টেকনলজি খুব ভালোবাসি। তবে লেখার চাইতে পড়তে বেশী ভালো লাগে। নতুন নতুন গ্যাজেট নিয়েই বা সন্ধান করতেই দিন কাটে। সকালেই ঘুম ভেংগেই আইফোনে দিন শুরু করি। তারপর ল্যাপি তো লেগেই আছে বউয়ের মতো।
মা তো রাগ করেই বলে বয়েস হয়ে গেছে কিন্তু তার ছেলের বউ খোজাঁর দরকার ‘আপত্তিকর’ ভিডিও দেখতে না দেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ইউটিউব খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বিটিআরসি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, ইতোমধ্যে গুগল কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং তারা বিকল্প সার্ভারের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে পুনরায় ইউটিউব চালু করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে পারে এমন ভিডিও দেখার সুযোগ গুগল বন্ধ করে দেবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান। বিটিআরসির এক ঊর্ধ্বতন জকর্মকর্তা বলেন, আলাদা সার্ভার থাকলে সহজে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যে কোনো ‘আপত্তিকর’ ভিডিও দেখার সুযোগ বন্ধ করে ইউটিউব চালানো সম্ভব। কয়েকটি দেশে গুগল এভাবে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ইসলাম ও হযরত মোহাম্মদকে (দ.) অবমাননা করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ এর ভিডিও সরিয়ে নিতে গুগলকে চিঠি দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবের ওয়েবসাইটে যাওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সমাজের নানা স্তরে জনপ্রিয় ভিডিও ওয়েবসাইট ইউটিউব খুলে দেওয়ার দাবি ওঠে, বিষয়টি গণমাধ্যমেও গুরুত্ব পায়।
এ প্রেক্ষাপটে ৩০ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ‘আপত্তিকর’ ভিডিও সরালে যে কোনো মুহূর্তে ইউটিউব খুলে দেয়ার কথা বলেন। এ বছরের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়া ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ চলচ্চিত্রটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বাংলাদেশেও কয়েকটি ইসলামি সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে।
বাংলাদেশ সরকারও ইসলাম ও হযরত মোহাম্মদকে (দ.) অবমাননা করে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও তা মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।