আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালবাসার প্রথম কিস্তি.......

No body is perfect I am no body আমার খুব কাছের বন্ধুদের একজন তারেক। খুব বেশীদিন আমরা একসাথে ছিলাম না। মাত্র ক্লাস নাইন আর টেন। তবুও আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের মাঝে সে একজন। হবে না? ওর সাথেই তো প্রথম স্কুল পালিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখা, ওর সাথেই তো প্রথম সন্ধ্যার পর বাইরে বের হবার সাহস, রেল কলোনীর মাঠ ব্যাট হাতে সাসন, মারামরি, স্কুলে যাওয়া আসা, সাইকেল চালিয়ে গোটা সান্তাহার ও আশেপাশের গ্রামগুলি চষে বেড়ানো, স্কুলে বাথরুমে যাবার কথাবলে প্রাচীর টপকে ভিডিও গেমের দোকানে সারাটা দিন পার করে দেওয়া, তাস খেলতে শিখা, আরও কতশত স্মৃতি বলে বা লিখে শেষ করা যাবেনা।

যাই হোক এস এস সি পাশের পর অমি রাজশাহী চলে অসি ও থেকে যায় সানতাহারে। আমাদের স্থানগত পরিবর্তন হলেও চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। একদিন ওর চিঠিতে জানতে পারি তারেককে ওর পাশের বাসার মেয়েটি প্রেমপত্র দিয়েছে। মেয়েটির নাম কামিনি। আমিও তাকে চিনতাম।

মহল্লার সেরা সুন্দরী সে। বিশেষ করে কামিনির চোখদুটোর কথা না বললেই নয়। চোখদুটো ছিল সবুজ, আর অনেক সুন্দর। তারেক খুব লাকি সে অমন একটি মেয়েকে পেল। বললাম দোস্ত চালিয়ে যা।

দোস্ত আমার প্রানপনে প্রেম করতে থাকল আর সকল আপডেট জানাতে থাকল আমার কাছে। ওদের মধ্যে দেখা করার সুযোগ ছিল খুব কম। প্রেম চলত চিঠিতে। ওরা কিছু সাংকেতিক শব্দ তৈরী করে নিয়েছিল নিজেদের সুবিধার জন্য। এর মধ্যে একটি ছিল টাকা (কিস) তারেক একতার ভাই এর দোকানে বসে থাকত, কামিনি কলেজ থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে বলত একতার ভাই কয় টাকা? উল্লেখ্য টাকার অঙ্ক আগেথেকেই একতার ভাইকে বলে রাখা হত।

সন্ধ্যার পর কারেন্ট চলে গেলেই কামিনি জানালায় আসত আর তারেক যেয়ে সুযোগ বুঝে পরিমানমত টাকা (কিস) দিয়ে আসত। কোনদি যদি তারেক দোকানে না থাকত তবে একতার ভাই এর কাছে টাকার পরিমান জানিয়ে দ্রেয়া হত। দেখতে দেখতে ২ বছর পেরিয়ে গেল। ওদের প্রেম বেড়েই চলল। বন্ধু মহলে সবাই জানত ওদের প্রেম কাহিনী।

আমি মাঝে মাঝে ছুটিকে তারেকের বাসায় বেড়াতে যেতাম। সুযোগপেলে দু একটা চিঠির পিওয়নগিরিও করতে হত। এভাবে চলতে চলতে একদিন চোরের সাতদিন আর গেরস্থের একদিন সূত্রমোতাবেক তারেকের চিঠি কামিনির বড় ভাই এর কাছে ধরা পড়ে গেল। সাথে সাথে বড় ভাই ইয়া বড় একটা লাঠি নিয়ে তারেকের বাসার সামনে এসে ওকে মারার জন্য চিল্লাচিলি করতে থাকল। মহল্লার সবাই দেখতে দেখতে জড় হয়ে গেল।

