আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কিন আশির্বাদে গাজায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলা

"জীবনবোধ মানুষকে তার রূপ-রস-রঙে ভরে তোলে কানায় কানায়, জীবনকে দেখবার প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৃথিবীটাকে মোচড় দিয়ে বদলে দিতে চায়" বর্তমান পরিস্থিতিতেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি যদি বিশ্ববাসীর মোহভঙ্গ না ঘটে তাহলে নতুন করে বলার কিছু নাই। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থের প্রধান তল্পিবাহক ইসরায়েলের দ্বারা 'পিলার অব ডিফেন্স' নামে যে নতুন নৃশংস হামলা ফিলিস্তিনবাসী, বিশেষত গাজায় বসবাসরত নাগরিকদের ওপর শুরু হয়েছে সে বিষয়ে মার্কিন ক্ষমতাসীনদের সুস্পষ্ট সমর্থন কোনো গোপন বিষয় নয়। তাদের আশির্বাদ মাথায় নিয়েই ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান গাজার ফিলিস্তিনি বসতিগুলো ধ্বংস করছে, অসংখ্য নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধকে হতাহত করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ জন নিহত এবং সাড়ে তিনশ' সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে, যার মধ্যে একটি বড় অংশই নিষ্পাপ শিশু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দীর্ঘসময় ধরে চলে আসা ইসরায়েলের সামরিক সন্ত্রাসকে 'আত্মরক্ষার অধিকার' বলে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে।

তাদের মালিকানাধীন প্রচার মাধ্যমগুলোও এ বিষয়ে নির্লজ্জভাবে সর্বদা সাম্রাজ্যবাদী নীতির পদলেহন করেছে। বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তিনজন ইসরায়েলির মৃত্যুর ঘটনাকে 'হত্যা' এবং ইসরায়েলি হামলায় ত্রিশ ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে সাধারণ মৃত্যু হিসেবে প্রচার করছে। এদিকে নির্মম পরিহাসের বিষয় হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় বিবিসিরই একজন স্থানীয় সাংবাদিকের সন্তান 'মৃত্যুবরণ' করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্কশায়িনী সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ এই ঘটনার জন্য 'উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান' জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবগণ পদাধিকারবলে যাই হোক না কেন, কার্যক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা হোয়াইট হাউসের ঝাড়ুদারের চাইতে বেশি কিছু নয়।

এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের জঙ্গি সংগঠনগুলো, সাধারণ মানুষ এবং ক্ষমতাসীন হামাস সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তবে মার্কিন সাহায্যপুষ্ট সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রের বিপরীতে তাদের এই সামান্য প্রতিরোধ বালির বাঁধের চাইতে অধিক কিছু নয়। কিন্তু এই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় আমরা অন্য কোনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উত্থানের কামনা করতে পারি না, যেকোনো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসবে এবং চূড়ান্তরূপে বিজয়ী হবে সাধারণ মানুষই। কিন্তু কীভাবে? সারাবিশ্বের ৯৯% জনগোষ্ঠী, যারা সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের সাথে সরাসরি সম্পর্কসূত্রে আবদ্ধ নয় এবং সাম্রাজ্যবাদের তৎপরতায় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ- তাদের ঐক্য এখন সময়ের দাবি। বর্তমান আগ্রাসন আমাদের দেখিয়ে দ্যায় কতোটা গভীর অন্যায় একটি বিশ্বব্যবস্থায় মানুষ বসবাস করছে।

এই বিশ্বব্যবস্থাকে পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে মানুষকে- তাদের অভিন্ন স্বার্থের সংযোগসূত্রটি আবিষ্কার করতে হবে, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে। সাম্রাজ্যবাদের চূড়ান্ত ধ্বংস ছাড়া মানবতার মুক্তির ভিন্ন পথ নাই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.