আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃষ্টির দিনে আমার যত ভাবনা

সারাদিন ধরে অঝরে বৃষ্টি হচ্ছে । যখন আমি এই লেখাটি লিখছি ঠিক তখনও বাহিরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি চলছে । আজকের দিনটা বারান্দায় বসে চা খাওয়া অথবা জানালা পানে বাহিরে চেয়ে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে ক্যামপাসে বৃষ্টিতে ভিজার স্মৃতি মনে করার জন্য আদর্শ একটা সময় । আর আমি এরকম দিনে বিছানায় অলস পরে থাকা অথবা রবিন্দ্র সংগীত শুনতেই বেশী পছন্দ করি । অনেকে আবার বৃষ্টিতে ভিজে মায়ের বকুনি খাওয়ার পর্বটা সেড়ে ফেলছেন ।

কিন্তু দিনটা স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জন্য মোটেও সুবিধার নয় । যাতায়াতের জন্য দারুন বিরক্তিকর একটা দিন । তবে অফিস-আদালতে আজ ব্যস্ততা কম থাকার কথা । আমার অল্প কয়েকদিনের চাকুরির অভিজ্ঞতা থেকে এই মন্তব্য । অনেকের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ভিন্ন হতে পারে ।

এখন আসি আজকের দিনের আলোচিত দুটি ঘটনা নিয়ে । প্রথমটি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টপতি নির্বাচন । ডেমোক্রেট বারাক ওবামা আর রিপাবলিকান মিট রমনি কে হবেন পরবর্তী রাষ্টপতি তা নির্ধারনে ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে । সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে আমেরিকার নির্বাচনের দিকে । কারন আমেরিকার নির্বাচনই নির্ধারন করে আগামী চার বছর বিশ্ব অর্থনীতি , সামরিক ভারসাম্য, দারিদ্র বিমোচন ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বিশ্ব পরিস্থিতি ।

৯/১১-র বর্বচরিত হাামলার পর সন্ত্রাস দমনে আমেরিকা ও তার মিত্ররা আফগানিস্তান আক্রমন করে । যা ছিল যৌক্তিক ও সারা বিশ্বব্যপী জঙ্গি দমনে তার গুরুত্ব অপরিসীম । কিন্তু বাদ সাজে যখন ইরাক আক্রমন করা হয় ব্যপক বির্ধংশী মারনাস্ত্র আছে এ ধারনা থেকে । যদিও পরে তা ভুল প্রমানিত । কিন্তু এর খেসারত দিতে বিশ্ব অর্থনীতির অবনমন দিয়ে ।

দুটি বড় যুদ্ধ সামাল দিতে গিয়ে যে পরিমান খরচ হয় তার প্রভাব মার্কিন অর্থনীতিকে বেসামাল অবস্খায় ফেলে দেয় । বেকারত্ব মার্কিন নাগরিকদের ব্যয়সংকোচনে বাধ্য করে । যার ফলস্রুতিতে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান পন্য রপ্তানীকারক সেসব দেশও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় । বুশ পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি সে অবস্থা উন্নয়নের জন্য ইরাক থেকে সৈন্য ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে মার্কিন সমরনীতি পরিবর্তন করেন । যার সাফল্যতার অন্যতম নিদর্শন ওসামা- বিন- লাদেনের হত্যার মাধ্যমে ।

ওবামার সাস্থ্যনীতি, কর ব্যবস্থা ও অভিবাসননীতি মার্কিনীদের কাছে বেশ সমাদৃত হয় । যদিও কট্টর রিপাবলিকানরা এর ঘোর বিরোধী । বর্তমান নির্বা নেও ঐসব ইস্যুগুলো প্রধান ভূমিকা রাখছে । আমার ব্যক্তিগত মতামত ওবামাই যেন আবার ফিরে আসেন হোয়াইট হাউজে । দ্বিতীয়টি , আজ সারা দেশব্যপী জামাত-শিবির নেতা কর্মীদের তান্ডব আর অসহায় পুলিশ ।

আহত অনেকেই । জামাত-শিবির যে রাজনীতি ধারন করে তারা এরকম একটা ধ্বংসাত্নক পরিস্থিতি তৈরি করতেই পারে । কিন্তু প্রশাসনের পূর্ব ধারনা সত্বেও তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে ব্যর্থ হয়েছে বলে আমার ধারনা । যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে মতামত পোষন করে, এরকম একটা রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকা স্বত্তেও আজ দেশব্যপী যে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচী পালিত করেছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তা দেখে কা কে বেশী ঘৃনা করব ভাবতে অবাক লাগছে । নির্বাচনের আর বেশী দেরী নেই ।

সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগনের কাছে যে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ছিটিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করেন । বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশী সচেতন । শুধু আবেগআপ্লুত ভাষণ দিয়ে আগামী নির্বাচন পার পাওয়া যাবে না । বৃষ্টি থেমে গেছে অনেকক্ষন হল । আর এক কাপ চা পান করলে মন্দ হয় না ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।