ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না বন্ধুদের কাছে শোনা এবং নিজের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় শেয়ার করছি যা আপনার জন্য হেল্পফুল হতে পারে: ১. উত্তর-পূব এলাকার চাইনিজরা দক্ষিণ এলাকার চাইনিজদের তুলনায় অনেক ভাল মনের অধিকারী. দক্ষিণাংশের বিশেষ করে গুয়াংজুর চীনারা অনেক বেশি চালু/ ঝানু মাল. পক্ষান্তরে উত্তর-পূব (HEI-LONG-JIANG, JI-LIN, LIAONING প্রদেশ) এলাকার লোকরা অতিথিপরায়ণ এবং সরল. উত্তর-পূব এলাকার দীর্ঘকায় স্বাস্হ্যবান চাইনিজরা ওরা নিজেরাই দক্ষিণ এলাকার খাটোকায় হালকা গড়নের চাইনিজদের পছন্দ করে না কারন ওরা তুলনামূলকভাবে বেশি কৃপণ, মিথ্যে বলায় উস্তাদ, এককথায় বেশি চালাক. ২. আমরা কোন কপোত-কপোতীকে একসাথে দেখে কথা বলার সময় একটু হিসেব করি, সিঙ্গেল থাকলে সে ঝামেলা নেই. চাইনিজ পোলাপাইনরা এমনভাবে চলে যে বোঝা যায় না ....সাথের ছেলেটি বয়ফ্রেন্ড/স্বামী নাকি নরমাল ফ্রেন্ড. এটা বোঝার একটা উপায় হল, দেখতে হবে ছেলের হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ আছে নাকি ! কারন এদের নিয়ম মেয়েরা খালি হাতে চলবে আর ছেলেরা তার ব্যাগ বহন করবে. ৩. সামাজিক যোগাযোগের সাইটে বা যেখানেই হোক চাইনিজ মেয়েদের ছবি দেখে তাদের ব্যাপারে কোন ধারনা পোষণ করা যাবে না কেননা উহা ফটুশপে সুন্দর করা নয়! একেবারে মেকআপ নিয়ে করা. এরা ১টা ছবির জন্য স্টুডিওতে গিয়ে ১০০ ইউয়ান/ ১৩০০ টাকা খরচ করে. ৪. চাইনিজরা কোন এ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে লেট করা খুব্বি অপছন্দ করে, এক্কেবারে অন-টাইম. ৫. ছেলেদের সাথে চলাফেরার ক্ষেত্রে চাইনিজ মেয়েদের মধ্যে কোন জড়তা নাই বিশেষকরে বিজনেস রিলেটেড যারা আছে তাদের ব্যবহার এমন যেন সে আমার না জানি কত দিনের চেনা. এরা শিশুকাল থেকেই এমন পরিবেশে বড় হয়েছে যে একটা মেয়ে আর একটা মেয়ের সাথে যেভাবে মিশে তেমনি ছেলের সাথেও সহজভাবে মিশতে পারে. ৬. এরা অনলাইনই হোক আর অফলাইনই হোক কথা বলার সময় কোন সিগনাল না দিয়েই হঠাৎ করেই বিদায় নেয়. মজার বিষয় হল স্বল্প পরিচয়েই চ্যাট করার সময় লাল গোলাপের আইকন পাঠায় কোন বাছ-বিচার না করে যেমন- ছেলেও ছেলেরে পাঠায়. ৭. কথা বলার সময় ওদের মুখ থেকে দূর্গন্ধ বের হলে আপনার হয়ত মনে হতে পারে মদ্যপান করেছে>>>> আসলে তা নয়, ওরা ব্রাশ করে না এবং গোসলের ক্ষেত্রেও অনিয়মিত হওয়ায় ওদের শরীর থেকেও দূর্গন্ধ আসে. ৮. পরিচয় হতে সময় লাগে কিন্তু ওদের মুখে বন্ধু ডাক শুনতে টাইম লাগে না. কেউ কেউ ফরেনারের সাথে দেখা হওয়া মাত্রই (ফং-ইঅ) বন্ধু বলে ডাকা শুরু করে. ৯. একান্ত বাধ্য না হলে কখনও ঠান্ডা খাবার খায় না, গরম গরম খেতে অভ্যস্ত. ১০. বক্তৃতা দেওয়াকালীন সময়ে চাইনিজদেরকে কোন প্রশ্ন করলে ঐটার উত্তর দিতে পারুক বা না পারুক ....