জোর হোক শুধু গলার আওয়াজ, গায়ের জোরটা তোলাই থাকুক আপনাদের আলাদা করে শুভেচ্ছা জানানোর কিছু ছিল না। জানাচ্ছি সাম্প্রতিক একটা ঘটনায়।
ফেসবুকের একটি নোটের কারণে একজন সুশীলের নাকি মানহানি হয়েছে। তিনি অন্তত তাই দাবী করেছেন। সে কারণে লেখককে দেখে নেবার ঠাণ্ডা ধমক দিয়েছে।
ভয়ে হোক, লজ্জায় হোক - লেখক নোটটা মুছে দিয়েছে।
ঘটনা যা শুনলাম তাতে ওই সুশীলের চেয়ে আমার বেশি রিএ্যক্ট করা উচিৎ। কিন্তু লেখক কোন নাম লেখে নাই। সুশীল কে আলাদা করে চেনার মতও কিছু লেখে নাই। স্রেফ একটা গল্পের মত লিখেছে বিষয়টা।
দোষটা যেহেতু আমারও আছে তাই রিএ্যক্ট করার বদলে নিজেকে সংশোধন করাই উচিৎ মনে করছি।
আমাদের সবার বিশ্বাস করা দরকার:
সমাজে কিছু খুব ঠোঁটকাটা মানুষ জরুরী।
তারা অনেকটা আপনার আমার জন্যে আয়নার মত।
তার নিজের পেছন দিকটা কালো থাকলেও সমস্যা নাই। সে যেন সবচেয়ে স্পষ্ট ছাবি দেখাতে পারে।
সব ধরনের প্রভাব মুক্ত ছবি।
শুধু সাহসী মানুষরাই সেই আয়নায় নিজেদের দেখবে।
ভীত, ভণ্ড ও কপট ব্যক্তিরা ওই আয়নায় ধারে কাছে আসতে চাইবে না।
সবার জনপ্রিয় ধারায় হাঁটার দরকার নাই। তার বদলে কেউ কেউ সেই আয়না হয়ে উঠতে চাইতে পারেন।
তাকে উৎসাহ দিতে চাই।
আমরা যারা রাজনীতি করতে চাই।
পাবলিকের ভোট নিতে চাই।
তাদের সেই আয়নার সামনে দাড়াতে হবে।
না পারলে সরে যেতে হবে।
সেই আয়নাগুলো হয়ত আমাদের কাজে অকাজে ঝামেলা তৈরি করবে। সেটার সূত্র ধরে জনতা মাঝে মধ্যে আমাদের অপদস্থ করবে।
তবে সেই আয়নাগুলো থাকলে - মাঝেমধ্যে অপদস্থ হলেও জানটা বেঁচে যাবে। নিজেকে সংশোধন করে নেবার সুযোগ পাওয়া যাবে।
আয়না না থাকলে - আমরা এমন যায়গায় গিয়ে পৌঁছবে, আমাদের পুড়িয়ে মারা ছাড়া আর কোন শাস্তি অবশিষ্ট থাকবে না।
তাই ঠোঁটকাটা ব্লগার, লেখকদের বলি - ভয় আছে ভাই, তারপরও চালিয়ে যান। আপনাদের কাজ নিরর্থক না।
ঈদ মোবারক !!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।