আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অজানা --- বিজ্ঞানী নিউটন

আমরা সকলে বিজ্ঞানী নিউটনকে চিনি। যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করি না , তারাও নিউটন কে চিনি। অনেকের মতে নিউটন সর্বকালের সবচেয়ে মহান এবং সবচেয়ে প্রভাবশালি বিজ্ঞানী। তার প্রকাশিত Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica বইটি আধুনিক বলবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করে। তার আবিষ্কৃত মহাকর্ষ সুত্র এবং গতিবিদ্যার তিন সুত্র তিন শতক পর্যন্ত মহাবিশের চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।

আমরা সবাই জানি যে পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদান আস্বীকার করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানী নিউটন এর ব্যাপারে এই সব তথ্য আমরা সবাই জানি। এখন বিজ্ঞানী নিউটন এর ব্যাপারে কিছু অন্নরকম তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরি। ১। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার দিন : আশ্চর্য জনক হলেও, এটা সত্যি যে বিজ্ঞানী নিউটন পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার দিন হিসাব করে বের করেছিলেন।

তার মতে পৃথিবী ধ্বংস হবে ২০৬০ সালে, যা হচ্ছে পবিত্র রোমান রাজ্য প্রতিষ্ঠা হওয়ার সাল থেকে ঠিক ১২৬০ বছর পর। তবে আমাদের ভাগ্য ভাল, কারন তিনি তার এই ভবিষ্যতবাণী কোন বিজ্ঞান এর সুত্র ব্যাবহার করে করেননি। তিনি তার এই ভবিষ্যতবাণী করেছেন বাইবেল বিশ্লেষণ করে। তার এই ভবিষ্যতবাণী পাওয়া যায় তার এক প্রকাশিত চিঠিতে। এই চিঠিতে তিনি আরও বলেন, “পৃথিবী ২০৬০ এর আগেও ধ্বংস হতে পারে, এর পরে ধ্বংস না হওয়ারও কোন কারন দেখি না”।

২। অ্যালকেমি : প্রথমে বলি অ্যালকেমি জিনিসটা কি। অ্যালকেমি হচ্ছে বর্তমান রসায়ন বিজ্ঞান এর প্রাচীন রুপ। নিউটন এর যুগে রসায়ন বিজ্ঞান ছিল তার প্রাথমিক পর্যায়ে। তখনকার অ্যালকেমিস্ট্-রা ছিলেন অনেকটা দার্শনিক।

প্রাচীন অ্যালকেমিস্ট-রা মনুষ্যত্ব এর সাথে মহাবিশের প্রাকৃতিক এবং সাংকেতিক মিলনে বিশ্বাস করতেন। এক কথায় তারা ছিলেন হাই ক্লাস এর দার্শনিক। অ্যালকেমি এর প্রধান দুটি উদ্দেশ্য ছিল বা এখনও আছে। তা হছে পরশ পাথর (Philosophers Stone) বানানো। পরশ পাথর কি তা তো জানেনই।

পরশ পাথর যেকোন ধাতুকে সোনা বানাতে পারে। এবং তাদের অপর উদ্দেশ্য ছিল আম্রিত সুধা (elixir of life) যা কোন মানুষ কে আমরত্ত দান করতে পারে। পরে গিয়ে অ্যালকেমিস্টদের মাথা ঠিক হওয়া শুরু করে এবং এই অ্যালকেমি আস্তে আস্তে আধুনিক রসায়ন বিজ্ঞান রুপ নেয়। তবে অ্যালকেমি এবং রসায়ন একদম ভিন্ন জিনিস। এখন নিওটন এর সাথে এই অ্যালকেমির কি সম্পর্ক ? হয়তো বিশ্বাস করবেন না, বিজ্ঞানী নিউটন তার জীবনের অনেক বড় একটা অংশ এই অ্যালকেমির পিছনে ব্যায় করেছেন।

নিউটন প্রকৃতির রহস্য এর উপর খুব আগ্রহি ছিলেন। এই রহস্য উদ্ঘাটন এর জন্যই তিনি পদার্থবিজ্ঞান এর বিভিন্ন শাখায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। নিউটন এর সময় রসায়ন ছিল একদম তার প্রারম্ভিক পর্যায়ে। তখন রসায়ন ছিল অ্যালকেমি এবং তা বিজ্ঞান এর ধারে কাছে ছিল না। নিউটন এর মৃত্যু এর কয়েক দশক পরে রসায়ন এর উন্নতি শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে তা আধুনিক রসায়ন বিজ্ঞানে রুপ নেয়।

