আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুঃখিত আইজুদ্দিন…ল্যাঞ্জা ইজ আ ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড ইনডিড…

জীবনটা সুখী ই হতো যদি না পরীক্ষার ঝামেলাটা থাকত ! ভূমিকার একটু কথাঃ আজকে যে বিষয় কিংবা যাকে নিয়ে লিখতে বসেছি সে ব্যাক্তির ব্যাপারে অনেকের অনেক রকম কৌতূহল, জিজ্ঞাসা বা আগ্রহ আছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যাক্তির ব্যাপারে অনেকেই খোঁজ করেছেন, তাকে খুঁজে বের করতে চেয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা যায়নি কখনো। নিজের মূল নামের আড়ালে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে হাজির হয়েছেন, লিখেছেন, বলেছেন তার মনের সব কথা। মূল নামটি আড়াল করবার অনেক সুবিধা।

আপনাকে কখনো কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয়না, আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হয়না নিজের ভেতর বসা আসল সত্ত্বাকে, আপনি যা-ই লিখতে চান, ভালো কিংবা খারাপ আপনি লিখে যেতে পারেন নির্নিমেষে, ভয়হীন, চিন্তাহীন ভাবে। এইটাইতো মজা এই ভার্চুয়াল জগতে। আপনি কে, আপনার পরিচয় কি, আপনার পারিবারিক ইতিহাস কি, আপনার মূল আদর্শটা আসলে কি এসব সব কিছুকেই ভার্চূয়াল পৃথিবীর নানান পদ্ধতির সুযোগে আপনি গোপন রাখতে পারেন এবং আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন বিষাক্ত মানুষ কিংবা একজন ভালো মানুষ কিংবা সব কিছুর মিশ্রণ নিয়েই একটা দগদগে চরিত্র হিসেবে। দেখুন, আজ আমিও আমার আসল পরিচয় গোপন করেই এই ব্লগ লিখছি। এর কি কারন? ভয়? কোনো কিছুর আশংকা? অন্য কোনো উদ্দেশ্য? এসব প্রশ্নের উত্তর হতে পারে নানান মাত্রায়, নানান ভাবে।

আমি শৈল্পিক ভাবে, যৌক্তিকভাবেই এই উত্তর দিতে পারি। আবার ভার্চুয়াল জগতের সুবিধা নিয়ে বলতে পারি-“এটা আমার ইচ্ছে”, এখন আমি আসলে কোন পদ্ধতিতে উত্তর দিব তা পাঠক বুঝে নেবেন, কিন্তু আমি আমার পরিচয় দিতে ইচ্ছুক নই। আমার বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা, আমার বক্তব্যের সত্যতা এবং এর সততা নির্ধারণ করবেন পাঠক। তবে আমি সৎ ভাবেই চেষ্টা করেছি শতভাগ এই ব্যাপারটিকে সবার সামনে সত্যভাবে তুলে ধরবার জন্যই। আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বাংলা ব্লগের একজন পরিচিত ব্লগার ব্লগার ডাক্তার আইজুদ্দিনকে।

পরিচয় করিয়ে দিব তার সত্যকারের পরিচয়। একজন সত্যকারের ডাক্তার আইজুদ্দিনকে। মুখোশের আড়ালে থেকে যিনি লিখে যাচ্ছেন অবিরাম। যিনি লিখে যাচ্ছেন কখনো নুনু নিয়ে, কখনো মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ নিয়ে, কখনো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে (!!), কখনো কারো পাছা নিয়ে, কখনো তার দেশ আমেরিকা নিয়ে, কখনো সমাজ নিয়ে, শৈশব নিয়ে, কখনো আর্মি নিয়ে, কখনো কোরান শরীফ নিয়ে, কখনো ধর্ম নিয়ে, কখনো বাংলাদেশের ইতিহাসের অনবদ্য অংশ শাহবাগ জাগরণের বিরুদ্ধে, কখনো এই শাহবাগের অন্যতম মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে, কখনো একে গালমন্দ করে, কখনো তাকে গালমন্দ করে, কখনো ব্লগার আরিফ জেবতিকের বিরুদ্ধে, কখনো ব্লগার নিঝুমের বিরুদ্ধে, কখনো মারুফ রসূলের বিরুদ্ধে, কখনো ডাক্তার আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে, কৌশিকের বিরুদ্ধে, ফিউশন ফাইভের বিরুদ্ধে। যেন এই পৃথিবীর সবাই তার শত্রু, এই পৃথিবীর সব কিছুই তার কাছে খারাপ, নেগেটিভ দিক ছাড়া যেন এই পৃথিবীর আর কোনো পজিটিভ দিক নেই।

