প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর।
ওপেন থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম -এ ভরের আদান প্রদান হয়, এনার্জির আদান প্রদান হয়, ওয়ার্ক ট্রান্সফার হয়। ওপেন থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম বন্ধ হলে ক্লোজড্ থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম গঠিত হবে।
মানুষের শরীর ওপেন থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম। মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে মেকানিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট বাতাসের মধ্যে ক্লোজড্ থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম গঠন করবে।
আইসোবারিক এবং অ্যাডিবেটিক পদ্ধতিতে ক্লোজড্ থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম গঠিত হবে। আইসোবারিক পদ্ধতি অনুযায়ী ক্লোজড্ সিস্টেমে প্রেসার বা চাপ কনষ্টান্ট থাকবে। এখানে ভর ফিক্সড্ থাকে। ফলে এখানে ভরের আদান প্রদান ঘটে না। এখানে এনার্জির আদান প্রদান ঘটে এবং ওয়ার্ক ট্রান্সফার হয়।
অ্যাডিবেটিক পদ্ধতিতে এখানে ভলিউম দ্রুত এক্সপানশান হবে, তাপের আদান প্রদান ঘটবে না। তবে ভলিউমের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
তাহলে ভূতের শরীর হলো ক্লোজড্ থার্মোডিনামিক্স সিস্টেম। ভূতের শরীরে ভর ফিক্সড্। এখানে প্রেসার কনষ্টান্ট।
শরীরের ভলিউম বাড়াতে কিংবা কমাতে পারে। শরীর কার্বনডাইঅক্সাইড্ গ্যাসে ভর্তি। এই গ্যাস উত্তল লেন্সের কাজ করে। শরীরে ইলেকট্রিকাল এনার্জি এবং ম্যাগ্নেটিক এনার্জি আছে। ভূত দেখতে পারে এবং শুনতে পারে।
ভূত কথা বলতে পারে। এখানে বিটা ওয়েভ,আলফা ওয়েভ এবং ডেল্টা ওয়েভ কাজ করে। বিটা ওয়েভের জন্য ভূত কাজ কর্ম করে। আলফা ওয়েভের জন্য বিশ্রামরত অবস্থায় থাকে। যেহেতু থিটা ওয়েভ নেই,সেইহেতু ভূত স্বপ্ন দেখে না।
ডেল্টা ওয়েভের জন্য গভীর ঘুম আছে। যেহেতু গামা ওয়েভ নেই তাই ঝগড়াঝাঁটি করে না।
ভূতেরা গাছে থাকে। তার জন্য পোটেনশিয়াল এনার্জি বেশী হয়। পরে এটা কাইনেটিক এনার্জিতে রূপান্তরিত হয়ে চলাফেরা করে।
ভূতের আয়ু নির্দিষ্ট। সাধারণতঃ তিন বছর। তারপর কোন শরীরে ঢুকবে,নচেৎ ভরে পরিণত হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।