সেদিন ছিলাম আমি তারেকের বাসায়। আমি দেখছি তুই বাসায় থাক বলে আমি বের হলাম। বললাম কি হয়েছে ভাই ?খামাখা চেচাচ্ছেন কেন? ওদের মাঝে প্রেম আছে তাই চিঠি দিছে। এ কথা বলতেই ভাই যেন অগ্নীমুর্তি হয়ে গেল। গালাগালির মাত্রা বেড়ে গেল আর বলল প্রমান কর।

আমি বললাম আপনার বোনকে ডেকে জ্গিাসা করেন। কিন্তু কামিনি এলনা। তারেক আসল আর না থাকতে পেরে। ওর ভাইকে বলল,“ ভাই ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দেন, কামিনির কোন দোষ নেই সব দোস আমার। ও আমাকে পাত্তা দেয় না কিন্ত আমি ওকে পছন্দ করি তাই ডিস্টার্ব করি।

” মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেল টেনে থাপ্পর মারতে ইচ্ছা করছিল তারেককে কিন্ত আমার কাজটি ওর বড় ভাই ই করে দিল। এবার ২য় বার হাত তোলার আগেই আমি বড় ভাই এ হাত ধরে ফেলি তারেক ধরে ফেলে আমার হাত। টেনে নিয়ে বলে কামিনির দোষ আছে জানতে পারলে ওর সমস্যা হবে ভাই তুই চেপে যা। সেদিন সেই চেপে যাওয়াতে তারেক সহ ওর পরিবার কে চরম অপমানিত হতে হয়। এরপর থেকে কামিনির সাথে তারেকের যোগাযোগ কমতে থাকে।

তারেক প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়ে। জীবনে যা কখনো করেনি সেই সিগারেট খাওয়া শুরু করে দেয়। ইগল চোখে সারাদিন কামিনির ছায়া খুজতে শুরু করে। সারাখন চটফট করত তারেক। এর মধ্যে কামিনি একদিন জানিয়ে দেয় যে, যে তার ভাইকে অপমান করেছে তার সাথে সম্পর্ক রাখবে না।

আশ্চার্য ছুড়ী তুই আর আশ্চার্য তোর প্রেম। অপমান তোর ভাই কে করা হল না তারেকের চৌদ্দ গুষ্টিকে করা হল ভেবে দেখতো? তারেক নিজেকে গুটিয়ে নিল। সারাক্ষন ঘরের চার দেওয়ালের মাঝে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলল। শুরু হল ময়না তদন্ত। অবশেষে আসল ঘটনা বের হয়ে আসল।

আবদুল্লাহ নামের এক ছেলের সাথে কামিনির নতুন প্রেম হয়েছে তাই তারেকের সাথে এই পল্টি। তারেককে জানালে সে কিছুতেই মেনে নিলনা ব্যাপারটা। আমাদের সব বন্ধুদের সাথে ওর সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হতে থাকল। একদিন তারেক হতেনাতে প্রমান পাওয়ার পর সে কামিনিকে কে সরাসরি আদুল্লার ব্যাপারে জিগ্গাসা করল। বজ্জাত ছেড়ি কয়কি তারেক বিশ্বাস কর, ওর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, আমার জীবনের এমাত্র চাওয়া তুমি।

যাইহোক গরু তার রাখালের কথা শুনবে এটাই স্বাভাবিক। তারেকের ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম ঘটল না। কিন্ত এর পর থেকে তারেক শত চেষ্টাতেও কামিনির সাথে যোগাযোগ করতে পারতো না। তারেকের জীবনে যোগ হল নতুন সঙ্গী। বাবা মানে গাজা।

এমন সময় সব বন্ধুদের সাথে ওর যোগাযোগ কমতে থাকে, শুরু হয় দুরুত্ব। এদিকে আবদুল্লার সাথে কামিনির প্রেম তখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। শুধু তাই নয় এক এক করে কামেনির সাথে জড়িয়ে পড়তে থাকে অনেকগুলি নাম অনেক গুলি গুজব। আর তারেকের জীবনে জড়াতে থাকে নতুন নতুন নেশাদ্রব্য। আমরা সবাই একদিন আকাশ থেকে পড়ি যখন জানতে পারি আমাদের ই পরিচিত এক বড়ভাইএর সাথে কামিনির ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।

