মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বড় কিছু’ করার খায়েশ বিভিন্ন জনের কাছে প্রকাশ করেছিলো সদ্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণ নাফিস। এদের মধ্যে একজন ছিল এফবিআই এর টিকটিকি। সে খবরটা এফবিআইকে দিল এবং এফএফবিআই এর এক এজেন্ট নাফিসের সাথে আল-কায়েদার ‘টেররিষ্ট’ হিসেবে ভিড়ে গেল। নাফিসের যে আকাঙ্খাটি হয়তো স্রেফ গলাবাজি হিসেবেই থেকে যেতো, সেটা বাস্তবায়ন করার পথ দেখালো ঐ এফবিআ্ই এজেন্ট। এফবিআই নাফিসকে টেররিষ্ট আক্রমণ করার উৎসাহ দিল, বুদ্ধি পরামর্শ, অর্থ-কড়ি এমনকি আক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরকও দিল। এইভাবে এফবিআইএর দেয়া প্ল্যান অনুযায়ী, এফবিআই এর দেয়া বিস্ফোরক নিয়ে এফবিআই এর সর্বরাহ করা ভ্যানে করে বাংলাদেশী তরুণ নাফিস ‘বড় কিছু’ অর্থাৎ ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ধ্বংস করতে গেল এবং মোবাইলের নম্বর ডায়াল করে( যা এফবিআ্ই মনিটরিং করছিলো) সেই নকল বোমা ফাটানোর চেষ্টারত অবস্থায় এফবিআই এর হাতে ধরা পড়ে মহা টেররিষ্ট বনে গেল! না, এইটা আমার নিজের কষ্ট-কল্পিত কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব না, এই কাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশী তরুণ কাজি মোহাম্মদ রিজওয়ানুল আহসান নাফিসের বিরুদ্ধে এফবিআই এর দাখিল করা অভিযোগ নামা থেকেই নেয়া হয়েছে। এইভাবে উস্কানি-পরিকল্পনা-অর্থ-প্রযুক্তি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সারা দুনিয়াব্যাপি টেররিষ্ট এক্টিভিটিস এর বিরুদ্ধে ক্ষেপে থাকা বিভিন্ন মানুষকে টেররিষ্ট হিসেবে প্রমাণকরা ও সন্ত্রাস বাদ বিরোধী যুদ্ধের মডেলটিকে জায়েজ করার এই ম্যাকানিজমটির একটি অফিসিয়াল নাম আছে- Sting Operation! বাংলাদেশী তরুণ নাফিসকে টেররিষ্ট হিসেবে গ্রেফতার হওয়ার পর নিউ ইয়র্ক টাইমস সঠিক ভাবেই লিখেছে: “The case appears to be the latest to fit a model in which, in the process of flushing out people they believe present a risk of terrorism, federal law enforcement officials have played the role of enabler. Agents and informers have provided suspects with encouragement, guidance, money and even, the subjects of the sting operations are led to believe, the materials needed to carry out an attack. Though these operations have almost always held up in court, they have come under increasing criticism from those who believe that many of the subjects, even some who openly espoused violence, would have been unable to execute such plots without substantial assistance from the government.” ২০০৯ সালে স্টিং অপারেশানের মাধ্যমে চার ব্যাক্তিকে টেররিষ্ট হিসেবে ফাসানোর মামলার সময়, বিচারক বলেছিলেন: “The government made them terrorists.” একজন বাংলাদেশী তরুণকে টেররিষ্ট হিসেবে ফাসিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান/আফগানিস্তানের মতো মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের উপযুক্ত জায়গা প্রমাণ করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জরুরী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।