জামায়াত-শিবিরের অনধিকারচর্চা ও অতিউৎসাহের ফলস্বরূপ উন্মুক্ত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকারী ট্রাইবুনালের বিচারক ও তাঁর প্রবাসী উপদেষ্টার কিছু ব্যাক্তিগত কথোপকথন। সেই আলাপচারিতার সারমর্মঃ
১/ সরকার শুধু যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা করেই ক্ষান্ত নয়, তারা এর দ্রুত নিষ্পত্তি চায়। আরেক দফা ক্ষমতায় এসে সমাপ্তির কোনো খায়েশ নেই,
এই দফায়ই বিচার চাই।
২/ বিচারক ও তাঁর উপদেষ্টা দুই জনই সরকার ও জনগণের চাপের ব্যাপারে সচেতন, কিন্তু তবু তাঁরা স্বাভাবিক বিচারিক প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটতে দেবেন না। বিচার দীর্ঘ হলে হোক, অন্যায্য হবে না।
৩/ দেশের মানুষ শুধুমাত্র একটি রায় শুনতে চায়, কিন্তু এত গভীর বিষয়ের জন্য সেটুকু যথেষ্ট নয়। বিচারের রায়কে হতে হবে সর্বোচ্চ মানের, একে অনুসরণ করতে হবে সুপ্রতিষ্ঠিত রীতি, কলেবর যত বড়ই হোক এতে থাকতে হবে সকল সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যৌক্তিক ব্যাখ্যা।
৪/ বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রায়ই অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ আসে, এই ট্রাইবুনাল সর্বদা সচেষ্ট থাকবে এমন কিছু থেকে বিরত থাকতে।
৫/ 'রায়' ধার্য করবেন বিচারক, উপদেষ্টা তাঁকে বিভিন্ন দেশের গণহত্যার বিচারের রায়ের একটি টেমপ্লেট দেবেন। এই রায় শুধু একক মামলার জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে যেকোনো সুষ্ঠু বিচারের জন্য আদর্শ হতে হবে।
বিচার নিয়ে যাবতীয় সংশয় দূর করার কাজটি করে দেওয়ার জন্য জামায়াত-শিবিরকে ধন্যবাদ। এই অসুরের যাঁরা চক্ষুশূল, তাঁরাই আমাদের আঁধার রাতের কাণ্ডারি
(সংগৃহীত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।