অসীমের পথে হেঁটে বড় ক্লান্ত... মনে হয় চারিদিকে সবই ভ্রান্ত... বড় কঠিন থাকা টিকে জ্যান্ত... তবু দেবোনা এই রণে ক্ষান্ত... আমি পথিক এক ক্লান্ত শ্রান্ত... দিবই পাড়ি পথ অসীম অনন্ত... হ্যালো ব্লগার বন্ধুরা... আজকে আপনাদের সাথে চরম একটি থ্রিলার মুভির কথা শেয়ার করবো। হয়ত অনেকেই দেখে ফেলেছেন তবে যারা দেখেননি তাদের জন্য ১৩৭ মিনিটের টানটান উত্তেজনায় ভরা মুভি রিমান্ড অপেক্ষা করছে... কি বুঝতে পারছেন না... তবে চলুন মুভির কথায় ফিরে যাই...
(বি.দ্রঃ রিভিউটি আগে আমরা ɯoʌıǝ পাগল™ বোইন qɹoʇɥǝɹ পেইজে শেয়ার করেছিলাম)
আপনি কখন কি করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সাথে কথা বলছেন, কি কথা বলছেন এরকম করে আপনার জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি মুহূর্ত এমনকি চরম ব্যক্তিগত ব্যাপার গুলোও যদি কেউ বসে বসে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে তবে ব্যাপারটা কেমন হবে????? কিংবা আপনি যদি খুব লম্বা সময়ের জন্য অন্য কারো জীবন খুব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন তখনি বা কি হবে????
১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব জার্মানির(GDR) কুখ্যাত ও ধূর্ত গুপ্ত পুলিশ বাহিনী "Stasi" ক্ষমতায় ছিল। তাদের প্রধান কাজ ছিল দেশের সকল মানুষকে পুরোপুরি ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের মাঝ হতে ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের লোকদের খুজে বের করা এবং তাদেরকে শাস্তি দেয়া সহ আরও নানারকম অত্যাচার করা। এবং এতটাই কঠিন ছিল সেই শাস্তি যে অনেকেই ওখান থেকে মুক্তির পর আত্মহত্যা করেছিল। ১৭ মিলিয়ন জনগনের দেশের জন্য তাদের ছিল প্রায় ৯০০০০ অফিসার ১০০০০০ এরও বেশি গুপ্তচর।
"The Lives of Others" ২০০৬ সালে জার্মান পরিচালক Florian Henckel von Donnersmarck এর পরিচালিত প্রথম মুভি। এটি রাজনৈতিক থ্রিলার ধাঁচের মুভি। ২০০৬ সালের শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে অস্কার জয়ী মুভি এটি। মুভির রেটিং-
Imdb-8.5/10, Rotten Tomatoes- 93% fresh, 95% liked it, average rating-4.4/5
মুভির কাহিনী গড়ে উঠেছে মূলত পূর্ব বার্লিনে ১৯৮৪ সালে GDR এর পতনের ৫ বছর আগে যখন GDR নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য চরম শোষণমুলক পন্থা হিসেবে "stasi" পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় দেশের সকল নাগরিকদের কে কড়া পর্যবেক্ষণের মাঝে রেখে তদারকি শুরু করে। এবং কারো একটু পান থেকে চুন খসলেই তাকে ধরে নিয়ে কঠিন সব শাস্তি দিত।
ঠিক সেইরকম সময় "stasi" পুলিশের দুর্ধর্ষ এজেন্ট ক্যাপ্টেন উইস্লারের উপর পূর্ব জার্মানীর বিখ্যাত লেখক জর্জ ড্রিম্যান ও তার প্রেমিকা মঞ্চের নায়িকা ক্রিসটা মারিয়া সিল্যান্ডের নজরদারি করার দায়িত্ব পড়ে।
ক্যাপ্টেন উইস্লার বেশ কঠিন এক চরিত্র। সে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের অন্ধ অনুসরণকারী। সে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিলে যত দেরিই হোক কথা বের করার আগে পর্যন্ত সন্দেহভাজনকারির মুক্তি নেই।
অন্যদিকে ড্রিম্যান সাদাসিদা একজন লেখক যে কিনা সমাজতন্ত্রের প্রতি অনুগত।
তবে নিজস্ব বোধ-জ্ঞান সম্পন্ন একজন সুনাগরিকও।
আরও আছে ড্রিম্যানের প্রেমিকা সুন্দরি ক্রিসটা মারিয়া সিল্যান্ড ও ক্রিসটার প্রতি দুর্বল এক দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী।
উইস্লার ২৪ ঘণ্টা ড্রিম্যানের উপর নজদারি শুরু করে। ড্রিম্যানের এপার্টমেন্টের সব জায়গায় এমনকি বাথরুমে পর্যন্ত বাগ ও ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
এভাবে করে নজর রাখতে রাখতে উইস্লারও ড্রিম্যানের জীবনে ঢুকে পড়ে।
আর অন্যদিকে ক্রিসটা ও সেই মন্ত্রিও তো আছেই। তারপর... তারপরই তো মজার শুরু... জানতে হলে দেখে ফেলুন।
পরিচালক Florian Henckel von Donnersmarck তার প্রথম মুভিতেই চমৎকার কাজ করেছেন। তৎকালীন পূর্ব জার্মানি ও "stasi" বাহিনীর সব অমানবিক কার্যকলাপ এবং এসব ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাওয়া মানুষের অবস্থা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পুরো মুভিটিতে তিনি অসাধারণ ভাবে সেই সময়কার সকল ঘটনা গুলোকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
শেষ কথা এটি এমন একটি মুভি যা মিস করা উচিত হবে না।
"An innocent prisoner will become more angry by the hour due to the injustice suffered. He will shout and rage. A guilty prisoner becomes more calm and quiet. Or he cries. He knows he's there for a reason. The best way to establish guilt or innocence is non-stop interrogation."
মুভির নামঃ The Lives of Others (2006)
রেফারেন্স সমূহঃ
http://www.imdb.com/title/tt0405094/
Click This Link
Click This Link
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ
The.Lives.Of.Others.2006.720p.Bluray.x264.anoXmous 796MB
(ধন্যবাদ ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।