১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিনিধিত্বকারী দল আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরপরই দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপর জেল থেকে ফিরে এসে রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব নিয়েই এমন সব কাজ শুরু করলেন, যেন দেশটা তার একক সম্পদ । উনার সম্পদ উনি যা ইচ্ছে তাই করবেন। তার মধ্যে কারো নাক গলানোর অধিকার নাই। চার বছরে উনি দেশটার বারটা বাজিয়ে দিলেন।
এরপর তার ফলও ভোগ করলেন নৃশংস এক হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে।
তার সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসলেন। কিন্তু দেশবাসীকে এমনই হতাশ করলেন যে, ২০০১ সালের নির্বাচনে তার দলের ভরাডুবি হল। আওয়ামী লীগ যে রকমই হোক না কেন, দেশের অন্তত ৩০ ভাগ মানুষ এদেরকে সমর্থন করে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে। এটি হচ্ছে আমাদের মাতৃভূমিকে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার প্রতিদান।
কিন্ত এই ৩০ শতাংশ মানুষের ভালবাসার প্রতিদান কখনোই দিতে পারেনি দলটি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে আবারো মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের মহান অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে এবং কিছু অলিক স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসলো। কিন্তু হায়রে জাতির দুর্দশা!!! পুরো দেশের মানুষ এখন নীরবে আহাজারি করছে। কেউ কিছু বলতেও পারছে না, সইতেও পারছে না। 'বলতেও পারছে না' এ জন্যে বললাম, কারণ কেউ সরকারের কোন রকম অন্যায়,অবিচার কিংবা ব্যর্থতার কথা বলতে গেলেই সে সরকারের রোষানলে পড়ছেন।
এই ভাবে যদি মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধিত্বকারী দলই তাদের নিজের হাতে গড়া দেশকে ধ্বংস করে তাহলে জাতি কোন দিকে যাবে?? দেশের কি হবে? আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির শেষ আশ্রয় কোথায় হবে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।