আইজুদ্দিন এবং ব্লগিং দুনিয়ায় তার স্ট্যান্ডিং আইজুদ্দিনের ব্লগিং স্ট্যান্ডিং কেমন তা আইজুদ্দিনের পাঠকেরাই বিবেচনা করবেন। তবে আমার নিজের কিছু বিবেচনা আছে এই আইজুদ্দিনের ব্যাপারে। বাংলা ব্লগের অবিষ্মরণীয় সেই ঐতিহাসিক এ টিমের নামের উপর ভর করেই আইজুদ্দিনের আসলে দাঁড়িয়ে থাকা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি, রাজাকারদের বিচার চান, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি চান এসব সব প্যাকেজ নিয়েই আইজুদ্দিন আসলে সাধারণ ব্লগারদের মনে একটা স্থান করে নিয়েছিলেন। আর এই স্থান করে নেয়ার মানে হচ্ছে এরপর তিনি যখন একজন সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধাকে ছাগু বানাবেন পাশার দান তার দিকেই হেলে পড়বে, মানুষ তার এ টিমের ছিল-ছপ্পরওয়ালা দাগ দেখেই তার দিকেই ছুটে আসবে, তার কথা বিশ্বাস করবে এমন একটা অবস্থান আইজুদ্দিন ব্লগে তৈরী করে নিয়েছিলেন এ কথা অনস্বীকার্য।

কিন্তু এসব সব কিছুর আড়ালে মূলত তিনি মুক্তিযুদ্ধকে ক্ষতিই করে গেছেন বার বার, করেছেন ব্লগের ক্ষতি। অনেক মানুষ ব্লগ বলতে বোঝেন আইজুদ্দিনের নোংরা কথা বার্তার একটা খেরো খাতা কিংবা একটা কুৎসিত স্থান। কি করেছে আইজু এ টিমে মূলত? হারাধন নামের নিক কিংবা অন্যান্য নাম নিয়ে ব্লগে আসা আইজুদ্দিন গালি ছাড়া, কুৎসা, বদনাম কিংবা এর সাথে ওর প্যাঁচ লাগানো ছাড়া, কাউকে বিভিন্ন নামে ট্যাগ দেয়া ছাড়া আর কি-ই বা করতে পেরেছে এই আইজুদ্দিন? আদতে এই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে, মুক্তমনার বেশ ধরে বরাবর তিনি শুধু বিষেদাগারের এক অনন্য উপমা হয়ে থেকেছেন। নিজের নাম প্রকাশ না করবার এই সুযোগ নিয়ে তিনি এসব বলবার সাহস পেয়েছেন। অসংখ্য মানুষকে সমাজে হেয় করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যাদের অবদান রয়েছে, যারা দিনরাত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করছেন তাদের তিনি বানিয়েছেন চোর, দুষ্কৃতকারী, চাঁদাবাজ। অথচ এই ষাটের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা এই বৃদ্ধ নিজেই কখনো লিখেছেন মেয়েদের বুক নিয়ে, নুনু নিয়ে, পাছা নিয়ে। প্রকৃত নাম আড়াল করতে পারাটা খুবই লাভজনক মাঝে মধ্যে। সে কথা আমরা আইজুদ্দিনের লেখা থেকেই বুঝতে পারি। সাম্প্রতিক সময়ে আইজুদ্দিনঃ জামাতের এজেন্ডাই কি বাস্তবায়িত হচ্ছে আইজুদ্দিনের হাত ধরে? সাম্প্রতিক সময়ে আইজুদ্দিন কি নিয়ে ব্যাস্ত এটি তার ফেসবুকে গেলেই বুঝতে পারা যায়।

কাদের মোল্লার ফাঁসী না হবার পর আইজুদ্দিন বার বার বলে বেড়িয়েছে যে এই বিচার সঠিক হয়েছে, এই যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঠিক আছে, তিনি বিচারপতিদের রায়ে খুশি। তিনি বার বার দোষ দিয়েছেন প্রসিকিউশনের আইনজীবিদের। বার বার তাদের পিন্ডি চটকে দিয়েছেন সুযোগ মত পেয়ে। অথচ আইজুদ্দিনকে বার বার বোঝানো হয়েছিলো যে রায়ে বলাই আছে যে কাদের মোল্লার ৫ টি অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। এতে করে আইনজীবির মান কেমন তা নিয়ে প্রশ্ন করাটা অবান্তর।