অনেক কষ্টে আমরা কিছু তথ্য প্রমান জোগাড় করলাম আর সেটা তারেকের সাথে শেয়ার করলাম। কিন্ত তারেকের কোন প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। আমাদের কে সে গুনল বলে মনে হলনা। তবে সে কামিনির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা ছেড়ে দিল। দিতেই তো হবে ততদিনে তারেকের সাতে তো হেরোইনের পরিচয় হয়ে গেছে।

সে মাঝে মাঝেই হেরাইন নেয়। জানতাম না জানতে পারলাম বেশ কয়েক মাস পরে। অনেকটা অভিমান করেই বন্ধুরা সবাই নিজেদের তারেকের কাছ থেকে সরে গেল। যখন জানতে পারলাম ওর হোরইনের কথা তখন আর থাকতে পারলাম না। নিয়ে আসলাম ওকে কলেজ মাঠে শুরু হল রিমান্ড।

বললাম এ গুলা কেন খাস? বলল দোস্ত এতে আমি ভাল থাকি ওকে ভূলে থাকেতে পারি। তর্কটা যখন চুড়ান্ত পযায়ে পৌছাল যখন বললাম একটা নষ্ট মেয়ের জন্য নিজের জীবনটা কেন নষ্ট করছিস? এতে মনে হল, বন্ধুত্বটা বুঝি আর টিকল না। বললাম বন্ধু এ মেয়ে চৌদ্দ জনের আথে প্রেম করে বেড়ায় ওর পিছু ছেড়ে দে। ব্যাস হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল যা কখনো হয়নি আমার আর তারেকের মাঝে। তারেককে বললাম আমারে সাথে কোনদিন কথা বলবি না।

সে বলে না কোকে আগে প্রমান করতে হবে কামিনি খারাপ। আমি বললাম এটা আমি প্রমান করে ছাড়ব। বাজি ধরলাম ৩ মাসের মধ্যে কামিনির সাথে প্রেম করে দেখাব। তারেক ও বলল বাপের ব্যাটা হলে করে দেখ। শুরু হল মিশন কামিনি।

তারেক নিজেই ওর নাম্বার দিল। ভালবেসে কামিনিকে সিম দিছিল কারেকের লাষ্টে ৮৬ আর কামিনির ৮৮। দিলাম ফোন, পরিচয় দিলাম এই বলে যে, আমি অনেকদিন আগে সানতাহার ছিলাম, তখন কামিনিকে পছন্দ করতাম। এরপর লেখাপড়া করতে ইংল্যান্ড চলে যাই। অনেক দিন পর ফিরে কামিনির নম্বর ম্যানেজ করে ওকে ফোন দিলাম, কারন আমি আজও ওকে পছন্দ করি।

শুরু হয় আমাদের কথাবার্তা। ও আমার ভাল চাকুরী, পারিবারিক অবস্থান ইত্যাদি বিষয়গুলি শুনে খুব তারাতারিই পটে গেল। খুব অল্পদিনেই আমাদের মোবাইল প্রেম জমে উঠল। আমি কৌশলে কামিনির সব কথা রেকর্ড করে রাখতাম। যাইহোক আমাদের সম্পর্কের চুড়ান্ত পর্যায়ে যখন দেখা হবার কথা ওঠে তখন কামিনিকে আমি আমার আসল পরিচয় দিই।

