আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূতের অস্তিত্ব ( ষষ্ঠ খণ্ড )।

প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। আমাদের শরীর যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে,যদি সেই পরিমাণ শক্তি আমাদের শরীরে সরবরাহ হয়, তাহলে আমাদের শরীরের ওজন নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু আমাদের শরীর যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশী পরিমাণ শক্তি আমাদের শরীরে সরবরাহ হলে,এই অতিরিক্ত শক্তি আমাদের শরীরে চর্বির আকারে জমা থাকে। ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই শরীর আবার বেশী কাজ করে শক্তির ব্যবহার করলে শরীরের ওজন আবার কমে যাবে।

তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র- শক্তি সৃষ্টি করা যায় না। শক্তি ধ্বংস করা যায় না। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র- এনট্রপি ধ্বংস করা যায় না,কিন্তু এনট্রপি সৃষ্টি করা যায়। ক্লোজড্‌ সিস্টেম কিন্তু আইসোলেটেড সিস্টেম নয়। কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস হিট রেডিয়েশান শোষণ করতে পারে।

কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস উত্তল লেন্সের মতো কাজ করতে পারে। হাইড্রোজেন গ্যাস বিদ্যুৎ শক্তি জমা করতে পারে। শব্দ শক্তি হলো গতি শক্তি। শব্দ শক্তিকে ধ্বংস করা যায় না। কিন্তু শব্দ শক্তিকে বাতাস শোষণ করতে পারে এবং সবশেষে শব্দ শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

বিদ্যুৎ শক্তি তাপ শক্তি এবং আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। আলোক শক্তিকে ধ্বংস করা যায় না। কিন্তু দেওয়াল,ছাদ,মেঝে এবং অন্যান্য বস্তু আলোক শক্তিকে শোষণ করতে পারে। ক্লোজড্‌ সিস্টেমে ভরবেগের কোন পরিবর্তন হয় না। ক্লোজড্‌ সিস্টেমে শক্তি স্থির থাকে না।

হৃদযন্ত্রের স্পন্দন থেমে গিয়ে আজকাল মারা যাচ্ছেন অনেক মানুষ। কি হচ্ছে সেখানে? রক্তনালীতে জমছে কোলেস্টেরল। সরু হয়ে আসছে রক্তনালী। রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেগ যেখানে বেশী,চাপ সেখানে কম এবং বেগ কম হলে চাপ সেখানে বেশী হয়।

উপরের আলোচনা থেকে- কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। সিস্টেম এবং পরিবেশের মধ্যে চাপের তফাৎ থাকলে তবে সিস্টেম কাজ করতে পারবে। অর্থাৎ মেকানিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে থাকলে কাজ করা যাবে। সিস্টেমের মধ্যে চাপ,তাপ এবং আয়তন এই তিনটি প্রোপার্টি থাকে। যে কোন একটি প্রোপার্টির পরিবর্তন হলে সিস্টেম এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যাবে।

সিস্টেম পরিবর্তন কোন একটি প্রসেসের মাধ্যমে হয়। মানুষের শরীরে ভর বা অক্সিজেন গ্যাসের প্রবেশ বন্ধ হলে, মানুষ কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট থেকে কেমিক্যাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে চলে যায়। বয়েলের সূত্র বলছে- স্থির উষ্ণতায় কোন নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন,গ্যাসটির চাপের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়। ভরের আদান প্রদানের সাথে সাথে শক্তির আদান প্রদান বন্ধ হয়। শরীরের ভেতরে চাপ বেড়ে যায়,ফলে স্থির উষ্ণতায় আয়তন কমে যায়।

পীড়ন বলের আবির্ভাব হয়। যেহেতু সিস্টেম এবং পরিবেশের মধ্যে চাপের তফাৎ আছে ,সেহেতু ব্রেন তখনও কাজ করে এবং চাপের ফলে ব্রেন ওয়েভ ব্রেন থেকে বের হয়ে বাতাসে আইসোবারিক প্রসেসে এবং অপ্রত্যাবর্তক প্রসেসে মেকানিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম সিস্টেম অর্থাৎ ক্লোজড্‌ সিস্টেম গঠন করে। ভূত তার শরীরের আয়তনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এখানে চার্লসের সূত্র প্রয়োগ হয়। ভূতের শরীর ভেদ করে বৃষ্টির জল যেতে পারে,তাতে শরীরের কোন পরিবর্তন হয় না।

ভূতের শরীর কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস,হাইড্রোজেন গ্যাস দিয়ে তৈরী। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।