নিউটন বিশ্বাস করতেন অ্যালকেমি তাকে ঈশ্বরের রহস্য আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বিশ্বাস করতেন এই রহস্য বিভিন্ন পুরানো কবিতা, ধার্মিক লেখা, বাইবেল এর মাধ্যমে যুগে যুগে আমাদের সাথে আছে। তবে কেও এই রহস্যটা বের করতে পারছে না ,কারণ,এটা আছে কোড আকারে। এই কোড ভাঙ্গা এবং তার অর্থ বুঝা একমাত্র অ্যালকেমির মাধমেই সম্ভব। অ্যালকেমির পুরানো বইপত্র ঘাঁটলে কিছু রেসিপি পাওয়া যায়।

এই রেসিপিগুলো হচ্ছে ধাতুর সাথে ধাতু গলিয়ে অন্য নতুন ধাতু বানানোর। নিউটন ধার্মিক বই, বাইবেল, আরও পুরানো অ্যালকেমির বই নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন এই রেসিপি পাওয়ার জন্য। একবার তিনি একটা রেসিপি পান, যা নিয়ে তিনি ল্যাবে কাজ করেন, এবং ফলাফল হিসেবে একটি বেগুনী ধাতু পান। আজব। অন্যান্য অ্যালকেমিস্টদের মত নিউটনের ও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পরশ পাথর বানানো।

আমার এটা অবিশ্বাস্য লাগে যে, নিউটন এর মত একজন বিজ্ঞানী তার জীবন এর বড় অংশ ব্যয় করেছেন পরশ পাথর বানানোর চক্করে। তিনি এটাকে ঈশ্বর এর রহস্যর অংশ মনে করতেন। তিনি তার নামকে ল্যাটিনে আনুবাদ করেন এবং অক্ষরগুলো কে এদিক ওদিক করে দেখেন যে তা অক্ষরগুলো একটা অর্থ প্রকাশ করে। এর অর্থ ঠিক কি ছিল তা জানা যাই নি, তবে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি একমাত্র পরশ পাথর বানানোর জন্য উপযুক্ত। তিনি ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত।

তিনি তার নাম থেকে এই তথ্য কিভাবে পেলেন তা বুঝা যায় না। রাতের পর রাত তিনি তার ল্যাবে এই অ্যালকেমি নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। এই সময়ে তিনি সমাজ থেকে অনেকটা বিছিন্ন হয়ে পরেন। তাকে মানসিকভাবে বিসন্ন এবং হতাশাগ্রস্ত দেখা যায়। তার মানসিকতার পরিবর্তন হয়।

মাঝে মাঝে উল্টা পাল্টা ব্যাবহারও করেন। এটা সম্ভবত অ্যালকেমিতে তার কাজ বিফল হওয়ার কারনে হয়। এবং বিভিন্ন বিষাক্ত ধাতু যেমন পারদ, শিশা নিয়ে কাজ করার জন্যও হতে পারে। ১৬৯৩ সালে তিনি সম্ভবত তার শেষ অ্যালকেমির পরীক্ষা চালান। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই এক্সপেরিমেন্টটা ঈশ্বর এর রহস্য তুলে ধরবে।

মনে হয় তিনি পরশ পাথর বানানোরই চেষ্টা করেন এই পরীক্ষায়। যাই হক, তিনি সোনা এবং পারদ মিশিয়ে একটি ধাতু তৈরি করেন। তবে এই ধাতু তিনি যা চাছিলেন তা না। তিনি তার শেষ কাজে সফলতা পেলেন না। অ্যালকেমি তার জীবনের একটা অসফল অংশ হিসেবেই রয়ে গেল।

নিউটন এর সময়ে ইংল্যান্ড অ্যালকেমির কিছু কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কারন সবাই যদি অ্যালকেমির মাধ্যমে পরশ পাথর বানিয়ে ফেলে, আথলে সবাই তো অনেক সোনার মালিক হয়ে যাবে, যার কারণে সোনার দাম কমে যাবে, যা হবে একটি ভয়াবহ ব্যাপার। এই জন্য কেও যদি পরশ পাথর বানানো বা এই ধরনের অ্যালকেমির কাজে যুক্ত থাকত, তার জন্য শাস্তি ছিল ভয়ানক। এর মধ্যে একটি শাস্তি ছিল পাবলিক এর সামনে ফাঁশিতে ঝুলানো। এই সব কারণে এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে তার সুনাম ধরে রাখার জন্য তিনি তার অ্যালকেমির কাজ কখনো প্রকাশ করেন নি।

