সব কিছু ভুলে একটু ভেবে দেখুন বিবেককে সাথে নিয়ে।
সৃষ্টিকর্তা গুপ্ত ও অব্যক্ত ছিলেন । তখন উনার কোন প্রশংসা ছিল না, তার প্রশংসার প্রকাশ তখনও আরম্ভ হয়নাই। তিনি “নূর” অর্থাৎ “জ্যোতির্ময়”।
“নূরে মোহাম্মাদী” রূপে যখন আত্মপ্রকাশ করলেন, তখন উহাই হইল তাহার সকল প্রশংসার আধার, সমগ্র সৃষ্টি “নূরে মোহাম্মাদী” হতে আগত হয়েছে এবং হইতেছে।
সুতরাং, সমস্ত প্রশংসার মুলাধার হইলেন “নূরে মোহাম্মাদী”। “নূরে মোহাম্মাদী” কোন একটি ব্যক্তি নয়, উহা অসংখ্য জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্বের মূলাধার, সে ব্যক্তিত্বের মৌলিক অর্থাৎ সাধারন নাম হইল “মোহাম্মাদ” অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রশংসিত।
এই সৃষ্টি জগতে এমন একজন মুলাধারের আগমন যিনি প্রদীপ্ত প্রদীপ, যিনি সর্ব সাধকদের শিরোমণি, যিনি আল্লাহ্র জাহিরী রূপ “হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাঃ)”, এই ধরণীর বুকে খুদায়ী ফরমান নিয়ে আগমন করেছেন। আমরা মানুষ উনারি অনুসরণ করবো সত্য দ্রষ্টা হয়ে, এটা কি সারা জাহানের কর্তব্য নয়??? উনি যে হেরা গুহার সন্ধান দিয়ে গেছেন, তাহা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বিরাজমান, আমরা সকলেই তাহা ভুলে গিয়াছি। হেরা গুহা কোন পর্বত গুহা নয়, এ গুহা প্রতিটি মানব দেহের মধ্যেই বিদ্যমান।
হেরা গুহাকে আর এক নামে জ্ঞান কেন্দ্র বলা হয়। যিনি এ গুহায় ধ্যানস্থ অবস্থায় প্রবেশ করিবেন বা নিমজ্জিত হইতে পারিবেন তিনিই আল্লাহ্র সৃষ্টির রহস্য, আল্লাহ্র পরিচয় এবং নিজেকে চেনা, নিজেকে জানা, নিজেকে বুঝতে পারিবেন। এই ধ্যান “হুযুর’পাক (সাঃ)” সহ প্রতিটি নবী পয়গম্বর, অলী-আউলিয়া, মুনিঋষি, সাধকজন প্রেরত তথ্য প্রকাশের পূর্বে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় যে মহা জ্যোতির সন্ধান লাভ করিয়া ছিলেন সেই মহা জ্যোতির প্রাপ্তি ব্যতীত মানব জীবন পরিপূর্ণ ভাবে সার্থকতা লাভ করিতে পারে না। এই হেরা গুহার প্রাপ্তব্য বিষয় হইল জ্যোতির্ময় কোরআন, পূরান, বেদ-গীতা, বাইবেল ইত্যাদি। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সৃষ্টি করে বলেন “মানুষ আমার রহস্য” , এই মানুষকে নিয়ে যত আমার লিলা, এই লিলাতেই আমি বাস করি।
আমি সৃষ্টি করি মানুষকে বারাম খানায় বসে (Uterus অথবা মাতৃ গর্ভকে বারাম খানা বলা হয়)। এই মাতৃগর্ভ অথবা বারামখানা পবিত্র স্থান।
আমাদের পিতা-মাতার আনন্দময়ী প্রেম-ভালবাসার যত্নের ফসল আমরা মানব, সুক্রাকিট ও ডিম্বাণুর প্রক্রিয়ায় আমরা সৃষ্টি। যখন আমরা মাতৃগর্ভে রক্ত পিণ্ড হয়ে আছি তখন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে একটা নূরের ফুঁৎকার দেন এবং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন জ্যোতির্ময় ফুঁৎকার দিয়ে বারাম খানায় বসে আমাদের লালন পালন করতে শুরু করেন,তখন আমরা মাংস পিণ্ডতে ধারন করি এবং পরিপূর্ণ একটা মানুষ অবয়বে সৃষ্টিতে আসি, অনেক আদর করে উনি আমাদের অবয়বকে উনার শিল্পমনা দিয়ে যত্ন করে আমদের অবয়বের হাতের যায়গা হাত, চোখের যায়গায় চোখ, সমস্ত ইন্দ্রিয় গুলিকে উনি সুন্দর অব
স্তায় অবস্তান করে দেন, আর দেহের ভিতর যকৃত, পীলহা, হৃদপিণ্ড এইভাবে সমস্ত দেহ যন্ত্র সাজিয়ে দেন। তখন আমি পরিপূর্ণভাবে একটি মানব আকৃতিতে গঠন হই।
যখন উনি উনার নূরের ফুঁৎকারটা দেন তখন থেকে শুরুহয় আমাদের দেহের গঠনপ্রণালী। এই ফুঁৎকার মাথার তালুর থেকে এসে ঘাড়ের পিছন থেকে একটি রগ নালীর ভিতর দিয়ে মলদ্বার এবং পিসব্দার এর মাঝখানে একটা গর্ত আছে সেই গর্তে এসে জ্যোতির্ময় নূরটি অবস্থান নেয়। আর এই গর্তের নামই “কুণ্ডলিনী”।
উনি আমাদের দেহের জীবাত্মা হয়ে আছেন।
(ফ্যানের সুইচ যেমন অন করলে পাখা ঘোরা শুরু করে তেমন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যখন ঐ নূরের ফুঁৎকারটা মানব দেহে প্রবেশ করান তখন থেকেই আমাদের দেহের রক্ত-সঞ্চলন,কোষ সঞ্চলন,হৃদস্পন্দন শুরু হয়,এইভাবে পালনকর্তা হয়ে লালন পালন শুরু করেন)।
সৃষ্টিতে এসে মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে ততই কুণ্ডলিনীর গর্তের ঐ নূরের ফুঁৎকারটা পাথর আকার ধারন করতে থাকে। এই ফুঁৎকারটি পাথর আকার থেকে কোমল আকারে ধারন করাইতে আমাদের কি করতে হবে???? ধ্যান ধ্যান ধ্যান............
চলবে......... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।