কেননা রায়ের মধ্যে যখন বিচারপতি বলেই দেন যে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে সন্দেহ ছাড়া তখন আসলে আইনজীবি যে এটি করতে সক্ষম হয়েছেন সে কথাটি আর বলে দিতে হয় না। কিন্তু সেই কথা আইজুদ্দিন বুঝবার পরেও ওপেন ফেসবুকে এই আইনজীবিদের বিরুদ্ধে লিখে গেছেন অবিরাম, বার বার বলেছেন যে এই রায় ঠিক ছিলো এবং সে খুশী এই ব্যাপারে। লক্ষ্য করুন, জামাতীরা কিন্তু এগজাক্টলি এই ভাবেই কথা বলেছে এবং বলছে। একজন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ যখন জানবেন যে প্রসিকিউশনের উকিলের ভুল ছিলো কিংবা যখন তিনি এটা এপরিহ্যান্ড করতে পারবেন তখন আলটিমেটলি তিনি কি করবেন? জামাতীরা যাতে কোনো রকমের ছুতা না পায়, না বুঝতে পারে সেভাবেই তিনি লিখবেন, বলবেন। কখনোই প্রকাশ্যে এটি নিয়ে কথা বলবেন না, যদিও আইনজীবিদের ভুলে কিছু হয়েছে এমনটা মনেও হয় তবে তিনি সেটি বলবেন নিজেদের মধ্যে, পারলে সঠিক যায়গায় গিয়ে বলবেন।

কিন্তু এইভাবে প্রকাশ্যে তো বলেছেনই আবার সেই সাথে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে যখন শাহবাগের গণজাগরন শুর হোলো তখন আদা জল খেয়ে তিনি প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা শুরু করলেন। এখন আপনারা যারা এই লেখা পড়ছেন, তারাই একবার বিবেচনা করেন যে, বাংলাদেশের কোন শ্রেণীর মানুষ এই গণ জাগরনের বিরুদ্ধে নামে বা নামতে পারে? গণ জাগরনের যত রকম বিরোধিতা জামাতীরা করে, যে ভাষায় করে ঠিক সে ভাষাতেই আইজুদ্দিন একের পর এক বিরোধিতা করে গিয়েছে। শাহবাগের গণ জাগরণের বিরুদ্ধে, ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে, মারুফ রসূলের বিরুদ্ধে তিনি কুৎসিত ভাষায় লিখেছেন কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া। কখনো ইঙ্গিত করেছেন ইমরান এইচ সরকার এই গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে ফেলেছেন, কখনো তিনি বের করে এনেছেন ইমরানের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা। আওয়ামীলীগের যেই অংশটি ইমরানের বিরুদ্ধে সদা তৎপর সেই অংশটিকে আইজুদ্দিন সাহায্য করে গিয়েছেন তার ফেসবুকে আর ব্লগের লেখার মাধ্যমে।

আর একই সাথে জামাতীদের যেই প্রোপাগান্ডা সেটিই চমৎকারভাবে বাস্তবায়িত করেছেন। কিন্তু বিধি বাম!!! ওই যে তিনি এ টিমের প্রাক্তন সদস্য, তিনি যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বলে সবার সামনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন সেই জোরেই তিনি এসব বলে গিয়েছেন আর তৈরী করেছেন সন্দেহ। জামাতীরা খুবই সঙ্গপোনে আইজুকে লালিত করেছেন, পালিত করেছেন। গোয়েন্দাদের মত মিশে গেছেন বাংলা ব্লগ জগতে। একজন সত্যকারের যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি, তারপর একের পর এক ছুরি।

বাংলা ব্লগের একজন অন্যতম প্রিয় মুখ আরিফ জেবতিক। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার লেখা, তার বক্তব্য, তার অবদান অনবদ্য। এই আরিফ জেবতিককেই আজ প্রতি মুহূর্তে হেয় হতে হচ্ছে আইজুদ্দিনের কাছে। বার বার তাকে নিয়ে অসত্য, মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপস্থাপন করছে আইজুদ্দিন। এতে কার লাভ হয়েছে? কারা লাভবান হচ্ছে আদতে? ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চ যেটি ঢাকার গণ জাগরণ মঞ্চের কোনো নির্দেশেই চলে না সেটা বার বার বলার পরেও এই আইজুদ্দিন ইউকে’র গণ জাগরণ মঞ্চকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

নিঝুম মজুমদার বছরের পর বছর যুদ্ধাপরাধ নিয়ে লিখছে, এইসব রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে লিখছে অবিরাম। এই নিঝুমকেও আইজুদ্দিন চাঁদাবাজ বানিয়ে দিয়েছে তার লেখা দিয়ে। তার অপরাধ কি? তার অপরাধ হচ্ছে সে সাভারের দূর্গতদের জন্য মানুষের কাছে মানবিক আবেদন করেছে। অর্থ সাহায্য চেয়েছে। শেষ পর্যন্ত আইজুর এই প্রচারণার পোস্টটি কারা ব্যাবহার করছে? করছে ফেসবুকের জামাতী গ্রুপগুলো।

