? এড়িয়ে যাবার কারণ কি ? এড়িয়ে যাওয়া থেকে কি প্রমাণ হয় ?
পোস্টটি - Click This Link
নিজামূল হক হাইকোর্টের একজন বিজ্ঞ বিচারপতি যা আমরা তার অতীত বিচার পক্রিয়া থেকে জেনেছি দেখেছি। তিনি ড: জিয়াউদ্দীন এর সাথে কথোপকথনকে "ঠিক হয়নি" মনে করায় নিজের শাস্তি নিজেকেই দিয়েছেন।
এটি মূলত তার সততা ও সাহসিকতার প্রমাণ বহন করে।
তবে বিষয়টি নিয়ে এর বেশি কথা বলার সময় আসেনি এখনো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।