আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন জেনে নেই " নামাজ না পড়লেও ইমান ঠিক আছে" এই কথাটি সত্য কিনা

প ইহুদীরা সবসময় মুসলিমদের মসজিদের ফজরের জামাতের খোজ খবর রাখে কারন তারা জানে যখন মুসলিমদের মসজিদগুলোতে ফজরের জামাতে কাতারগুলো কানায় কানায় পুর্ন থাকবে সেদিন আর মুসলিমদের দমিয়ে রাখা যাবে না । যদিও আমরা দেখি জুমার দিন মসজিদে জায়গা না পেলেও বাকি সময় মসজিদে দুই কাতারই হতে চায় না। আমাদের সমাজে বিশেষ করে মুসলিম যুবকদের মাঝে একটি কথা খুব প্রচলিত তা হলো (নামাজ না পড়লেও ইমান ঠিক আছে)। আসলে সে জানেইনা নামজ না পড়লে সে মুসলিমই থাকে না। মুসলমানদের নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অগ্গতাই মুসলমানদের প্রধান শত্রু।

সালাত ত্যাগ করাকে হাদীসে মুমিন এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্যকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : জাবির (রা: ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, " মুসলিম ব্যাক্তি ও মুশরিক ও কাফেরের মধ্যে্ পার্থক্য হচ্ছে সালাত পরিত্যাগ করা। "( সহীহ মুসলিম ২৫৬ ) । এই হাদিস অনুযায়ী বুঝা যায় ইচ্ছা পুর্বক সালাত ত্যাগকারী মুমিন থাকেনা কাফের হয়ে যায়। অপর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে : আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রা: ) তার পিতা থেকে বর্ননা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের এবং তাদের মাঝে নিরাপত্তার অংগিকার হচ্ছে সালাত।

সুতরাং যে ব্যাক্তি তা পরিত্যাগ করলো সে কাফের হয়ে গেলো । ( সুনানে তিরমিজি ২৬২১, সুনানে নাসায়ী, সুনানে ইবনে মাজাহ ১০৭৯, মুসনাদে আহমদ ২২৯৩৭ ) অপর হাদিসে ইরশাদ হয়েছে : আবু দারদা (রা: ) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন : আমার বন্ধু ( রাসুল সাল্লাল্লাহু ) আমাকে অসিয়াত করেছেন যে , তুমি আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরিক করবে না যদি তোমাকে টুকরা টুকরা করা হয় অথবা আগুনে পোড়ানো হয়, ইচ্ছাকৃত সালাত ত্যাগ করবে না কেননা যে ইচ্ছাকৃত ফরজ সালাত ত্যাগ করলো তার থেকে আল্লাহর দায়িত্ব মুক্তি হয়ে যায়। ( সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪, মুসতাদরেক হাকেম ৬৮৩০ ) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা: ) বলেন : যে সালাত আদায় করলো না তার কোনো দ্বীন নাই। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা: ) বলেন : যে ব্যাক্তি সালাত ত্যাগ করলো ইসলামে তার কোনো অংশ নাই। সকল মুসলিম ভাইদের কাছে আবেদন আসুন নামাজ নিজে পড়ি এবং পরিবারের সবাইকে নামাজ পড়তে অনুপ্রানিত করি ।

আল্লাহ আমাদের তওবা কবুল করুন । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.