নীচের এর প্রমাণ দেখুন। আইজুর পোস্টের রেফারেন্স দিয়ে তারা গালাগালির বন্যা বইয়ে দিয়েছে এইসব উদ্যোগকে। এর আগে এই আইজুদ্দিনই নিঝুমকে সবার সামনে প্রমাণ করতে চেয়েছে ফ্রিডম পার্টির লোক হিসেবে, বার বার চেষ্টা করেছে যাতে নিঝুমের স্ট্যান্ডিং মানুষের কাছে ম্রিয়মান হয়ে যায়, যেন গ্রহনযোগ্যতা কমে যায়। এসব সব কাজ করে শেষ পর্যন্ত আইজুদ্দিন কাকে লাভবান করছে? এই চিহ্নিত স্বাধীনতার পক্ষের মানুষগুলোকে একেরপর এক কোনো প্রশ্ন ছাড়াই চোর, ছ্যাঁচড়, চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ বলে আইজুদ্দিন এই গণজাগরণ, এই স্বাধীনতার চেতনা, এই মানুষগুলোকে এক কথায় শেষ করে দিতে চেয়েছে তার গোপন জামাতী এজেন্ডা অনুযায়ী। একেরপর এক সে জামাতের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করেছে।

করবেই বা না কেন, তার ছোট বোনের বিয়ে দিয়েছে লন্ডনের জামাতী নেতা, এই যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় শত্রু জামাতের এক নেতার সাথে। আইজু নিজেই তার বক্তব্যে স্বীকার করেছে সে কথা। আসুন দেখে নেই- আইজুর পরিচয়ঃ আগেই বলেছি আইজুদ্দিন তার প্রকৃত পরিচয় গোপন করে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন গত ৬টা বছর। এই ক্ষেত্রে তাকে এটার জন্য কৃতৃত্ব দিতেই হবে। খুব বাছা যে একজন বা দুইজন তার পরিচয় জানতেন কিংবা যে ব্যাক্তি তার সাথে আমেরিকায় গিয়ে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন তারা বেশ আস্থার সাথেই এই আইজুদ্দিনকে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।

ধন্যবাদ তাদেরও দিতে হয়। কিন্তু আইজুদ্দিনের পেছনে গত ২০০৯ সাল থেকে লেগে থাকা একটি চৌকশ সাইবার দল শেষ পর্যন্ত তার পরিচয় উদ্ধার করেই ছাড়েনি, তার সমস্ত ঠিকুজি তারা বের করে এনেছে বার বার ক্রস চেকিং এর মাধ্যমে। এটা এক কথায় ব্লগারদেরই এক ধরনের জয় বলে আখ্যা দিব আমি। এরই মধ্যে অনেকেই ভুল পথে পরিচালিত করেছে তাদের সুক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে, আইজু সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে সন্দেহের মোড় ঘুরিয়ে নিয়েছে বার বার। কিন্তু খুব দুঃখের হলেও সত্য যে প্রতিপক্ষ সেসব কথার কোনোটিতেই শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখতে পারেনি।

ডাক্তার আইজুদ্দিন নামে যিনি অনলাইনে লেখালেখি করেন তার আসলে দুইটি রুপ। প্রথমটির নাম হচ্ছে মেসকাথ উদ্দিন। থাকেন আমেরিকার মিনেসোটায়, মিনিয়াপোলিস। দুইটা এপার্টমেন্ট তার। একটা কিনেছেন তিনি নিজে এবং তার স্ত্রীর নামে।

এই এপার্টমেন্টে থাকেন তিনি, তার স্ত্রী এবং ২২ বছর বয়স্ক ছোট ছেলে। আরেকটি এপার্টমেন্ট তার ২৪ বছর বয়স্ক বড় ছেলে কিনেছেন ওই একই বিল্ডিং-এ। আমরা নিরাপত্তা এবং এথিকাল কারনে ডাক্তার আইজুদ্দিন ওরফে মেসকাথ উদ্দিনের স্ত্রীর নাম, তার দুই ছেলের নাম প্রকাশে বিরত থাকলাম। মেসকাথ উদ্দিনের পাসপোর্ট অনুযায়ী বয়স ৫৭ বছরন, জন্ম ১৯৫৫ সালে। পেশায় একজন ফিজিশিয়ান এবং সার্জন।

তিনি বাংলাদেশের চট্রগ্রাম মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন এম বি বি এস ১৯৮০ সালে। আমেরিকার মিনেসোটার, মিনিওপলিসে একটা ক্লিনিক চালান হেলথ পার্টনার নামে। বয়ষ্ক মানুষ। দুইটি ছেলেই পড়ালেখা প্রায় শেষ করে চাকরি করছে। থাকেন স্ত্রী সহ একটা নিরবিচ্ছিন্ন জনপদে।

