আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলাতক দুঃস্বপ্নের জলখেলায় নিরীহ ঘাসফুলের অপমৃত্যুতে বিষিয়ে ওঠা দুখ ........................

ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..

হৃদয়-পল্লীতে দুঃস্বপ্নের যাত্রীরা রাজ্যের সমস্ত ভুল গোলাপের ছলনা-সমুদ্রে মাতাল! কুয়াশার বুকে লুকিয়ে আসা গ্রীষ্মের মিথ্যে উত্তাপে নাকের উপরিভাগে বিন্দু বিন্দু ঘামের হাস্যকর প্রদর্শন! ভালোবাসার অগোপন কথাগুলোকে গোপন চাদরে মুড়িয়ে অজানার খোঁজে ছুটে চলে পথিক। প্রেমিকার চোখের জলে ভেজা উঠোনে ক্ষুধার্ত কাকগুলো কা কা করে ডাকে আর এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বীজ ধানগুলো খুটে খায় লাফিয়ে লাফিয়ে। কাকের কা কা চিৎকারে প্রেমিকার হৃদয় ছিড়ে ছিড়ে যায়, যেন কেউ কুপিয়ে খান খান করে দিচ্ছে হৃদয়উঠোনে সযত্নে বিছিয়ে রাখা গোলাপের রক্তিম পাপড়ীমালা। অজস্র সময়ের ঝুলি কাঁধে ঝুলিয়ে শূণ্য হাতে দাড়িয়ে থাকা যুবক বিড় বিড় সুরে আবৃত্তি করে চলে জগতের লাল-হলুদ হিসেব-খাতার না মেলা কবিতাগুলো। অন্ধকারের ওপার হতে ছুটে আসা জীবন নামের রেলগাড়িটি বিকট হুইসেলে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম, শহর, বন্দর, পথ-ঘাট কাঁপিয়ে এক পলক আলোর ঝলকানিতে আবার ছুটে পালায় অন্ধকারের ভেতরে।

. . . . . . . . . . . . . আকাশের কোলে ফোটা ঝকঝকে ঐ জ্যোৎস্না-ফুল তোমার খোপায় পড়াবো বলে কতকাল ধরে বসে আছি এই আকাশের নিচে তুমি তা জানলে না, নবনিতা। এক পৃথিবী ভালোবাসার জমিন বুকের গভীরে চাষাবাদ করছি শুধু তোমাকে দেবো বলে, তার খবর তুমি রাখলে না, নবনিতা। চোখের বৃষ্টিতে চোখের জল ধুয়ে ধুয়ে ক্লান্ত আজ ভীষণ এই মন এই প্রাণ শুধু তোমারি বিরহে, নবনিতা। ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে ভালোবাসি, কবে বলবো? নবনিতা। জীবনের জীবন হয়ে আসবে কবে? নবনিতা।

তোমাকে ভালোবাসতে চাই, শুধু ভালোবাসতে চাই, নবনিতা। আচ্ছা, তোমার কি মায়া হয় না, নবনিতা, এতটুকু? এই যে আমি চিৎকার করে কাঁদছি, কাঁদি, প্রতিরাতে, কোনদিন কি শুনতে পাওনা তুমি? তোমার ভেতরে কি কোন টান পড়ে না কোনদিন? কিংবা ভালোবাসার হাহাকারে, তুমি কি কখনো খোঁজো না আমায়? তোমার কি কষ্ট হয় না কখনো? তবে, কেন আসো না তুমি? আমি আর পারছি না, নবনিতা। ভালোবাসার পসার সাজিয়ে এভাবে বসে থাকতে থাকতে নিজের কাছেই অসহ্য হয়ে উঠছি দিন দিন। জানি না কবে আসবে তুমি, কবে ফুরোবে এ যন্ত্রণার প্রহর। প্রতিবেলা, প্রতিদিন, সময়ের প্রতিটা ক্ষণে বিরহ কাতরতায় এইভাবে ভিজতে ভিজতে কবে জানি মরে যায় মন।

বিষন্নতার অক্টোপাশ কবে জানি গিলে খায় আমায়। আমি আর পারছি না নবনিতা, পারছি না। হৃদয়ে ঝর্ণার জল ব্যথায় টলমল ভালোবাসার ছলছল দৃষ্টিতে বিহবল বিমূঢ় আমি মরে যাই কেবল তোমারি বিরহ বৃষ্টিতে . . . . . . . . . . . . . তোমার কথা ভাবতেই রাতের আঁধারেরা পালিয়ে যায় ঐ দূর নক্ষত্রের দেশে .. সুমধুর আলোয় ভরে ওঠে হৃদয় ঘর .. এক অনির্বান সুখ এসে ভর করে সমস্ত দেহ মনে .. চোখের দুটি পাতায় ঘোরলাগা এক অন্যরকম আবেশ এসে ভর করে .. আমি অবাক বিস্ময়ে চোখ মেলে তাকাই .. খুঁজে ফিরি তোমাকে .. মুহূর্তেই তোমাকে পেয়ে যাই .. তোমাকে পেয়ে, তোমাকে দেখে সেকি আনন্দ আমার .. প্রপূর্ণ সুখ আর শান্তির পাখিরা পাখা ঝাপটায় বুকের তলদেশে .. সুখের চমৎকার আলোয় আমি দিশেহারা হয়ে যাই .. প্রচন্ড সুখানুভূতিতে হৃদয় বুদ হয়ে পড়ে রয় যেন হাজার বৎসর .. বিশ্বাস করো নবনিতা, সত্যিই তখন খুব ভালো লাগে আমার .. বাঁচতে ইচ্ছে করে আবার .. আবার সেই আগের মতন তোমাকে নিয়ে .. আমার মনে আছে, আমি যেদিন মরে যাই সেদিন খুব কেঁদেছিলে তুমি .. সবাই যখন আমাকে কাঁধে করে গোরস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি চুপি চুপি সব দেখেছি .. তোমার অশ্রুসিক্ত নয়ন, মা'র বুক ভাঙা কান্না আর বাবুর অপলক না বোঝা চেয়ে থাকা .. সব দেখেছি আমি .. আচ্ছা বাবু এখন অনেক বড় হয়েছে তাই না .. কোন ক্লাসে উঠেছে ও .. ও কি আমার কথা কিছু জিজ্ঞেস করে ? তখন, কি বল তুমি ? বাবুর জন্য মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে .. বাবুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে খুব .. ওর কপালে মাথায় গালে আদরের চুমু দিয়ে দিয়ে ভরিয়ে দিতে ইচ্ছে করে খুব .. কেন এমন হলো ? নবনিতা, এই প্রশ্নের উত্তর আজও আমি হাতড়ে বেড়াই .. কোন উত্তর মেলে না আমার .. মেলে শুধু একটুকরো দীর্ঘশ্বাসের আঁধার .. . . . . . . . . . . . . .

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।