বাংলাদেশে কে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান, বলুনতো? মন্ত্রী, এমপি, আমলা নাকি বিদেশী রাষ্ট্রদুত?
উহু! এদের কেউ নন। এরা আজ আছেনতো কাল নেই। মন্ত্রী এমপিরা দুদিনের অতিথি। চেয়ারে বসে হম্বিতম্বি করেন, হেন করেগা তেন করেগা নানা ক্কমতা ফলান। সানগ্লাসের আড়ালে চোখ ঢেকে "উই আর লুকিং ফর শত্রুজ" বলে ইতিউতি তাকান।
পরনে থাকে রোজ দামী শার্ট, দামী টাই। আর ক্ষমতা ছাড়লে প্যাদানি খেয়ে জান হয়ে পড়ে ওষ্ঠাগত।
আমলারা ক্ষমতাবান, তবে সীমার মধ্যে। তাদেরো মাঝে মাঝে বেকায়দায় পড়তে হয়। বিদেশী রাষ্ট্রদুতেরাও আমলাদের মতন।
হয়তো ক্ষমতায় একটু বেশী, এই যা। তবে?
কথায় বলে মাছের রাজা ইলিশ আর জামাইর রাজা......জ্বী জনাব, ঠিক ধরেছেন। উপরওয়ালার পরে এই দেশে তেনারাই বেশী ক্ষমতাবান। আপনার গায়ে খাকি পোশাক থাকলে আপনাকে আর পায় কে! ছোটবেলার “যেমন খুশি তেমন সাজো”র মত যা খুশি করেন, কেউ বাধ সাধবেনা। তরকারিতে লবন বেশী তো রাস্তায় নেমে যে কাউকে বেড়ধক পিটিয়ে আধ্মরা করে ফেলুন।
হাতের বন্দুকটা ঠিক মত কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করতে চাইলে যে কোন মনুষ্যের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে ট্রিগার টানুন। যদি দেখেন, বন্দুকের গুলি লাল রঙ উতপাদন করে, তবে নিশিচিন্ত থাকুন। বন্দুকটা ভালই কাজ করে।
দিনকাল যা পড়েছে! খালি খরচ আর খরচ! সরকার যে বেতন দেয় তাতেতো সিগারেটের দাম শোধ করাই মুশকিল। “কোই ফিকর নেহি হ্যায়”।
খবর নিন আপনার এলাকায় বড় ব্যবসায়ী কে? তারপর “এই ব্যাটা শার্টের বোতাম লাগাস নি কেন” বলে থানায় এনে আচ্ছামত প্যাদানি দেন। তারপর বলুন, তাকে একটু উত্তম মাধ্যম দিতে গিয়ে আপনার হাত পায়ে ব্যাথা করছে। নাস্তাপানির জন্য, ডাক্তার দেখানোর জন্য যেন কিছু মাল পানি দেয়। আর যদি কথা না শুনে তবে সিনেমার নায়ক থুক্কু ভিলেন ষ্টাইলে চেচিয়ে বলুন “চৌধুরী সাহেব তোর একদিন কি আমার একদিন...সোজা আঙ্গুলে যদি ঘি না উঠে তবে আঙ্গুল কি করে বাকা করতে হয় আমার জানা আছে। কথা না শুনলে অস্ত্র মামলা, গাড়ি পোড়ানোর মামলা, কাজের বেটি রহিমার গলার চেইন চুরির মামলায়--তুই হবি এক নম্বর আসামী”।
ব্যাস! আর যায় কোথায়? বাছাধন সুরসুর করে আপনাকে নিয়ে হাজির হয়ে যাবে ব্যাঙ্কের দেরগোড়ায়। তাতে, ভাগ বাটোয়ারা করেও মাসের খরচটা অনায়াসেই চালিয়ে নিতে পারবেন।
মাঝে মাঝে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির সাংবাদিক ঝামেলা করতে পারে। তাতেও সমস্যা নেই। বড়জোর আপনাকে সংস্লিষ্ট থানা থেকে “প্রত্যাহার” করে “প্রমোশন” দিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশে পুলিশই একমাত্র প্রজাতি, যারা নিরপরাধ, মাসুম, নিষ্কলঙ্ক। তাই আসুন, আমরা আমদের ছেলে সন্তানদের পুলিশ বানাই। “মানুষ” নয় “পুলিশ” হয়ে উঠতে পারাটাই জীবনের স্বার্থকতা-এই হোক আমাদের মুলমন্ত্র।
বিঃ দ্রঃ- বিস্তারিত পত্রিকায় দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।