আমি একজন ব্লগ ভক্ত মানুষ।
এক সময় তাকে দোতালায়
নেওয়া হলো। পেটানো চলছেই। হঠাৎ সাদাশার্ট
পরিহিত একজন চা-
পাতি নিয়ে ওকে করিডরে নিয়ে গিয়ে কোপাতে লাগলো।
রক্তে বিশ্বজিতের শার্ট লাল হয়ে গেল।
চাপাতি হাতের
যুবক তার কর্ম সম্পাদন করে বিশ্বজিৎকে অন্যদের
কাছে ফেলে আসলো, তার কাজ শেষ।
বাকিরা চূড়ান্তভাবে মৃত্যুর
কোলে ফেলে দেওয়া পর্যন্ত পেটাতেই লাগলো।
বেচারা বিশ্বজিৎএর মনে হয় কৈ মাছের প্রাণ মরতেই
চায় না। বাকি কাজটুকু সম্পাদন করলো ডাক্তার;
তিনি পুলিশেরভয়ে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানালেন।
মঙ্গলবার ও হরতাল।
আমাকে অফিসে যেতে হবে।
পথচারী আমিও হবো। মিছিলের মাঝে পড়বো। ককটেল
ফুটবে। ভয়ে দৌড়দিবো।
তখন ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল
বা ছাত্র শিবির অন্য পক্ষের
মনে করে আমাকেওএভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে লাশ
বানাবে।
২০ টা টিভি চ্যানেলের ৪০ জনকর্মী, ২০ টা নিউজ
এজেন্সির৪০ জন সাংবাদিক, অসংখ্য পুলিশ, অসংখ্য
জনতা আমার মৃত্যুবরণ দৃশ্য দেখবে, ভিডিও করবে। ১০
টা চাপাতি ধারী পশুর বিরুদ্ধে ১০০ জন মানুষ দাঁড়াবে না।
তারা ভিডিও করবে-হত্যা নিয়ে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের
কাটতিবাড়াবে। আমার মত অধমের মৃত্যুর মূল্য
বেড়ে যাবে বহুগুণ।
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাবে কে কে পিটিয়েছে তবু কোন
মামলা হবে না। বিচার হবে না। এক অদ্ভুত
সময়ে বেঁচে আছি, যেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মুহূর্তের
ব্যাপার মাত্র।
বাংলাদেশের কাছে নিরাপদ, স্বাভাবিক মৃত্যুর
নিশ্চয়তা চাই। আর কিছু চাই না আপাতত।
ফেসবুক থেকে পাওয়া।
লিখেছেন - SOHAG ISLAM SOURAV ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।