আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরুর মাংস খেলে বেশি মিথ্যা বলে!! একটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, ভিত্তিহীন,অসত্য ও বিভ্রান্তিকর গবেষণা

আমি সত্য জানতে চাই ভারতের একটি বিতর্কিত পাঠ্য বইয়ে বলা হয়েছে, গো মাংস ভক্ষণকারীরা সহজে মিথ্যা কথা বলে, প্রতারণা করে, প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যায় এবং যৌন অপরাধ করে। বিবিসির খবরে একথা বলা হয়। ১১ থেকে ১২ বছরের কিশোর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক ‘নিউ হেলথওয়ে’ নামে বইটি মুদ্রণ করেছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা এস. চাঁন। তবে ভারতের কোন কোন স্কুলে বইটি পাঠ্য করা হয়েছে তা জানা যায়নি। কিন্তু হাত বাড়ালেই সর্বত্র বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

বইটি সম্পর্কে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা অধিকতর সংযম প্রদর্শনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশনের অধ্যাপিকা জানকি রঞ্জন বলেছেন, বইটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিষাক্ত। ইচ্ছা করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু তারা চোখ কান বন্ধ রাখছে। বইটির ‘আমাদের কি আমিষ খাদ্যের প্রয়োজন আছে?’ শীর্ষক একটি অধ্যায়ে লিখা হয়েছে, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তি হচ্ছে যে, মাংস অপরিহার্য খাদ্য নয়।

বিশ্ব স্রষ্টা আদম ও ইভের (মা হাওয়া) খাদ্য তালিকায় মাংস অন্তর্ভুক্ত করেননি। তিনি তাদের ফল-মূল, বাদাম ও শাকসব্জি খেতে দিতেন। ’ বইটিতে নিরামিষ ভোজনের উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে আরো লিখা হয়েছে, ‘সুয়েজ খাল খননে সহায়তাদানকারী আরবরা রুটি ও খেজুর খেতো। কিন্তু একই কাজে তারা ছিল মাংস ভক্ষণকারী ইংরেজদের চেয়ে কর্মঠ।

’ একথা সত্য যে, মানব জীবনের একটা বয়সে মাংশ অর্থাৎ গরুর মাংশসহ লাল মাংশ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। সুতরাং গরুর মাংশ সহ লাল মাংশ (রেড মিট) এর পরিবর্তে নিরামিশ ভোজন বা কম আমিষ জাতীয় খাদ্য (কম ক্যালরীর খাদ্য) গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে অসত্য ও যুক্তিহীন গবেষণার অযুহাত দেখিয়ে বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত হানা অয়োক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একথা অনস্বীকার্য ও যে উরোক্ত গবেষণা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই গবেষণার অবতারণা করা হয়েছে। গরুর মাংস খেলে বেশি মিথ্যা বলে এমন যুক্তি অসাড়, এর কোন ভিত্তি নাই।

সত্যবাদিতা ইসলাম ধর্মের অন্যতম মূল মন্ত্র। মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ অনাদিকাল থেকে গরুর মাংস খেয়ে আসছে। এবং সত্যবাদিতার প্রমান দিয়ে আসছে। অন্য ধর্মের মানুষও গরুর মাংশ ভক্ষণ করে এমন কি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী কিছু মানুষও গরুর মাংশ খেয়ে থাকে। তাই বলে গরুর মাংশ খেলেই তারা মিথ্যাবাদী হয় এমন যুক্তি ধোপে টিকেনা।

আমরা এই বিতর্কিত গবেষণার নিন্দা জানাই। তাছাড়া মুসলমান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকরা স্পর্সকাতর বিষয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল ব্যখ্যা প্রদানকারী বিতর্কিত গবেষণা ধর্মী সংশ্লিষ্ট বইটির প্রত্যাহার দাবী করছি। সূত্রঃ BBC, News India India textbook says meat-eaters lie and commit sex crimes  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।