আইজুদ্দিন গলফ খেলতে পছন্দ করেন, মাঝে মধ্যে মাছ ধরতে যান আর তার কাজে কিংবা বাসায় বাকী সময়টা বাংলা ব্লগে গালাগালি করে কাটান। এই সেই আইজুদ্দিন। নীচের ছবিতে দেখুন- কি করে আমরা খুঁজে পেলাম আইজুদ্দিনকে আইজুদ্দিনকে খুঁজে বের করাটা এক বিরাট ইতিহাসের কাহিনী। আইজুদ্দিনকে চরমভাবে প্রটোকল দিয়ে রেখেছিলেন তিনি যেই ব্লগে লিখেন সেই ব্লগেরই এক সুহৃদ। এমনভাবে তিনি আইজুদ্দিনের চারিদিকে রহস্যময়তার আবরণ দিয়েছিলেন, এমন ভাবেই তিনি গোপন করে রেখেছিলেন সব কিছু যেটি এক কথায় আসলেই পরিপূর্ণ বন্ধুত্বের পরিচয়।

সন্দেহ নেই। যদিও সেই বন্ধুর সাথে আইজুদ্দিনের বয়স বিবেচনায় ছেলে আর বাপের সমান বয়সের ফারাক। সে যাই হোক, আইজুদ্দিনকে খুঁজে বের করতে প্রথমেই আমরা তার আইপি এড্রেসটা বের করি খানিকটা ট্রিক করে। অবশ্য বলা বাহুল্য এই আইপি এড্রেস যিনি আমাদের দিয়েছেন তিনি মূলত ট্রিক করে বের করেছিলেন। এখানে আমাদের কৃতিত্ব খুব কম।

প্রথমেই আইজুদ্দিনের জন্য একটা ব্লগ খোলা হয় আলাদা। তারপর সেখানে আইজুদ্দিনের নামে কয়েক লাইন লিখে আমরা আইজুদ্দিনের কাছে ব্যাক্তিগত মেসেজ পাঠাই। মেসেজটা এমন ভাবে পাঠানো হয় যেখানে একটা সাধারণ লেখার মধ্যে লিঙ্ক ঢুকিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। এই ব্লগটি আইজুদ্দিন এবং যিনি বানিয়েছেন তিনি ছাড়া আর কেউই খোঁজ জানতেন না। আইজুদ্দিন সরল বিশ্বাসে ব্লগে ক্লিক করে বসেন এবং অবধারিত ভাবেই সেই ব্লগে গোপন ট্র্যাকার ছিলো এবং সেখান থেকেই আইজুদ্দিনের আইপি ট্র্যাক করা হয়।

এরপর প্রতিমাসেই এইরকম ট্রিক করে আইজুদ্দিনের আইপি চেক করে ৮ বারের সময় ৬ বার নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে ৬ বার একজন লোক এক আইপি থেকে ঢুকেছে আর বাকী দুইবার অন্য আরেক আইপি থেকে। এই ব্যাপারটি-ই আমাদের খটকায় ফেলে দেয়। আমরা এইবার লেগে গেলাম আইপি এড্রেস চেক করে লোকেশন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে। পেয়ে গেলাম দুইটি এপ্রোক্সিমেট ঠিকানা। প্রথম আইপি এড্রেস, যেটি দিয়ে আইজুকে ৬ বার শনাক্ত করা হয়েছে সেটি মিনেসোটার মিনিওপলিসে।

আর ২য়টি থাকে ওই একই স্টেটে। প্রথম আইজু থেকে ২০ মিনিট ড্রাইভের দূরত্বে। স্যাভেজ নামে এলাকায়। আমরা এই কাজে লাগিয়েছিলাম কিছু দূর্দান্ত হ্যাকারদের যারা আইপি এড্রেস থেকে একেবারে সঠিক লোকেশন বের করে ফেলতে পারে। ঠিক তেমন করে আমরা দুইটি আইপির-ই একটা সুনির্দিষ্ট বসবাসের স্থান বের করলাম যেখানে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে এই দুইটি আইপি থেকেই এই দুইজন নেটে ঢোকেন, থাকেন।

মজার ব্যাপার হোলো এদের দুইজনের মধ্যে মেসকাথ উদ্দিন হচ্ছে বিরাট ইসলামিক মাইন্ডেড লোক, তীব্র হাসিনা আর আওয়ামীলীগ বিরোধী। আর ২য় যে নিকটা জামাত ঘেষা কিন্তু প্রথমটার মত র‍্যাডিকেল না। মিনেসোটাতে ওই এলাকায় বসবাসরত বাঙ্গালীর সংখ্যা বেশ কম। কয়েকজন বাঙালী তরুনের সাথে যোগাযোগ করা হোলো যারা আমেরিকায় থাকেন এরপর সেখান থেকে ভূত থেকে ভূতে পদ্ধতিতে বাঙালীদের লিস্ট করা হোলো। মজার ব্যাপার হোলো এই লিস্ট থেকে প্রথম আইজুদ্দিন জনাম মেসকাথ উদ্দিনকে বাদ দেয়া হলো বয়স দেখে।

