এখনো গেলনা আঁধার............... বিডি নিউজ ২৪.কম : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।
Omi Rahman Pial : আমাগোর উপদেষ্টারাও মাশাল্লাহ একেকজন, কি যে কান পড়া দেয় বুঝি না। পাকিস্তানরে ক্ষমা চাইতে বলা হবে। তারপর? তারা চাইলো ক্ষমা। আমরা ক্ষমা দিমু তাই না? তারপর? তারপর দেশ জুড়ে সুশীলরা রব তুলবে যারা আসল অপরাধী, সেই পাকিস্তানীদের ক্ষমা করা হইছে, তাইলে তাদের সহযোগীদের বিচার করার কি দরকার? বন্ধ করো যুদ্ধাপরাধের বিচার।
তারপরও বিচার চললে আন্তর্জাতিক মহলে বলা হবে এইটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেছে আওয়ামী লীগ।
তো মাথামোটা সেই উপদেষ্টারে বলি, পাকিস্তান ক্ষমা চাইছে ৭৪ সালেই, আনুষ্ঠানিকভাবেই। মুজিব বলছেন শুধু ক্ষমা চাইলে হবে না, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এবং পাকিস্তানের সম্পদে আমাদের যে ভাগ সেটাও দিতেও হবে। তো যদি দাবি করতেই হয়, তাইলে এইগুলাও সঙ্গে যোগ করেন।
নাইলে জামাতিগো হাতে ছাড়পত্র তুইলা দেয়ার মায়রে বাপ...
আবার কিসের অ্যাপলোজি!! পাকিস্তান ক্ষমা চাইছে ১৯৭৪ সালে, ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার তারাই করবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে উল্লেখ করছে তারা এই ক্ষমা প্রার্থনা। নিউইয়র্ক টাইমসের মূল খবরটি পড়ুন এখান থেকে: http://www.mediafire.com/view/?9ofswd6btubmduv
Ranjan Barai : পাকিস্তানিরা জাতি হিসেবে এতো ছোট যে এতদিন বাদেও তারা ক্ষমা চায়নি! আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানাবেন। কি দরকার রে ভাই, যারা এতো বড় অপরাধ করেও নিজে থেকে তাগিদ বোধ করে নাহ, তাদের ক্ষমা চাওয়ার বা তাদের ক্ষমা করার ভিত্রে আমি কোন গৌরব দেখছি নাহ! আমি চাইনা, ওরা ক্ষমা চেয়ে নিজেরা শুদ্ধ হোক! ওরা দূষিতই থাক! ওদের এই মহান সুযোগটিও করে দেয়া উচিৎ নয়। ওরা পাপী, পাপ নিয়েই বাচুক। অন্তত ঐভাবেই বাঁচতে দেয়া উচিৎ এই দেশের মানুষের।
তবে এই ক্ষমা চাওয়া আর ক্ষমা করে দেয়াতেই সব শেষ হয়ে যাবে না; বাংলাদেশের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে পাকিস্তানিদের তীব্র ঘৃণার আগুণে অহর্নিশ পুড়িয়ে মারবে। যতদিন বাঙালি জাতিসত্তা টিকে থাকবে ততদিন এই আগুণ নিশ্চয়ই জ্বলবে।
Hasib Haque : ওদের ক্ষমা চাওয়ার উপরে মুতলাম ছ্যাড়ছ্যাড় কইরা >:-(
যে ক্ষতি করসে সেটার মাশুল দিতে হবে কড়ায় গণ্ডায়। তারপর জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে হাঁটু গেঁড়ে বসে মাফ চাইতে হবে। ১৯৫ জন পাকি যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হবে, লুণ্ঠিত সম্পদের হিস্যা দিতে হবে।
তারপর চিন্তা করা যাবে ওদের ক্ষমা করা যায় কি না।
Sisyphus Amarblog : দৈনিক পহেলা রোশনীর যুগে পাকিস্থান কোন প্রকার দুঃখ প্রকাশ করলে, বা শুধু ক্ষমা শব্দটা উচ্চারণ করলো কিন্তু চাইলোনা... এমন হইলেও বিশ্ব ভাতৃত্ববোধের "গেলমান" গুলান লাফালাফি শুরু করে দিবে। অথচ, পুরো অবকাঠামো ভেঙে, ব্যাংক শূন্য করে লুটে নেওয়া সম্পদের হিসেব বা আটকে পড়া বিহারীদের ইস্যুতে সমাধান চাওয়াটা আমাদের অন্যতম দাবী হিসেবে উঠে আসা উচিত ছিল।
ছবি ও লিখা ক্রেডিট: অমি রহমান পিয়াল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।