অ্যালকেমির সম্পর্কিত নিউটন এর অনেক গবেষণাপত্র ও কাগজ উনার ল্যাবে হওয়া এক দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে যায়। তবে কিছু কিছু এখনও আছে। তার মধ্যে অন্যতম হছে “Portsmouth Papers”। ১৯৩৬ সালে এই গবেষণাপত্রটি নিলামে বিক্রি হয়। এই গবেষণাপত্রটি ছিল Gerard Wallop এর কাছে যিনি এটা বংশানুক্রমে পান নিউটন এর বংশধর এর কাছ থেকে।

১৯৩৬ এর আগে এই গবেষণাপত্রটির ব্যাপারে কেও জানতও না। কারন এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশের অযোগ্য ঘোষণা করা হয় নিউটন Estate এর দ্বারা। আসলে কেও চাইত না যে নিউটন অ্যালকেমিষ্ট হিসেবে পরিচিতি পান। অ্যালকেমি নিয়ে নিউটন এর অনেক গবেষণাপত্র বর্তমানে Jewish National and University Library তে আছে Jerusalem এ। ৩.প্রাচিন স্থপতি ও বাইবেল বিশ্লেষক ঃ নিউটন পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল এর উপর দারুন উৎসাহী ছিলেন।

তার মতে বাইবেলে অনেক তথ্য লুকিয়া আছে যা আমাদের জগত এর রহস্য উৎঘাটনে সাহায্য করবে। এই জন্য তিনি বাইবেল খুব ভালভাবেই বিশ্লেষণ করেছেন। বাইবেল এ বর্ণিত রাজা সোলেমন এর মন্দির নিয়ে তার উৎসাহের শেষ ছিল না। এই মন্দির এর নকশার জ্যামিতি , মন্দির এর বিভিন্ন অংশের জ্যামিতিক স্থাপনা তাকে আলোড়িত করেছিল। তার মতে মন্দিরের মধ্যে বিভিন্ন জ্যামিতিক মাত্রা, আনুপাত আরও অনেক কিছু প্রকাশ করে।

তিনি বুঝতে পারেন যে, বাইবেল এ বর্ণিত মন্দির এর মাপ অনেক গাণিতিক সমস্যা প্রকাশ করে যা পাই এর মান, অক্ষাংশের আয়তন এর সাথে সম্পর্কিত। সুধু গাণিতিক নয়, তার মতে এই মন্দির এ হিব্রু ইতিহাস এর পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা রয়েছে। নিউটন বিশ্বাস করতেন এরকম অনেক আদিম স্থাপনাতে মানুষ তার জ্ঞান বিভিন্ন সাংকেতিক এবং গাণিতিক ভাষায় লুকিয়ে রেখেছে। এগুল যখন আমরা উদ্ধার করতে পারব তা আমাদের প্রকৃতির রহস্য জানতে সাহায্য করবে। গোপন সংঘ(Secret society) : নিউটন সাহেব তেমন সামাজিক মানুষ ছিলেন না।

তার সময়ে কোন সংঘ বা ক্লাব এর সদস্য হওয়া ছিল সামাজিকতার একটা মাধ্যম। তিনি অনেক বিখ্যাত বাক্তি হওয়ার কারনে বিভিন্ন সংঘ এর সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি লন্ডন এর রয়াল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। তবে এটা কোন গোপন সংঘ ছিল না। অনেক লেখক, ইতিহাসবিদ, বই, সিনেমার কথা যদি সত্যি ধরে নেই তবে বলা যায় নিউটন বহু গোপন সংঘ এর সাথে যুক্ত ছিলেন।

তার মধ্যে অন্যতম হছে রসি্ক্রুসিয়ান(Rosicrucian). রসি্ক্রুসিয়ানদের মতে তারা বিশেষভাবে বাছাই করা মানুষ যারা আত্মা এবং এঙ্গেলসদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তারা এটাও দাবি করে তাদের কাছে অনেক আগে থেকেই আম্রিত(Elixir of Life) এবং পরশ পাথর(Philosophers Stone) আছে। যার মাধ্যমে তারা আমরত্ত লাভ করতে এবং অসীম পরিমান সোনা তৈরি করতে সক্ষম। এদের অনেক ধ্যান ধারনা নিউটন এর সাথে মিলে যায়। নিউটন এর মত এরা অনেক ধার্মিক ছিল, এবং নিউটন এর মত এরাও প্রচলিত ক্যাথোলিক রিতিতে বিশ্বাস করত না।