কেউ বিশ্বাসই করতে পারেনি যে এই বুইড়া ভাম এই কাজ করে এক এপার্টমেন্টে বসে বসে আর নুনু নিয়ে ব্লগ লেখে। দীর্ঘ দিনের যৌন চাহিদা না মেটাতে পারা, সন্তানহীন এক, বৃদ্ধের জীবন। যার জীবন মোটামুটি সফলই বলা যায়। খাওয়া দাওয়া আর দিনরাত ব্লগিং। কিন্তু মিনেসোটার এক তরুন আসলে ত্রাণকর্তা হয়ে আসলো হঠাৎ করে যে সব শুনে বলল সে মিনেসোটার এক ডাক্তারের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আমার ব্লগ নামে একটা সাইট কম্পিউটারের স্ক্রীনে খোলা অবস্থায় দেখেছে।

এই সামান্য তথ্যের থেকেই শুরু। শুরু হয়ে গেলো সেই লোকের বাসার খোঁজ, এই বাদ দেয়া লোকটাই শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠলো আমাদের প্রথম টার্গেট। এরি মধ্যে সেই তরুনও ভুলে গেছে বাসা কোথায় ছিলো, কেননা সে এই মেসকাথের বাসায় গিয়েছে এক অনুষ্ঠানে। এই মেসকাথকে ট্রেস করতে করতে আমাদের সামনে বোম ফাটলো। আমরা পেয়ে গেলাম আরো মজার এক তথ্য।

আইজুদ্দিন নিকের ২য় চালকঃ আমাদের মাথায় একটা ব্যাপার সব সময় ছিলো যে আইজুদ্দিনের নিকটা আসলে দুইজন চালায়। এটা একেবারেই শিওর হওয়া গেছে তার একই স্টেট থেকে দুইটি আইপি দেখে। যেই ২ টি আইপি আমরা আলাদা পেয়েছিলাম সেই দুইটা আইপি আসলে বেশ কনফিউজিং ছিলো। কোনোভাবেই লোকেশন ট্রেস করা যাচ্ছিলো না। এর মধ্যে একদিন হ্যাকাররা জানালো নিশ্চিত ভাবেই যে আইজুদ্দিনের আরেক নিক চলছে মিনেসোটার স্যাভেজ থেকে।

স্যাভেজে এত কম বাঙালী থাকে, মাত্র কয়েকটা পরিবার। খুব সহজেই আমরা বের করে ফেললাম আমাদের কয়েকজন সাসপেক্ট কে। এভাবে তিনজন সাসপেক্টের উপর চোখ রাখতে রাখতেই পেয়ে গেলাম আসল সাস্পেকটকে। সাসপেক্টের নাম শরীফ আজাদ। বয়স ৩৯, জন্ম ১৯৭৪ সালে।

তারপর এর উপর চোখ রাখা শুরু হোলো। মিনেসোটার বাঙালীরাই জানালেন যে মেসকাথ উদ্দিনের সাথে খুবই ভালো খাতির এই শরীফ আজাদের। তার উপর এই ব্যাক্তির পড়া লেখা আইটির উপর। ভাদাইম্ম্যা টাইপের লোক। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।

নিরাপত্তার কারনে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকলাম। আইজুদ্দিন মেয়েদের ফোন দিয়ে হ্যারাস করেছেন, তিনি দুই দুইবার ক্রিমিনাল রেকর্ডের কারনে জেল খেটেছেন, সব রেকর্ড আমাদের আছে জনাব। একটা স্যাম্পল দিয়ে দেই আজ- দেখুন- এই শরীফ আজাদ ফোন দিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করত এবং উপরে দেখতেই পাচ্ছেন সে জন্য সে জেল খেটেছে। আরো প্রমাণ- 310-873-6421 reported on Jun 03 at 06:42 PM I received a call from this number saying he’s taking out a warrant for me for insurance fraud. He called my mother’s cell phone 310-625-6738 reported on Jun 02 at 08:09 PM He says he will give u $5,000 to cum in your pussy. So, when it’s time to set a date(which I had no intentions of going through with it because that disgusting), he will ask for all these nasty pictures. Complete disgusting scam, who doesn’t own a company, and has no $. 310-739-8965 reported on Jun 01 at 04:43 PM Spam! Pushing high interest loans 310-599-9211 reported on Jun 01 at 04:40 PM I just got a call from this number. The person sounded like he was East Indian or Middle Eastern. He identified himself as a Tech from Windows and said that they just received an error message from my computer. When I asked who it was again he ask for me by name. I asked again who it was and he hung up. The number comes up as Vertex. Further research comes up with এর মধ্যে আমরা আমাদের ঢাকার টিমের কাছ থেকে জানলাম যে আইজুদ্দিন কাদের কাদের সাথে ঢাকায় কথা বলে। এর মধ্যে আমাদের সন্দেহের তালিকায় দুইজন ছিলো।