ভূতের কথা যেন শুনছে এমন অবস্থা যেন হয় কামিনির, কারন আমি আর তারেক যে মানিক জোড় তা ওর থেকে ভাল করে কেউ জানে না। ফোন কেটে দেয় কামিনি। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় ওর সাথে। এরপর তারেককে যানাই সবকিছু, শোনাই সকল রের্কড করা কথা। বলি, “ দেখ দোস্ত যার কথা ভেবে তুই দিনে দিনে নিজেকে নষ্ট করে ফেলছিস সে মানুষটা আসলে কেমন?” আবার গরু তার রাখালের কথা শোনে।

তারেক আমাকে বলে, “ দোস্ত মোবাইলে মানুষ এমনটি করতেই পারে তার মানে এ নয় যে সে খারাপ। “ আমি বলি, “ থাক তুই তোর ভাল মানুষকে নিয়ে আমি আর তোকে কোনদিন কিছু বোঝাতে যাব না। ” কিন্তু তারেক কি আসলে আমাদের কোন কথা বিশ্বাস করত না? নাকি সে আমাদের কাছে স্বীকার করত না? যদি আমাদের কথা বিশ্বাস নাই করবে তবে কেন সে নিজেকে নেশার জগতে ডুবিয়ে দিচ্ছে? কিসের কারনে সে আজ সবার থেকে আলাদা? এই প্রশ্নগুলি আমাকে প্রতিনিয়ত পোড়াত। ওর ধংস আমি মেনে নিতে পারিনি কখন। আবার কামিনি কে ফোন দেওয়া শুরু করলাম।

কামিনি বলে ভাই আপনি আপনার পরিচয় না দিয়ে আমার সাথে খুবই অন্যায় করেছেন । আমি বললাম পরিচয় দিলে কি তুমি আমাকে ভালবাসতে? আমি তো তোমাকে সত্যিই অনেক দিন আগে থেকে ভালবাসি। সে জানায়, আমাকে তো কোনদিন বলেননি। আমি বলি, কি করে তোমাকে বলতাম? আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড্র্র এর প্রেমিকা তুমি। তাই ওর জন্য আমি কোমাকে কখন বলতে পারিনি।

তারেকের সুখের কথা ভেবে আমি আমার ভালবাসা কোরবানী দিছি। ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাস আমাদের প্রেম আবার শুরু হয়ে যায়। কিছুদিনের মধ্যেই আমি সানতাহার যায় তারেককে না জানিয়ে কামিনির সাথে দেখা করতে। কামিনি কে যানাই সানতাহারে সবাই আমাকে চেনে তাই কলেজে আস।

অনেকদিন কলেজ পার হয়ে গেছি ওখানে কেও আমাকে চিনবে না। কামিনি বলে না ওখানে সমস্যা আছে, বাজারে আমার মামাতো বোনের বাসা আছে, আপাদুলাভাই কেই নেই, চাবি আমার কাছে। আমি বোরখা পরে আসব। তুমি বোখখা পরে আসবে না। জোর প্রতিবাদ করি আমি।

কেন বোরখাপরে আসলে মনে হয় খুলে দেখবে না? দুষ্টুমি ভরা উত্তর ওর। আমি মনে মনে বলি আজ আজ তোর কাপড়না কোর মুখোশ খুলব। তারেককে ফোন দিই। জানাই যে আমি ফোন দিলেই তুই রনিদের বাসা আসবি। কামিনি আসল, রুমে ঢুকে কামিনি দরজা বন্ধ করে দেয়।

আমি ততক্ষনে তারেকে ফোন দিয়ে দিয়েছি। আমাদের কথা শুনছে তারেক । ৫ মিনিটের মধ্যেই তারেক রনিদের বাসায়। আমি আর কামিনি হাত ধরে দরজা খুলি। তারেক খুবই অসস্তিকর অবস্থানে পড়ে যায়।

হঠাত কামিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে আমাকে বাচাও তারেক তোমার বন্ধু আমাকে ফাসিয়ে এথানে এনেছ। এবার আমার বিব্রত হবার পালা। কিন্ত এইবার আর গরু রাখালের কথা শোনে না। আমার প্রিয় বন্ধুটি আমাকে বিব্রত হতে দেয়নি। সে শুধু একটি কথায় বলে, “ তোমার যৌবনের চাহিদা আমিও মেটাতে পারতাম।

