আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরাপদ করুন আপনার ফেসবুক একাউন্ট; (ফিশিং ও হ্যাকিং থেকে বাচুন)

জামাত-শিবির দূরে গিয়া মর! ইদানিং লক্ষ্য করা যায় ফিশিং এর দ্বারা ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং হচ্ছে। এই ব্লগেই উদাহরন দেখলাম। যারা এই স্ক্যামের পাল্লায় পড়ে ফেসবুক একাউন্ট হারিয়েছেন তাদের সমবেদনা। আসুন দেখি কিভাবে ফিশিং থেকে বাচা যায়ঃ ১) ভাল মানের এন্টি ভাইরাস ব্যাবহার করুন এবং সবসময় আপডেট রাখুন। ২) এন্টি-স্পাইওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

৩) অযথা বা ব্যবহার না জেনে ব্রাউজারে কোন "এড অন" বা "এক্সেটেনশন" ব্যবহার করবেন না। ৪) ইমেইলের মাধ্যমে ফেসবুক কখনো পাসওয়ার্ড রিসেটের অনুরোধ করে না। তাই এইসব ইমেইল এড়িয়ে চলুন। ৫) অচেনা কারো পোষ্ট/ইমেইলে দেয়া লিংকে সরাসরি ক্লিক করবেন না, লিংকটি কপি করে নতুন একটি ট্যাব ওপেন করে পেষ্ট করুন। ৬) কোন লিংক থেকে ফেসবুকের লগইন পেজ আসলে আগে এড্রেসবারে দেখুন।

ফিশিং স্ক্যাম গুলো সাধারনত লম্বা ইউআরএল এর মত হয়। ফেসবুকের লগইন পেজ এর এড্রেস অবশ্যই https://www.facebook.com/ বা http://www.facebook.com/ দিয়ে শুরু হবে। তবে এর পরেও কিছু থাকতে পারে। তবে প্রাথমিক অংশে যদি facebook.com/ ছাড়া অন্য কিছু থাকে তবে কখনোই সেখানে কোন ইনফো (আইডি/পাসওয়ার্ড) দিবেন না। ৭) কারো দেয়া লিংক থেকে যদি ফেসবুকের লগইন পেজ ওপেন হয়, তবে সেটা ক্লোজ করে দিন।

আপনার যদি ফেসবুকে লগইন করতে হয় তবে ম্যানুয়ালি ফেসবুক ওপেন করুন। ভুলেও অন্যের দেয়া লিংক থেকে লগইন করতে যাবেন না। ৮) ইমেইলে অচেনা কোন মেইল থেকে এটাচমেন্ট আসলে তা ডাউনলোড থেকে বিরত থাকুন। ৯) ফেসবুকের একাউন্ট সেটিং > সিকিউরিটি > সিকিউর ব্রাউজিং এনাবল করে দিন। ১০) ফেসবুকে যদি আপনার মোবাইল নম্বর (ভেরিফাই কৃত) দেয়া থাকে, তবে "একাউন্ট সেটিং > সিকিউরিটি > লগইন নোটিফিকেশন" এবং "একাউন্ট সেটিং > সিকিউরিটি > লগইন এপ্রুভালস" এনাবল করে দিন।

এরপর থেকে অচেনা/নতুন কোন ডিভাইস থেকে আপনার একাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করা হলে আপনার মোবাইলে টেক্সট মেসেজ আসবে। যেখানে একটা একটি কোড আসবে। তখন নতুন ঐ ডিভাইস দিয়ে আপনার একাউন্টে ঢুকতে হলে মোবাইলে আসা সিকিউরিটি কোড ছাড়া ঢোকা যাবে না। ১১) ফেসবুকে আবোল-তাবোল বা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ব্যবহার করবেন না। ১২) Privacy settings > Ads, Apps and Websites > How people bring your info to apps they use এ গিয়ে "My app activity" ছাড়া বাকি সব টিকমার্ক উঠিয়ে দিন।

১৩) ফেসবুকে আপনার মেইল এড্রেস ও মোবাইল নাম্বারের ভিসিবলিটি "অনলি মি" করে দিন। ১৪) কোন পেজ সার্ফিং/ব্রাউজিং করার সময় এড্রেসবারে https:// থাকলে সেটা সিকিউর বা নিরাপদ পেজ। এমন পেজে https:// এর আগে একটা সবুজ রংয়ের লক আইকন থাকে। যদি কোন সময় http:// এর আগে লাল ক্রস থাকে তবে সে পেজ ভিজিট না করাই ভালো। ১৫) ফেসবুক থেকে সব সময় লগ আউট করে বের হবেন।

তবে লগ আউটের আগে নিচে ডানপাশের "চ্যাট" বক্সে ক্লিক করে চাকতি আইকনে ক্লিক করে "টার্ন অফ চ্যাট" এ ক্লিক করুন। ১৬) আপনার সামনে কেউ ফিশিং স্ক্যাম করলে সবাইকে সতর্ক করুন। এবং স্ক্যাম পোস্ট/মেইল রিপোর্ট করুন। একটা ফেসবুক একাউন্ট শুধুই ভার্চুয়াল একটা একাউন্টই না, এখানে ব্যক্তিগত অনেক তথ্য থাকে। তাই এর যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

সবাইকে এত কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.