ঢাকার এই দুইজন লোকের মোবাইল ফোনের কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হোলো। যেই ফোনের তথ্য নিয়েছে তারা একদিন আমাদের জানালো যে একটা নাম্বার থেকে বার বার ফোন আসছে। এই নাম্বারটা আমেরিকার মিনেসোটাতে। ব্যাস সেখান থেকেই নাম্বার পেয়ে গেলাম। আমেরিকার বিভিন্ন ওয়েব সাইট আছে।

আপনি ডলার দেন আর সাথে সাথে আপনার চৌদ্দগুষ্টির ঠিকুজি বের করে আনবে এই সাইট গুলো। আমরা সেসব সাইটে ফোন নাম্বার দিতেই পেয়ে গেলাম সেই একই লোককে জনাব শরীফ আজাদকে। এর পরের কাহিনী খুব সামান্য। আমরা আইজুদ্দিন নিকের দুই চালককে পেয়ে যাই। এই দুইজনের মধ্যে লেখার পার্থক্য আছে।

লেখার ধরনের মধ্যে তফাৎ একজন শিশুও বুঝবে। যেমন ধরা যাক যার বয়স ৩৯, সেই শরীফ আজাদ সেদিন শেখ হাসিনার বরাবর একটা চিঠি লিখলো এই বলে যে, প্রিয় হাসিনা ১৯৯১ সালে আমি ছিলাম এক কিশোর…হ্যান ত্যান আরো কথা। আবার এই আইজুই লিখত তার এক মেয়ের কথা আর ছেলের কথা। কারন এই আইজুর এক ছেলে এক মেয়ে। আবার অন্যদিকে বুইড়া মেসকাথ উদ্দিন, ডাক্তার লিখতো সব গালি গালাজ আর আলতু ফালতু থিওরী।

এই দুজনেই আবার মঞ্চের ঘোর বিরোধী ছিলো। এর মধ্যে আবার বুইড়া আইজুর বোনের বিয়ে হয়েছে জামাতের এক লন্ডনী নেতার সাথে। সত্য কথা বলতে আমরা সেই বোনের নাম বের করতে পারি নি এখনো। যেদিন পারব, সেদিন আপনাদের জানিয়ে দিয়ে যাব এই পোস্টেই। যদিও এই তথ্য বের করা এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার।

উপসংহারঃ আইজুদ্দিনকে খুঁজে বের করতে আরো কয়েকটা টিম কাজ করেছে বলেই পরে বুঝলাম। এদের মধ্যে একটা টিম এই লেখা লিখতে লিখতেই শরীফ আজাদের নাম প্রকাশ করে দিয়েছে। সেইটা দেখে আমাদের আইজু সাহেবের দুইটা প্রতিক্রিয়া দেখুন- প্রথম প্রতিক্রিয়াঃ জ্বি এটা আমার নাম এটা আমার পরিবার- এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি বাবা-মার একমাত্র সন্তান এবং আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি মধ্যে কোন রাজাকার কিংবা জামাতি নাই তাহলে আমার নামে এ গুজন রটানোর রহস্য কি এবং কারন কি? কারনটা খুব সোজা আমি বিচারের দাবী এবং বিচারের প্রক্রিয়াকে বিতর্কের উর্ধে রাখতে চেয়েছিলাম সেটাই আমার অপরাধ!আমি যখন বাংলা ব্লগে প্রথম আসি তখন আমি স্যুডো নামে আসছিলাম-যখন আসছিলাম তখন সে এক স্বর্গরাজ্য ছিল অনলাইন ড়াজাকাররা-অনলাইন সুশীলদের সাথে এক ঘাটে পানি খাইতো! সে অবস্হা থেকে উত্তরনের জন্য আমি কাজ করছিলাম-সেটা যখন করা হয় তখন আমার আশে পাশে খুব বেশী লোক ছিলনা- আমি একলা কাজ করে অভ্যস্ত্য- আমার অতীত ঘাটলে সেটাই পাওয়া যাবে! সো থ্যানক ইউ ফর রিলিজিং মাই নেম বাট নাউ দ্যা কোয়েস্চেন ইজ ইমারনের পান্জাবীর হিসাব কি তাতে মিলবে? কিউরিয়াস মাইনড ওয়ানটস টু নো? এই বুইড়া এখন বলছে যে, তার বোনের সাথে নাকি জামাতী নেতার বিয়ে হয় নাই। তাহলে নীচের এই স্ক্রীন শট টা আসুন দেখে নেই। আবার আসুন আরেকতা স্ক্রীনশটও দেখে নেই চলুন- আবার ২য় প্রতিক্রিয়া দেখি চলেন- থ্যানক ইউ বাংলাদেশ- আমি উদায়ন্ত পরিশ্রম তোমার জন্য করেছি গত ৬ বছর এবং সে পরিশ্রমের ফল আমি পেয়েছি! আমার বউয়ের ওয়ালের ব্যাক্তিগত ছবি নিয়ে রাজনীতিবিদদের মতো পোষ্ট করা হয়েছে-আমার আনলিষ্টেড ফোন এনড হোম এড্রেস পাবলিশ করা হয়েছে! নিরাপত্তা অবশ্যই বিঘ্নিত হবে আমাদের-ফোন হয়তো সহজে পরিবর্তন করা সম্ভব-বাড়ী পরিবর্তন অসম্ভব! আমি অভিনন্দন জানাই শাহবাগের সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষকে-আপনারা নেতা হউন- আপনার গনপ্রতিনিধি হউন-তবে কি দেশ আপনারা জনগনকে দিবেন তা এটাতে প্রমান হলো! আপনার এখানে সব গালাগালি রেখে যেতে পারেন! আপনারা জিতসেন-আমি হারসি- খুব সোজা হিসাব-হারা দল হিসাবেই আমার ফিলডে আর থাকা উচিত না! তাই এই একাউনটটি ডিএকটিভেট করা হবে আগামী ৬ ঘন্টা পরে! আমার ব্লগের একাউনটটি ডি একটিভেটে করতে আমি রিকুয়েসট করেছি আমার ব্লগের এডমিনদের – ইউ গায়েস ওয়ান-আমার বৌ আর পুত্র কন্যা নিয়ে আমি তোমাদের সাথে জুয়া খেলবোনা-আমি একজন ভীতু মানুষ-আইজু উড হ্যাভ ফট শরীফ উইল এসকেপ!! আইজু, আপনি আবারো চালাকি করলেন এই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে।