খেই হারিয়ে ফেলে,বক্তৃতার পরের অংশ ভুলে যায়. এটা যেমন ছাত্রদের থিছিছ ডিফেন্সের সময় প্রযোজ্য তেমনি দোকানদারদের ক্ষেত্রেও. কথার মাঝে কথা বা এক কাজের ভিতরে আর একটা ঢুকিয়ে দিলে এদের সার্কিটে গন্ডগোল দেখা দেয়. চাইনিজরা একটার পর একটা কাজ সূচারুরুপে করতে পারলেও একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে না. ১১. গরম হোক শীত হোক চাইনিজ ছেলেরা সবসময় কেডস্ পড়বে অবশ্য মেয়েদের ক্ষেত্রে দুটোই দেখা যায় এবং এদের সাথে একটি ব্যাগ সবসময় থাকবেই, হোক সেটা কোমড়ে বা পিঠে বা বুকে...... তাতে একটা পানির বোতলও থাকবে. ১২. অফিস থেকে সরবরাহ করা ড্রেসের কোন সিস্টেম না থাকলে ওরা সব সময় টি-শার্ট পড়বে. আমাদের দেশের অফিসগুলোর মত কোন নিয়ম নাই যে গরমের দিনেও ক্যাটস্ আই/ ওয়েসটেকস্ এর ফুল হাতা শার্ট মাঞ্জা মেরে পড়তে হবে! ওরা যে পোশাকে আরাম বোধ করে সেটা পড়েই অফিস/ ক্লাসে যায়. অথচ আমাদের দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও ক্লাসে টি-শার্ট পড়া এ্যালাউ করে না. ১৩. এরা কাজ যা করার দিনের বেলা করবে, নাইট ডিউটি পছন্দ করে না কেননা আরলি টু বেড....আরলি টু গেটআপে বিশ্বাসী. ১৪. এরা টয়লেটে পানি ব্যবহার করে না... জাস্ট টিস্যু. ১৫. এরা ঠান্ডা মাথার, সহজে রাগে না তবে রাগলে হুঁশ থাকে না এবং কারো সাথে রাগারাগি হলে মনের মধ্যে সেটা অনেকদিন পুষে রাখে. ১৬. লেনদেনের ক্ষেত্রে যে এ্যামাউন্ট ফিক্সড্ করা আছে সাধারনত তার চেয়ে ১ পয়সা কমও নেবে না.....আবার কাজ শেষে সাধারনত বকশিষও দাবি করে না. ১৭. কোন ফরেনারের মুখ থেকে যদি একটা চাইনিজ শব্দ বের হয়! সাথে সাথে অভিনন্দনসূচক কিছু ডায়ালগ মারা শুরু করে.... যেমন- থাই হাও লা, পু-ছুঅ, থিং হাও, চিন-পু হেন হাও. ফরেনারের সাথে পরিচিত হওয়ার সময় সব চাইনিজই কিছু কমন প্রশ্ন করে যার মধ্যে বয়স কত? BF/GF আছে কিনা? বেতন কত? এপ্রশ্নগুলি যে অস্বস্তিকর এটা ওরা বুঝতে পারে না. আমি এই কমন প্রশ্নগুলির উত্তর চাইনিজ ভাষায় মুখস্ত করে রাখছি, সব জায়গায় কপি পেস্ট করি. কিন্তু মাঝে মাঝে বিপদ ঘটে কারন অনেকের প্রশ্নের ধরন এমন হয় যে বুঝে উঠতে না পেরে এক প্রশ্নের উত্তর অন্যটাতে পেস্ট করি. এধরনের ঘটনা নিয়ে আপনাদের একটা জোকস্ বলি- জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী ওয়াশাংটনে যাওয়া উপলক্ষে কিছু ইংরেজি শিখেছে. এরপর যখন ওবামার সাথে দেখা হইছে তখন জিজ্ঞেস করছে: হু আর উই! ওবামা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে উত্তর দিছে: আম হাজব্যান্ড হয় মিশেল ওবামা তখন জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী বলছে: মি ঠু!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।