। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। আপনারা যে পদ্ধতি নিয়ে এত আলোচনা ও সমালোচনায় মেতেছেন সেটা কোনো নিষিদ্ধ কিংবা অবৈধ পদ্ধতি নয়,এটা আমেরিকার কোনো আদালত কতৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়নি। স্টিং অপারেশন নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে কিন্তু আমেরিকার আদালত ব্যাক্তি স্বার্থের চাইতে দেশের স্বার্থকে অধিক গুরত্ব দিয়ে এটাকে বাতিল বা অবৈধ ঘোষনা করেননি। এবং এফ,বি,আই নিজেই বার বার বলছে তারা ফাদ পেতেই নাফিসকে ধরেছে।

মনে করুন কোনো খৃস্টান কিংবা হিন্দু প্রধান দেশের নাগরিক বাংলাদেশের ক্ষতি সাধনের জন্য,বাংলাদেশের গুরত্বপুর্ন কোনো স্থাপনা ধ্বংশ করতে চায়। সেটা যে কোনো ভাবেই আমাদের যে কোনো আইন প্রয়োগকারি সংস্থা আচ করতে পারলো: এবং তাকে ধরার জন্য আইন প্রয়োগকারি সংস্থারই কেউ ছদ্মবেশে সেই সন্ত্রাসীকে সাহায্যের প্রস্তাব দিলো;এবং তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভিবিন্ন পর্যায়ে সহযোগিতা করে চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে তাকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করলো,তখন আপনার অবস্থান কি হবে? আপনি কি তখন বলবেন যে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা তাকে ট্র্যাপ না করে ,তাকে সত্যিকারের ধ্বংস লীলা চালানোর পর গ্রেফতার করা উচিত ছিলো? আমরা সকলেই জানি আগুন খুব বিপদজনক, সেখানে হাত দিলে পুরে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ সেখানে কি আপনি জেনেশুনে হাত বাড়াবেন?মানুষই একমাত্র প্রাণি যাকে আল্লাহ ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা দান করেছেন। এখন কে ভালো কাজ করবে আর কে খারাপ কাজ করবে সেটা একান্তই প্রত্যেকের নিজস্ব ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। নাফিস একজন পুর্ণ বয়স্ক শিক্ষিত ছেলে হোয়ে যদি ভুল করে তাহোলে মাদ্রাসা পড়ুয়ারাতো নিছক শিশু। আমেরিকার সব কিছুই সমর্থন যোগ্য নাও হোতে পারে সবার কাছে।

কিন্তু নাফিসরা সেই আমেরিকাকেই ঘৃণা করছে যে আমেরিকার স্কলারশিপ নিয়ে তারা এখানে পড়তে এসেছে। এটাকে কি আমেরিকানদের উদারতা বললে দোষ হবে?১/২ জন নাফিসকে দেখিয়ে বাংলাদেশ দখল করে নিবে ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর। আসলে নাফিসরা কোনো ধর্মের কিংবা রাস্ট্রের সুনাগরিকতো নয়ই বরং তারা হোচ্ছে দেশ ও জাতির জন্য অমঙ্গল-জনক। তারা হোচ্ছে দেশের কলংক। মির্জাফর,,গো.আজম,নিজামিরা যেমন ঠিক তেমন প্রজাতিই হোচ্ছে এই নাফিসরা।

তারা দেশ ও দেশের মানুষের কাছ থেকে নিবে আর কাজে আসবে বিদেশিদের প্রয়োজনে। আমাদের দেশে যেমন হিন্দু,খৃস্টান সম্প্রদ্বায় সংখ্যালঘু ,আমরাও ঠিক তেমনি খৃস্টান ও হিন্দু কিংবা অন্য ধর্মালম্বিদের দেশে সংখ্যালঘু। এবং নাফিসরা হোচ্ছে আমাদের মত লোকদের জন্য সবচেয়ে বিপদ জনক ও ক্ষতির কারণ। অপরাধ করে নাফিসরা আর খেসারত দিতে হয় অগণিত নিরিহ প্রবাসিদের। তিল তিল করে বিদেশের মাটিতে আমরা যে সুনামটুকু অর্জন করি তা মুহুর্তে ধুলোয় মিশিয়ে দেয় মানুষ রুপি নাফিস কুলাঙ্গাররা।

আরো একটা দুখঃজনক ব্যাপার লক্ষ করলাম নাফিসের ঘটনায়,কিছু কিছু ব্লগার এখানে্ও বিভাজন তৈরি করার চেস্টায় লিপ্ত। দেশের এবং জাতির স্বার্থের চাইতে তাদের কাছে বেশি প্রধান্য পায় দলীয় স্বার্থ। তাদের প্রতি ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার নেই। তাই তাদেরকে থু থু দিয়ে আমি আমার ঘৃণা প্রকাশ করছি। যে প্রবাসিরা দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে তাদের কথা চিন্তা না করে যারা নাফিসদের প্রতি সহানুভুতি জানায় তাদের প্রতি ঘৃণা এবং প্রতিটি প্রবাসির জন্য শুভ কামনা রইলো।

আসুন আমরা সবাই মিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সচেস্ট থাকি সর্বদা। দেশের কিছু নোংরা মানুষের নোংরামি যেনো আমাদেরকে স্পর্শ না করতে পারে সেই কামনা থাকলো। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। ধন্যবাদ ।