আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারপতি নিজামুল এর স্কাইপ হ্যাকের পেছনে আভ্যন্তরীণ কোন্দল!!

এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় জাসদ আর চিনাবাদাম দের বিশ্বাস নাই। স্কাইপ যারা ব্যবহার করেন তারা মাত্রই সহজে বুঝা কথা স্কাইপের আলোচনা বা যেকোন ভয়েস চ্যাট সাধারনত হ্যাক করার কিছু নাই। কিন্তু সেটা রেকর্ড করা যায়। বিচারক নিজামুল হক কার সাথে কথা বলেন সেটা নিশ্চয়ই সবার জানার কথাও নয়। বিচারকদের ব্যাক্তিগত লাইফ আছে,ওনারা কার সাথে কথা বলেন,কোথায় যান সেটা খুব কাছের মানুষজন ছাড়া জানার কথাও নয়।

তিনি এক্সপার্ট মতামত/পরামর্শ কার কাছ থেকে নেন সেটা একমাত্র তিনি ও তার ইনার সার্কেলের দুই-এক জন ছাড়া কেউই জানা'র কথা নয়। আলোচনার স্বর্থে যদি ধরেও নেই যে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোন হ্যাকার বিচারপতির স্কাইপ আইডি হ্যাক করে তাদের কথা বার্তা রেকর্ড করেছেন,তাহলে সাথে সাথেই কয়েকটা প্রশ্নটা মাথায় আসে; ১. বিচারপতি নিজামুল হক বিশেষভাবে ICT নিয়ে বেলজিয়ামে অবস্থানরত আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ডক্টর আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে নিয়মিত কথা বলেন এই তথ্য হ্যাকারকে কে দিল?? ২. নিজামুল হক কখন কখন আলোচনায় বসেন সেই তথ্য কোথায় পাওয়া গেল?? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তরের অনুসন্ধানে যাওয়ার আগে ICT'র কার্যক্রম এর সাথে সম্পর্কৃত কিছু চরিত্রের ব্যাপারে আমাদের জানা দরকার। ইকনোমিষ্টের বরাতে পাওয়া আমার দেশে প্রকাশিত খবর যা পাওয়া যায় তাতে নিন্মের ব্যক্তিগুলো উপস্থিতি রয়েছে; ১. বিচারপতি নিজামুল হক ২. ডক্টর আহমেদ জিয়াউদ্দিন(বেলজিয়াম) ৩. রায়হান রশীদ(অক্সফোর্ড,ইউকে) ৪. জিয়াদ আল মালুম(সরকার পক্ষের আইনজীবি) ৫. আইন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রি(বিচারক নিয়োগ বানিজ্যে তাদের নাম এসেছে) প্রকাশিত তথ্যে আমরা দেখতে পাই আওয়ামীলিগের আভ্যন্তরীন কোন্দলের বহি:প্রকাশ। বিচারক সোনা জাহাঙ্গীর কে নিয়োগ নিয়ে আইনমন্ত্রী'র সাথে প্রতিমন্ত্রী'র আভ্যন্তরীন দুরুত্ব স্পষ্ট দেখা যায়। সুত্রে প্রকাশ, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাম-জেএসডি-আওয়ামীলীগ আইডিওলজি'র লোকের একটা স্বমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।

সেটা নিয়েই দন্ধের সুত্রপাত। আওয়ামীলিগের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী উগ্র বাম অংশটা সবসময়ই চাইছিল তাদের নিজেদের লোকদেরকে দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারটা শেষ করানো,যাতে করে তারা নিজেদের অবস্থান আরো শক্ত করতে পারে আওয়ামীলিগে। এসব নিয়ে প্রতিমন্ত্রী কামরুলের সাথে বিচারক নিজামুল হক'র একটা দুরুত্বও তৈরি হয়,যার ফলে বিচারক তাকে নাকি রাজাকার পরিবারের সদস্য বলেও গালি দেন। এই ঘটনা বলার উদ্দেশ্য হল এই ইন্টারনাল দন্ধ থেকেও কেউ হ্যাকারদের জানাতে পারে যে বিচারক কার কার সাথে কথা বলেন। আরেকটা কথাতো সর্বজনদৃত প্রতিমন্ত্রী কামরুলের সাথে জামায়াতের একটা ব্যবসায়িক চ্যানেলের মাধ্যমে কিছু লেনদেন হয়েছে যার কারনে সে আগের মত ইদানিং বকা-বকি কম করে এমনকি সাম্প্রতিক ইস্যুতেও সে চুপচাপ।

