আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের তৈরি যুদ্ধজাহাজ- এক নতুন পথের সূচনা

দেখা যত ছবি, শোনা যত শব্দ, হৃদয়ের সব উপলব্ধি, আর যত এলোমেলো ভাবনা হ্যাঁ কোন দিবাস্বপ্ন নয়, আমরাই বানিয়েছি এক যুদ্ধজাহাজ[ওপরে ছবি] এটি পুরোপুরি অর্থেই আমাদের কাজ, যা ঘটেছে খুলনা শিপ ইয়ার্ডে। এটি একাধারে খুলনা শিপ ইয়ার্ড আর বাংলাদেশের জন্য অনন্য এক অর্জন। আলহামদুলিল্লাহ্‌। এটি প্রথম তবে এখানেই শেষ না। গত বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের চুক্তি হয় খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের।

চুক্তি অনুযায়ী, আড়াই বছরের মধ্যে সব কটি জাহাজ নির্মাণ করে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এই যুদ্ধজাহাজটি ওই পাঁচটির একটি। বাকি চারটির কাজও চলছে। আসছে ডিসেম্বরে আরেকটি, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি দুটির কাজও শেষ হবে। উপরের ছবির মতই রূপসা নদীতে দাড়িয়ে আমাদের গৌরবের স্মারক।

৮ অক্টোবর পানিতে ভাসানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। এখন চলছে ভেতর ও বাইরের প্রযুক্তিগত ও অঙ্গসজ্জার কাজ। আগামী ডিসেম্বরে পানিতে ছোটার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে ৫০ দশমিক ৪ মিটার দীর্ঘ এই রণতরি। তারপর তুলে দেওয়া হবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে। ২৫৫ টন জাহাজটির সামনের দিকে বসানো হয়েছে জাহাজবিধ্বংসী ২০ মিলিমিটারের দুটি কামান।

পেছনে শত্রু বিমান ঘায়েল করার জন্য আছে ৩৭ মিলিমিটারের আরও দুটি। যুদ্ধজাহাজটি মূলত চোরাচালানবিরোধী কাজে ব্যবহূত হবে। এর মধ্যে কামান আছে, গভীরতা কম, গতি বেশ ভালোই। তাই এ ধরনের কাজে বেশ জুতসই যুদ্ধজাহাজ এটি। ছুটতে পারবে ঘণ্টায় ২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে।

তো বোঝাই যাচ্ছে এটা অসাধারন কারিগরি'র বহিপ্রকাশ যা বৈদেশিক প্রযুক্তি কে আত্মস্থ করে সম্পাদন করেছে খুলনা শিপ ইয়ার্ড এর অক্লান্ত পরিশ্রমী মানুষেরা। আর দেশেই নির্মাণের ফলে প্রতিটি জাহাজে বাংলাদেশের সাশ্রয় হলো প্রায় ৪২ কোটি টাকা! ভাবা যায় আর শেষে কিছু কথা এই অর্জনের কারিগর খুলনা শিপ ইয়ার্ড নিয়ে, শুধু এই জাহাজ গুলই না, এখানে চলছে আরও তিনটি অয়েল ট্যাংকার, দুটি কার্গো ভেসেল, একটি আর্মি ল্যান্ডিং ক্রাফট, একটি ফায়ার ফাইটিং বোট এবং একটি সার্ভে বোট নির্মাণের কাজও। প্রতিষ্ঠানটি সুনাম কুড়িয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া, তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী অর্থের বিনিময়ে সেবা এবং সেবার গুণগত মানের নির্ভরযোগ্যতার কারণে। এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জেনস ফাইটিং শিপসের জার্নালেও উঠেছে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের নাম। খুলনার অনেক শিল্প প্রতিস্থান আজ অচল হলেও এই শিপ ইয়ার্ডে অনেক খেটে খাওয়া মানুষে উপার্জনের রাস্তা পেয়েছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং বাঁচানো দুটোই সম্ভব হয়েছে।

তাই প্রত্যাশা রাখি সবার সহযোগিতায়, আল্লাহ'র অশেষ মেহেরবানিতে এই শিপ ইয়ার্ড আরও বড় জাহাজ, আরও বড় প্রজুক্তিগত উৎকর্ষ আমাদের উপহার দিতে পারবে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.