http://farm5.staticflickr.com/4084/5106907209_d4c9a50a8b_z.jpg দেখতে দেখতে চেনা মুখগুলো কেমন দূরের হয়ে গেল। একই বাড়ি একই ছাদ এরপরও সেই বাড়িরই কেউ নয় যেন অপলা। বাসার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্তও ওর কান অব্দি আসে না আজকাল। কেন জানি বড় বেশী অপাঙতেয় মনে হয় নিজেকে। যদিও অনেক আগে থেকে একটু একটু করে বাড়ির সবকিছু থেকে সরিয়ে নিয়েছে নিজেকে।
এরপরও শুধু পরিবারের সদস্যপদটুকুই কোনোভাবে ক্ষীণ সুতোর ওপর ঝুলে ছিল এতদিন। তাও ছিঁড়ে পড়বার জোগার হয়েছে এখন। তবে এও মন্দ কী! কোনো দায়িত্ব নেই, দায় নেই। শুধু নিজেকেই নিয়েই থাকা। তাই বলে দায়িত্ব কি একেবারেই এড়িয়ে যেতে পেরেছে ও? মাস শেষে একটা নামমাত্র মাসোয়ারা তো তুলেই দিতে হয় আশ্রয়দাত্রীর হাতে! তা নয় তো কি।
মা-বাবা-ভাই-বোনের এই স্নিগ্ধ -সুন্দর সম্বোধনগুলো কখন যে ওর দিক থেকে ফিঁকে গেছে তা হয়তো এই বাড়ির কড়িকাঠগুলোই স্বাক্ষী হয়ে আছে
গৃহকত্রীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কমলকে বিয়ে করে বাড়ির চৌহদ্দি পর্যন্ত নিয়ে আসার সাহস যখন দেখিয়েছিল, তখন থেকে বাড়ির সদস্যপদ থেকে বাদ গেছে নিজের নামটি। তাই বলে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের করে দেয়া হয়নি অপলাকে। লোক-লজ্জার কথা ভেবেই বোধ হয় শেষ পর্যন্ত বাড়ির গৃহকত্র্র্রী মেনে নিয়েছিলেন ওর এই গর্হিত আস্পর্ধাটুকু। কিন্তু রসিকতা করতে ছাড়েনি সময়। বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের ঘন্টাই জানিয়ে দিল অপলা-কমলের সম্পর্ক বুঝি ছিঁড়ে যাবার অপেক্ষায়।
এতদিনের আড়ালে আবডালে থাকা মুখরা মুখগুলো যেন ওৎ পেতেছিল এই সময়টুকুর জন্যই। একে একে ডাকিনীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ল ওর ওপর। কথার টিপ্পনীতে ছিঁড়েফেঁড়ে রক্তাত্ত করতেও ছাড়ল না ওরা!
লড়াইয়ের মাঠে লড়তে লড়তে আজ বড্ড বেশি ক্লান্ত আর অবসন্ন অপলা। এরপরও এই দীর্ঘ শূন্যতা আর অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে ঘাড় সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকার স্বপ্ন দেখে ও। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।