শুভ জাহিদ @ http://howcanigetanemailaddress.com/ রাসূল সাঃ শুধুমাত্র নাজিলকৃত ওহীরই অনুসরণ করতেন
মহান আল্লাহ বলেন,
সূরা আনআম-৬/৫০> আমি (মোহাম্মদ সাৎ) তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।
রাসূল সাঃ নিজে থেকে শারীয়াহর কোন কথা বলতে পারতেন না। শুধুমাত্র তাই বলতেন যা বলতে আদেশ দেওয়া হত।
মহান আল্লাহ বলেন,
সূরা নাজম-৫৩/৩-৪> তিনি (মোহাম্মদ সাঃ) নিজে থেকে কোন কথা বলেন না। যা তার নিকট ওহী করা হয় শুধুমাত্র তাই ই বলেন।
রাসূল সাঃ এর নিকট কয়টি বিষয় ওহী করা হয়েছে?
মহান আল্লাহ বলেন,
সূরা নিসা-৪/১১৩> আল্লাহ্ আপনার প্রতি কিতাব (কুরআন) ও হিকমাহ (হাদিস) অবতীর্ণ করেছেন।
উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী ২টি বিষয় নাজিল হয়েছে। কোরআন ও হাদিস। রাসূল সাঃ এই দুটির অনুসরণ করতেন এবং আমাদেরকেও এই দুটি ওহীর অনুসরণ করতে হবে।
রাসূল সাঃ এর সাহাবাগণকে কুরআন ও হাদিস ২টি বিষয় শিা দিতেন
মহান আল্লাহ বলেন,
সূরা আল ইমরান-৩/১৬৪> আল্লাহ্ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন।
তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব (কুরআন) ও হিকমাহ (হাদিস) শিা দেন। বস্তূত: তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট।
কি করলে আমাদের আমল সমূহ বরবাদ হয়ে যাবে?
১ম......................................
মহান আল্লাহ বলেন,
সূরা মুহাম্মদ-৪৭/৩৩> হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্র আনুগত্য কর (কুরআন), রসূলের (সা আনুগত্য কর (হাদিস) এবং (এগুলো বাহিরে গিয়ে) নিজেদের আমল বিনষ্ট করো না।
অর্থাৎ বুঝা গেল ইসলামিক যেকোন বিষয়ে কুরআন ও হাদিস নামক ওহী ২টি বাদ দিয়ে ভিন্ন কিছুর অনুসরণ করলে আমাদের সকল আমল বাতিল হয়ে যাবে।
২য়.....................................
মহান আল্লাহ বলেন,
সূরা আনআম-৬/৮৪-৮৮> আমি তাঁকে দান করেছি ইসহাক এবং এয়াকুব। প্রত্যেককেই আমি পথ প্রদর্শন করেছি এবং পূর্বে আমি নূহকে পথ প্রদর্শন করেছি-তাঁর সন্তানদের মধ্যে দাউদ, সোলায়মান, আইউব, ইউসুফ, মূসা ও হারুনকে। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ইসরাঈল, ইয়াসা, ইউনূস, লূতকে প্রত্যেককেই আমি সারা বিশ্বের উপর গৌরবা¤ি¦ত করেছি।
আর ও তাদের কিছু সংখ্যক পিতৃপুরুষ, সন্তান-সন্ততি ও ভ্রাতাদেরকে; আমি তাদেরকে মনোনীত করেছি এবং সরল পথ প্রদর্শন করেছি। এটি আল্লাহ্র হেদায়েত। ¯¦ীয় বাšদাদের মধ্যে যাকে ইচছা, এপথে চালান। যদি তারা শিরক করত, তবে তাদের আমলসমূহ তাদের জন্য বাতিল হয়ে যেত।
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ ১৭ জন নবীর নাম উল্লেখ করে বলেছেন তারা যদি শিরক করত, তবে তাদেরও আমল বাতিল হয়ে যেত।
১৭ জনের মধ্যে আমাদের নবী সাঃ নাই। তবে খুশি হওয়ার কিছু নাই। এবার আমাদের নবী মোহাম্মদ সাঃ এককভাবে কি বলা হইছে দেখি?
সূরা যুমার-৩৯/৬৫> আপনার (মোহাম্মদ সাঃ) প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহ্র সাথে শিরক করেন, তবে আপনার আমল বাতিল হবে এবং আপনি তিগ্রস্তদের একজন হবেন।
উপরোক্ত আয়াতে আমাদের নবী সাঃ আল্লাহ বলতেছেন যে, যদি তিনিও শিরক করতেন তাহলে উনারও আমল বাতিল হয়ে যেত। নবী সাঃ আমলই যদি বাতিল হয়, তবে আমাদের আমল কি থাকবে? অবশ্যই না।
সূতরাং আমরা জানতে পারলাম ২টি কারণে আমাদের আমল বাতিল হবে।
১) যদি আমরা ওহীর অর্থ্যাৎ কুরআন ও হাদিস এর অনুসরণ না করি এবং
২) যদি শিরক করি।
আর শিরক থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে কোনটি শিরক? সেগুলো একত্রিত করে সেই শিরক থেকে বাঁচতে হবে। আল্লাহ আমাদের ওহীর অনুসরণ ও শিরক মুক্ত জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।