এসো বাংলার কথা কই লাকসাম পৌর এলাকার ভোজপাড়া গ্রামের কাউসার হোসেন লাকসামের নওয়াব ফয়েজুন্নেসা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে (ব্যবসা শিক্ষায়) পড়ে। এসএসসি পরীক্ষায় লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শত অভাব অনটনের মাঝেও হাল ছাড়েনি কাউসার। তার প্রবল ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মেনেছে দারিদ্রতা। ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সে চার্টাড একাউন্ট্যান্ট হবে।
কিন্তু এখন; দারিদ্রতাই বড় বাধা। তার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
কাউসার আমাদের লাকসামকে জানায়, দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে বাবা অসুস্থ। মা অন্যের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করেন। মায়ের রোজগারের টাকায় ঠিকমত খাওয়ার ব্যবস্থা হয় না।
তাই শয্যাসায়ী বাবার ওষুধ কিনতে এবং নিজের পড়ালেখার খরচ মেটাতে বন্ধের সময় অন্যের জমিতে কাজ করি। প্রায় সময় উপোস করতে হয়। এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিনও না খেয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। কথাগুলো বলতে বলতে দু’চোখ ভিজে যায় কাউসারের।
সে জানায়, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে হয়।
কিন্তু কী ভাবে। অর্থের অভাবে সবগুলো বই এখনও যোগাড় করতে পারেনি। ঠিকমত খাতা-কলম কিনতে পারি না। বাবার ওষুধ কেনার টাকা নেই। দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে আমি এখন ক্লান্ত।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে কাউসার বলে আমার স্বপ্ন কী কখনও পূরণ হবে না।
কাউসারের মা পেয়ারা বেগম জানান,ছোট্ট একটি ঘরভিটে ছাড়া আর কোনো সহায়-সম্বল নেই। তাঁর স্বামী জটিল রোগে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে শয্যাসায়ী। কলেজে যাওয়ার সময় কোন দিন ছেলেটাকে একটি টাকাও দিতে পারিনি। তাঁদের পাঁচ মেয়ে এক ছেলে।
কাউসার সবার ছোট। তিনি বলেন, অন্যের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে যা পাই, তা দিয়ে সংসারই চলে না। এখন ছেলের ভবিষ্যৎ পড়ালেখা নিয়ে বড় চিন্তায় আছি।
ওই গ্রামের ব্যবসায়ী মমতাজ উদ্দিন জানান, পরিবারটি অত্যন্ত অসহায়। সাধ্যানুযায়ী সহায়তা দিয়ে তাকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি করেছি।
অন্যদের সহায়তা পেলে তাঁর ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণ হবে।
নওয়াব ফয়েজুন্নেসা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ নারায়ণ চক্রবর্তী আমাদের লাকসামকে বলেন, এসব দরিদ্র ও মেধাবীরা সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও অনেক ভাল করবে।
তিনি জানান, আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও সে আবেদন করলে কলেজ থেকে সাধ্যানূযায়ী সহযোগীতা করা হবে। তথ্য সূত্রঃ ক্লিক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।