অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই বিশ্বে মানবাধিকার শুধু মানুষের জন্য, মুসলমান হলে কিচ্ছু নাই। নইলে নির্বিচারে রোহিংগাদের হত্যার সময়ও মানুষের জীবন ও ঘর-বাড়ী ধ্বংস হচ্ছে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে জাতিসংঘ বার্মার রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া বিঘ্ন হবে নাকি কি হবে সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতো না।
আমার জন্মভূমি বাংলাদেশেও একই চিত্র, নইলে রোহিংগাদের মাঝে কুরবানী ঈদের মাংস বিতরন করতে যেয়ে পুলিশের হাতে বিদেশীদের আটক হতে হতো না।
রোহিংগারা নিজ ভূমে পরবাসী, কোন অধিকারই নাই।
সাগরে ভাসে আশ্রয়ের আশায়, না পেলে আবার ফিরে যায় যেখান থেকে এসেছে সেখানেই! ওদের কিছু তো নেইই, কেউও নেই ওদের।
কেউই নেই।
রোহিংগাদের পক্ষে কিছু বললে সম্ভবত মানবতাবাদীদের মাথা হেট হয়ে যায়। শত হলেও ঐ সর্বহারাগুলো মুসলমান হিসেবে পরিচিত!
আমি নিশ্চিতভাবে জানি না ওরা কতটুকু মানুষ আর কতটুকু মুসলমান!
যাইহোক, কিছু না বলেন, মানুষ হিসেবে না হলেও অন্তত দেখেন কিভাবে রোহিংগা মরে। দুঃখী মনে না হোক, অন্তত ওদের কষ্ট উপভোগ করতে হলেও দেখে রাখেন ওদের কি পরিনতি হচ্ছে!!!
হয়তো ভাবছেন আমাদেরই বা কি? আমরা রোহিংগা হয়ে জন্মাই নাই, এটাই বড় কথা। বার্মিজরা বলে ওরা বাংলাদেশি তাই বার্মায় ওদের জায়গা নেই, এ কথা শুনার কি প্রয়োজন আমাদের? আমরা না শুনলেই বার্মিজদের বক্তব্য বদলে যাবে।
আমরা না দেখলেই অবিচার বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা না পাশে না দাড়ালে রোহিংগারা নিজ পায়েই দাড়াবে! যেমনটা ইতিহাসে আমরা দাড়িয়েছিলাম আর কি!!!!
আমাদের দেশে কয়েক লক্ষ রোহিংগা আছে, যারা কোন পর্যায়ের নাশকতায় জড়িয়ে পড়তে পারে সেটাও কিছুদিন আগে দেখেছি তবুও আমাদের চিন্তা নাই। অন্তত আগামীতে কিছু হবার আগ পর্যন্ত তো নেই!
নিপীড়িত মানুষ কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা অনেকেরই জানা আছে!
আল্লাহ না করুক, কোনদিন যেন এই সর্বহারা রোহিংগাদের ঘুড়ে দাড়ানো অবস্থায় দেখতে না হয়, ওদের কন্ঠ শুনতে আমরা যেন বাধ্য না হই।
রোহিংগা ভাই-বোনেরা আমাদের কাছে তোরা শুধু সংখ্যা, খবরের পাতায় সংখ্যা হয়েই থেকে যা এই দুনিয়ায়, পরকাল যদি থাকে সেখানে তোরা মানুষের মর্যাদা পাবি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।