মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। সাভার ট্রাজেডি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম গুলোর এই মিথ্যাচার কেন?
গতকাল সাভারে রানা প্লাজায় ঘটে যাওয়া স্বরণকালের সবচাইতে বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলবো না। বরং বলা যায় পরিকল্পিত গনহত্যা সংগঠিত হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কি করে এই দুর্ঘটনাকে আমি পরিকল্পিত গনহত্যা বলছি? বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী আগের দিন ভবনের ফাটলের কারনে যেখানে নিচ তলা মার্কেট ও দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হলো। সেখানে কেন পোষাক শ্রমিকদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকির মাধ্যমে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হলো? একটি ঝুঁকিপূর্ন ভবনে হুমকি দিয়ে দরিদ্র পোষাক শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করে মালিকগন কি গনহত্যার পথ তৈরী করেনি? গতকাল রাত আনুমানিক ৮টার দিকে অর্ধ চন্দ্র হাইস্কুল মাঠে স্বচোক্ষে চারশত প্লাস লাশ দেখলাম।
এবং স্কুলের ভিতরেও বেশ কিছু লাশ ছিল যেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। অথচ আমাদের মিডিয়া গুলো তা প্রকাশ করেনি। কিন্তু কেন? কার সার্থ রক্ষা করার কাজে মিডিয়ার এহেন মিথ্যাচার? মিডিয়া গুলোকে কি সরকারের রক্ত চক্ষুর ভয়ে প্রকৃত সংবাদ দেশবাসীকে জানাচ্ছেনা? নাকি বাংলাদেশে নব্য নীলকর গ্রার্মেন্টস মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের সালামী নিয়ে চেপে যাচ্ছে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা?
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আলোর সল্পতার জন্য উদ্ধার কাজ বারবার ব্যহৃত হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করার পরেও কেন সরকারের টনক নড়ছে না। যেই সরকারের অর্থ মন্ত্রী মনে করে চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকা নয়, সেই সরকার এই সামান্য আলোর ব্যবস্থা করতে পারছে না কেন? জনগন এখনো কেন এই সকল জানোয়ারকে নিজেদের প্রতিনিদি মনে করে? রানা প্লাজার মালিক না হয় বুঝলাম সন্ত্রাসী কিন্তু জনপ্রতিনিদি এমপি মুরাদ জং এই নরপশুকে শেলটার দিয়ে যে অপরাধ করেছে তার বিচার কি হবে? গতকাল সকাল ৯টায় যখন রানা প্লাজা ধসে পড়ে, তখন রানা নিজেও ওই ভবনের মধ্যে ছিল। তাকেও সামান্য আহত অবস্থায় জনতার রোষানল থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদ।
আমরা জানতে চাইনা এই জানোয়ার এমপি কোন দলের, আমরা শূধু দেখতে চাই এই জানোয়ার এমপির গলায় ফাঁসির দড়ি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।