আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গার্মেন্টস ও শ্রমিক সমস্যা রোহিংগা সমস্যার চেয়ে কম নয়। আসুন সবাই দৃষ্টি দেই।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ আমরা শুধু রাজনৈতিক সমস্যা নিয়েই কথা বলতে পছন্দ করি, কিংবা বড়জোড় বিএসএফ এর হত্যা কান্ড নিয়ে। অথচ, একজন সচেতন নাগরীকের দেশের সমস্ত সমস্যা নিয়েই ভাবা এবং কথা বলে উচিত বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর সারা বিশ্বে যেমন সমাদ্ধৃত দেশের অর্থনীতির জন্যও তেমন গুরুত্বপুর্ণ। অথচ, এই বিশাল শিল্পটিতে সারা বছরই সমস্যা লেগে থাকে।

এতে যেমন ক্ষতি হয় সাধারণ শ্রমিকদের তেমন বাধা গ্রস্থ হয় গার্মেন্টস মালিকদের অগ্রগতিও। তবুও এর স্থায়ি সমাধানে কেহ মধ্যস্থতা করছে না। সরকারও তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শুধুমাত্র গন্ডগোল থামানোর জন্য পুলিশ পাঠানো মোটেই সমস্যার সমাধান নয়। --- গত বেশকিছুদিন আশুলিয়াতে শ্রমিক অসন্তোষ হবার পরে এখন শত শত গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হলো, এখন কার বেশি ক্ষতি হলো? শ্রমিকদের, নাকি মালিকদের?? একজনেরও না।

বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের। কারণ, শ্রমিকরাও আমাদের, মালিকরাও আমাদের। সুতুরাং, শ্রমিকের ক্ষতি + মালিক পক্ষের ক্ষতি = দেশের ক্ষতি। একটা কথায় আছে না, মানুষের স্বভাব হলো সামনে দিয়ে মশা চলে গেলেই মাথা গড়ম হয়ে যায় অথচ পিছন দিয়ে হাতি চলে যায় তার খবর থাকে না। তেমনি ভাবে, এই ধরনের ছোট খাটো হাজারো সমস্যার সমাধান না করাতেই যে আজ আমরা অর্থনৈতিক ভাবে মেরুদন্ডহিন সেটা কেহ ভেবে দেখে না।

-- ব্লগার বন্ধুরা অবশ্যই সচেতন নাগরীকদের অন্তরভুক্ত। তাদের শিক্ষা অভিজ্ঞতা ও প্রচেষ্টার কোন কমতি নাই, তা আমরা বিভিন্ন ক্রাইসিসের সময় দেখতে পাই। তাই আমার মনে হচ্ছে, এই গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে ব্লগাররা গবেষনা করে সরকারি পর্যায়েই হোক কিংবা অন্য কোন পর্যায়েই হোক এমন কোন পদক্ষেপ নিক বা কোন পথ বের করুক যেই পরামর্শ্ব আমরা সরকারের নিকট রাখতে পারি যাতে করে গড়িব মানুষ গুলোও দুটাকা আয় করে চলতে পারে আবার মালিক পক্ষও যেন তাদের ব্যবসাকে আরো সামনে নিয়ে বিশ্বের বাজার ধরতে পারে, এবং এ ভাবেই দেশের অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে। আমার মতে, শ্রমিকদের সার্থ্ব হেফাজত করার জন্য সমস্ত গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে একটি শক্তিশালী ইউনিট করা হোক, যাদের হাতে আইনি ক্ষমতাও থাকবে, থাকবে পুলিশ ও বিশেষ বাহিনির লোকজনও, যেখানে সার্বক্ষনিক শ্রমিকদের সমস্যার কথা শুনা হবে এবং আইনি ভাবে শ্রমিকের অভিযোগ যাচাই করে অফিসিয়াল ভাবে মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। সেই আলোচনার ভিক্তিতে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ ক্ষেত্রে মালিক পক্ষ কোন এদিক সেদিক করলে অটোমেটিকভাবে কম্পানির নামে কেচ হয়ে যাবে। তেমনি ভাবে শ্রমিকরাও অতিরিক্ত বারাবারি করলে জরিমানা গুনতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.