সবকিছু মিলিয়ে এই গোপন সংঘে তার যুক্ত থাকা, অনেকটা যুক্তিসঙ্গত। তবে একটা সমস্যা আছে, এদের কাছে নিউটন এর জন্মের অনেক আগে থেকেই অম্রিত ও পরশ পাথর আছে। নিউটন যদি এই সংঘে থেকে থাকেন, তবে কেন তিনি এত সময় ধরে এইগুলা বানানোর চেষ্টা করেছেন? নিউটন যখন জীবিত ছিলেন কখন ও অনেকে তাকে রসি্ক্রুসিয়ান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, সুধু তাকে নয় রয়্যাল সোসাইটির অনেককে এই সংঘের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়েছিলো। তবে এটা সঠিক ভাবে জানা যাই নি, তিনি আসলেই এই সংঘের সদস্য ছিলেন কি না, আর নিউটন ও এই সংঘের ব্যাপারে কখনো কোন কিছু প্রকাশ করেন নি। যত সব সিক্রেট সোসাইটি এর নাম শুনা যায় তার মধ্যে একটি হছে মেসন(Mason). যারা এর সদস্য তাদের মেসন বা ফ্রীমেসন বলা হয়।

এই সংঘ আসলেই আছে, এবং বিশ্বের অনেক বড় বড় মানুষ এর সাথে যুক্ত। এটা অনেক পুরানো একটা সংঘ, এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ছিল নিউটন এর সময়ে, লন্ডন এ। এর সদস্যরা কখনো এটা গোপন করেন না যে তারা মেসন। এজন্য অনেক মেসন কেই আমরা চিনি। আগের অনেক বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, অনেকেই এর সদস্য ছিলেন।

যেমন- জর্জ ওয়াশিংটন, নিল আর্মস্ট্রং, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, হুডিনি, মোজার্ট, জনাথান সুইফট, অস্কার ওয়াইল্ড আরও অনেকে। এই মেসনদের উদ্দেশ্য কি তা তারা কখনো প্রকাশ করে না। ড্যান ব্রাউনের বই “দা লস্ট সিম্বল” এ মেসন দের ব্যাপারে অনেক কিছুই বলা আছে। এই বই এবং আরও অনেকের মতে নিউটন ছিলেন মেসন সংঘটির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে এক জন। মেসনদের এক একটি গ্রুপকে লজ বলে।

সবচেয়ে বড় লজটি হচ্ছে “গ্র্যান্ড লজ অফ ইংল্যান্ড”। এখনও মনে করা হয় নিউটন এই লজ এর সদস্য ছিলেন। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে একটি মেসন এর লজ আছে নিউটন এর নামে। যেহেতু নিউটন এর সময়ে এটি লন্ডন এ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অন্যান্য বিখ্যাত মেসনদের মত নিউটন এর ও স্থপতি, সলেমন এর মন্দির এসব বিষয়ে আগ্রহ ছিল, তাই বলা যায়, নিউটন হয়ত একজন মেসন ছিলেন। তবে এর কোন প্রমাণ নেই।

ড্যান ব্রাউন এর অপর বই “দা ভিঞ্চি কোড” এর মতে নিউটন প্রাওরি অফ সিওন এর গ্র্যান্ড মাষ্টার ছিলেন। এটি একটি গোপন সংঘ, যাদের কাজ জিশু খ্রিস্ট এর বংশধরদের রক্ষা করা। এরকম কোন সংঘ আছে বলে কোন প্রমান নেই, এবং বেশীরভাগ ঐতিহাসিক এর মতে এটা পুরাই একটা আজগুপি ব্যাপার। যেহেতু নিউটন অনেক বিখ্যাত একজন, তাই অনেকেই তাকে ছোট ,বড় অনেক সংঘ এর সাথে সম্পিক্ত করেছেন। তবে নিউটন এসব এর সাথে যুক্ত ছিলেন কি না তা নিশ্চয়তার সাথে কেও বলতে পারবে না।

শেষে বলতে হয় নিউটন এর জীবনটা আসলে অনেক রহস্যময়। একদিকে যেমন তিনি পদার্থবিজ্ঞানএ এক নতুন যুগ এর সুচনা করেছেন, অন্যদিকে অনেক উল্টা পাল্টা কাজ ও করেছেন। তবে যা দেখা যায় তার উদ্দেশ্য ছিল সৃষ্টির রহস্য কে জানা, যে কাজটা তিনি বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক, দুই ভাবেই করতে চেষ্টা করেছেন। তার মত মানুষ আর মনে হয় পাওয়া যাবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।