প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম চাচ্ছিলেন বিচারটা হউক তবে নিজামুল হক সহ আইনমন্ত্রী'র একটা ডিসক্রেডিট করে আওয়ামীলিগে তার অবস্থান তৈরির জন্য একটা রাস্তা তৈরি করা। সে লক্ষ্যে তিনি তার নেটওয়ার্ককে কিছু এক্সক্লুসিভ টাস্কও দেন। তার অনুগত কিছু তরুণ আইটি,আইন ও ৭১ এর ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্লগার তার সংগে একাত্বতা পোষণ করে কাজ শুরু করেন বিনিময়ে তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দেয়া হয় এবং টাস্ক কম্পলিট হলে আরো দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এখানে ব্লগাররা দুটো অংশে কাজ করেছে,একটা অংশ বাংলাদেশে আরেকটা অংশ ইউকেতে। বাংলাদেশে নেতৃত্বে আছেন আমার ব্লগের অন্যতম ব্লগার অমি রহমান পিয়াল, যে কিনা স্বঘোষিত ৭১ এর ইতিহাস এক্সপার্ট আর আন্তর্জাতিক অংগনে কাজ করার জন্য ইউকেতে কাজ করছেন নিজুম মজুমদার নামে এক ব্যারিষ্টার।

নিঝুম মজুমদারের বিরুদ্ধে ইউকেতে জামায়াতের প্রতিনিধি ব্যারিষ্টার আবু বকর মোল্লার অফিসে ঢুকে তার USB data cable চুরি করারও অভিযোগ রয়েছে। তার শশুর বঙ্গবন্ধুর খুনি, তার নিজের পরিবারের রাজাকারদের বাঁচাতে সে ইউকেতে আওয়ামিলীগ সেজে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য লোক দেখানো কাজ করছে বলে অনেক পুরাতন অভিযোগ রয়েছে। অমি পিয়ালের সাম্প্রতিক ব্লগ,ফেইসবুক ও অনলাইনে বিচারকার্য দেরী হচ্ছে,সরকারের ঢিলেমি ও গাফলতি হচ্ছে ইত্যাদি বলে ক্যাম্পেইন করে ICT ও আইনমন্ত্রীর ডিসক্রেডিট করা দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন কোথাও কোন ঘাপলা হচ্ছে। অমি পিয়াল তার জনপ্রিয়তা দিয়ে ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিষ্টদের দিয়ে বিচারকার্য দ্রুত করার যে ক্যাম্পেইন চালাতে সক্ষম হয়েছেন,তাতে করে যদি একটা ইম্যাসিউর রায় হয় তাহলে আন্তর্জাতিক মহলে অবশ্যই ICT এর কার্যক্রম সমালোচিত হবে,আর এটাই হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য। সর্বশেষ চমকপ্রদ যে তথ্যাটা আমরা জানতে পারি,সেটাই এখন শেয়ার করছি।

অক্সফোর্ডে অবস্থান রত রায়হান রশীদ,লন্ডনের নিঝুম মজুমদার ও আরো অনেকেই'ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম' (ICSF)এর সদস্য। তাদের মধ্যে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা ও স্কাইপ চ্যাট হয়ে থাকে। সেই চ্যাটের সুবাধে নিঝুম রায়হান রশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন বিচারক নিজামুল হক নিয়মিত তার ও ডক্টর আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে আইন ও অন্যান্য এক্সক্লুসিভ বিষয়ে পরামর্শ করেন। এখান থেকেই লন্ডনে অবস্থানরত আইটি বিশেষজ্ঞ কয়েকজনকে দায়িত্ব দেয়া হল নিজামুল হক বা আহমেদ জিয়াউদ্দিনের ইমেইল ও স্কাইপ আইডি হ্যাক করার জন্য। তারপর বাকীটুকু হিষ্ট্রি...  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.