ভেবে দেখ আমিও অনেক সুযোগ পেয়েছি, শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে সেটার মর্যাদা নষ্ট করিনি। ” আমি আর তারেক চলে আসি। আসার আগে ওর মুখে থুতু দিতে ভুললাম না। এরপর আমরা বন্ধুরা সবাই কলেজ মাঠে এক হই। সবাই অনেক হইচই করি স্কুল জীবনের মত।

অনেক আনন্দ করি সেদিন। খুব ভাল লাগছিল সেই পুরোনো বন্ধুটিকে পেয়ে। সন্ধ্যায় সানতাহার ত্যাগ করার সময় যখন সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম তারেক প্রতিঙ্গা করল যে সে আর নেশা করবে না। চলে যাব ঠিক এমন সময় তারেক আমাকে সাইডে নিয়ে বলল, “ সত্যি করে একটা কথা বলবি? তুই কামিনিকে কিছু করিসনি তো?“ আমি বললাম, “শুধু মাত্র এক টাকা দিছি। তুই তো দোস্ত সময়ই দিলি না।

” হেসে ফেললাম দুজনে। বলল তোদের সবাইকে অনেক ভুল বুঝেছি আজে বাজে কথা বলেছি মাফ করে দিস। সবাই বললাম সামনের ইদে পার্টি দিস ভেবে দেখব। হাসতে হাসতে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। মাস ছয়েক পর... তারেক হঠাত রাজশাহীতে।

ফোন দিতেই ছুটে যায় দেখা করতে। খুবই মন খারাপ ওর। আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাদল। কান্না থামিয়ে বলল দোস্তরে আজ কামিনির বিয়ে দিয়ে আসলাম। নেপথ্যে…. এতকিছুর পর ও তারেক কামিনি কে ভালবাসত।

সে তার বিয়েতে বরযাত্রীদের পানি, ডেকোরেশন থেকে শুরু করে সবকিছু করে একবারে ওকে তুলে দিয়ে এসেছে। জানিনা কামিনি আজ কেমন আছে হয়তো বর নিয়ে ভালই আছে। কিন্তু তারেক ভাল নেই। সে আজ পুরোমাত্রায় হেরোইনসেবী। একদিন না পেলে সে অসুস্থ হয়ে যায়।

মাঝে মাঝে ওর বাবা বাধ্য হয়ে নিজে হেরোইন কিনে দেয়। খুব খারাপ লাগে তারেকের জন্য। ওরে মাগি কামিনি যে তোকে এত ভালবাসল, এতকিছিুর পরও যে কোনদিনও তোকে খারাপ বলেনি, সবসময় তোর কথাই শুধু বলেছে, বলেছে আমার যোগ্যতা নেই তাই কামিনিকে পেলাম না আর তাকে তুই চিনলি না ? ইচ্ছা করে কামিনির সংসার ভেঙ্গে দিই ওর বর এর কাছে কামিনির চরিত্র তুলে ধরি। কিন্তু পারিনা কারন তারেক ওর বিয়ে দিয়েই সরাসরি রাজশাহী এসেছিল আর আমাকে জড়িয়ে ধরে কেদে বলেছিল, “ দোস্ত কোনদিন কামিনির কোন ক্ষতি করিস না। তোর কাছে এটাই আমার শেষ অনুরোধ।

কোনদিন আর তোদেরকে ডিস্টাব করব না। তোদের কাছে কোনদিন কিছুই চাইব না। ” এটাই তারেকের সাথে আমার শেষ কথা। বিঃদ্রঃ আশেপাশের যে ঘটনাগুলি সাধারনত আমাকে প্রভাবিত করে সেগুলি নিয়ে আমি লেখার চেষ্টা করি। লেখায় কোন ভুল থাকলে পাঠকরা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.