আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানা ধসের হুমকিতে

বাংলাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পোশাক কারখানা যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক পরিদর্শন সমীক্ষায় এ তথ্য মিলেছে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর খবরে বলা হয়েছে, সাভারের রানা প্লাজা ধসে এক হাজারের বেশি পোশাকশ্রমিক নিহত হওয়ার পর পোশাক কারখানার মালিকদের অনুরোধে পরিদর্শন শুরু করে বুয়েট।
‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এ দেশের রপ্তানি করা মোট পোশাকের শতকরা ৮০ ভাগই যায় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে।

দেশটির এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের শিল্পে নিয়োজিত আছে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।
বুয়েটের পরিদর্শক দলের ৬০০টি ভবন পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। এসব ভবনে প্রায় তিন হাজার কারখানা আছে। তবে বুয়েটের দলটি এখন পর্যন্ত ১০০টি ভবন পরিদর্শন করেছে।
বুয়েটের দলটির নেতৃত্বে আছেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহসান আনসারী।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১০০টি ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এক সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে এগুলো ভেঙে পড়বে এমন নয়। এক থেকে তিন বছরের মধ্যে এগুলো ক্রমান্বয়ে মজবুত করতে হবে। নতুবা দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যাবে।

এসব কারখানার উন্নয়ন না করলে তা হবে দায়িত্বহীন আচরণ। তবে এক-তৃতীয়াংশ ভবন বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর কোনো দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়নি। ’
বুয়েটের দলটি কেবল কোনো ভবনের বাহ্যিক অবস্থা পরিদর্শনই করছে না, ভবনের মাটি পরীক্ষার ফল ও নকশা খতিয়ে দেখছে।
ঢাকায় এখন কারখানার সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।

তবে সরকার পাঁচ হাজারের বেশি কারখানার অনুমতি দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার অনেক কারখানার ক্ষেত্রে আশঙ্কার ব্যাপার হলো, এগুলো আবাসিক ভবনে স্থাপন করা হয়েছে।
আনসারী বলেন, ধসে পড়া রানা প্লাজা নির্মাণের জন্য ২০০৬ সালে যখন অনুমতি নেওয়া হয়, তখন কথা ছিল ভবনটি হবে পাঁচতলা। তবে পরে আরও তিনটি তলা বাড়ানো হয়। এগুলো অননুমোদিত।


আনসারী বলেন, ‘হয়তো এমন অনেক কারখানা আছে, যেগুলোর অবস্থা শোচনীয়। তবে এখনই তা বলে আমরা আতঙ্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা চাই কারখানাগুলো চালু থাকুক। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.