আপনি আপনার লেখাতে সামুর মডারেটর জানা এবং আইরিনকে নিয়ে কত অকথ্য ভাষায় লেখা লিখেছিলেন, সামুর মালিক জানা গুলশান আরার ছবি আপনি আপনার নোংরা নোংরা লেখায় ছেপেছেন, এই মেয়েটিকে আপনি যতটুকু পারা যায় ততবার অনলাইনে হ্যারাস করেছেন, আপনি একের পর এক হ্যারাস করেছেন অনেক ব্লগারকে,এই আপনিই মেয়েদের বুক নিয়ে লিখেছিলেন, কৌশিকের মাথার চুল নেই, সেটা নিয়ে আপনি একের পর এক লিখেছিলেন কৌশিক টাকলা, আপনি ফিউশন ফাইভকে গালমন্দ করেছেন কয়েকশো পোস্টে, আপনি আড়ং এর একটি পোস্টারে একটা মেয়ের ছিবি বার বার ছেপেছেন কি উদ্দেশ্যে আমরা কিন্তু সবই বুঝতাম, আপনি কয়েকটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন ছবি খামাখাই ছাপতেন আপনার লেখায়। অথচ আপনি নিজেও তখন ভাবেন নি যে আইরিন কারো বোন বা বউ, জানা গুলশান আরা কারো স্ত্রী, কারো বোন, আপনি নাম না জানা মেয়েদের কথাও ভাবেন নি। এখন আপনি ইমোশনাল খেলা খেলছেন। আপনি গণ জাগরণ মঞ্চকে একটা মশকারীর স্থানে নামিয়ে এনেছেন। লক্ষ লক্ষ তরুনের, তরুনীর এই জাগরন নিয়ে খেলেছেন, ইমরানের ছবির পাশে কন্ডমের ছবি ঝুলিয়েছেন, ইমরানের কি এতে ক্ষতি হয়নি? ইমরানের পরিবার কি এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি? আপনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই বার বার দেখাতে চেয়েছেন যে ইমরান টাকা মেরে খাচ্ছে, ইমরান এই করছে, সেই করছে।

আপনি কি ইমরানের পরিবারের কথা ভেবেছিলেন ডাক্তার আইজু? আপনি নিঝুমকে চাঁদাবাজ বা ফ্রিডম পার্টি বলে সারাদিন লিখতেন, যেই নিঝুম দিন রাত এই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়েছে, যুদ্ধ করছে। আপনি কি জানেন এই নিঝুম এসব ট্যাগ পেয়ে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো? তাকে কতবার এই ফ্রিডম পার্টির খোটাটুকু শুনতে হয়েছিলো সে নিজে একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষের সত্যকারের মানুষ হয়েও??? আজ আপনি পরিবার শেখাচ্ছেন ডাক্তার আইজু ওরফে শরীফ আজাদ, ওরফে মেসকাথ উদ্দিন!!!! কিভাবে চিত্রায়িত করেছিলেন আপনি ইমরান এচ সরকারকে? চলেন না একটু দেখে নেই- আইজু সম্পর্কে দুইজন ব্লগারের মন্তব্য একটু জেনে নেই, আসুন- এই লেখাটি এখান থেকেও পড়তে পারেন। ধন্যবাদ। । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।