পলাতক থাকা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা, এ বিষয়ে শুনানি হবে ১৬ জুন। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২এ তারিখ ধার্য করেন।
চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে ইতিমধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দুজন ওই সময়ের মধ্যে উপস্থিত হননি।
তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনেও তাঁরা দুজন পলাতক। এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী ওই দুজনের অনুপস্থিতিতে তাঁদের বিচারকাজ শুরু হচ্ছে।
রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষ বলে, যেহেতু তাঁরা দুজন যৌথভাবে একই অপরাধ করেছেন, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আলাদা করে অভিযোগ না এনে একসঙ্গে ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়।
মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। গত বছরের ৯ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়। তদন্তে মুক্তিযুদ্ধকালে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তদন্ত সংস্থা ১০ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে জমা দেয়।
তদন্ত সংস্থা সূত্র জানায়, একাত্তরের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী নিধনের যে নীলনকশা হয়েছিল, ঘাতক আলবদর বাহিনী তা বাস্তবায়ন করে।
মুঈনুদ্দীন ছিলেন আলবদর বাহিনীর ‘অপারেশন ইনচার্জ’, আর আশরাফুজ্জামান ছিলেন ‘চিফ এক্সিকিউটর’। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।