আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পক্ষপাতিত্বের "নোবেল পুরষ্কার" নোবেল কিন্তু ‘নোবল’ নয়

▌││ │▌▌▌▌ ││▌||▌▌||▌▌® 19881712066021718891198 পৃথিবীতে অনেক ধরনের পুরস্কার আছে। কিন্তু নোবেলের মতো এত মর্যাদাবান পুরস্কার আর নেই। যে কোনো বড় মানুষের মনে এই পুরস্কার পাওয়ার একটা প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকেই থাকে, তা তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করুন বা না-ই করুন। এর জন্য বছরের পর বছর ধরে প্রচার-প্রোপাগান্ডাও কম হয় না। মিডিয়া তো আছেই।

যার যাকে পছন্দ তাকে তুলে ধরার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকে তাদের, বারবার তাদের নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলে অব্যাহতভাবে। সেসব দেখে-পড়ে সাধারণভাবে কারও সন্দেহ হবে না যে এগুলো আসলে প্রচার-প্রোপাগান্ডা, তা এতটাই ছদ্মবেশী। এসব কারণে নোবেল পুরস্কার নিয়ে আগ্রহের যেমন শেষ নেই, সমালোচনাও তেমনই কম নয়। ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল (১৮০৫-১৮৮৯) এই পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। ডিনামাইট আবিষ্কার তাকে বিপুল বৈভবের মালিক বানায়।

১৮৮৮ সালে তার ভাই লুদভিগ কান ভ্রমণের সময় মারা যান। সে সময় তাত্ক্ষণিকভাবে রটে যায় যে আলফ্রেড নোবেল মারা গেছেন। একটি ফরাসি কাগজে ‘মৃত্যুর বণিকের মৃত্যু’ শিরোনামে লেখা হয়—‘ড. আলফ্রেড নোবেল, যিনি ধনী হয়েছেন আগের চেয়ে আরও দ্রুত বেশি বেশি মানুষ হত্যা করার হাতিয়ার বানিয়ে, তিনি গতকাল মারা গেছেন। ’ এটা পড়ে নোবেল ভীষণ দুঃখ পান, তিনি এই ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে, তার সত্যিকারের মৃত্যুর পর লোকে তাকে এভাবেই মূল্যায়ন করবে। এই ভাবনা থেকে তিনি তার সম্পদ কোনো ভালো কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।

১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি তার সব সম্পদ উইল করে দেন। এই উইল অনুযায়ী প্রথমে ফিজিক্যাল সায়েন্স, রসায়ন ও মেডিকেল সায়েন্স/ফিজিওলজি—এই তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার চালু করা হয়। পরবর্তীকালে সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার চালু করা হয়। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের চিন্তক ছিলেন এরিক লিন্ডবার্গ। ১৯০১ সাল থেকে প্রত্যেক বছর সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।

প্রথম দিকে বহু কাল ধরে বিশেষ একটি বইয়ের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হতো। এখন অবশ্য লেখকের সামগ্রিক অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। ‘আর্থিক সঙ্কট’ ও ‘যোগ্য লোকের অভাবে’ ১৯১৪, ১৯১৮, ১৯৩৫, ১৯৪০, ১৯৪১, ১৯৪২ ও ১৯৪৩ সালে পুরস্কার দেয়া হয়নি। নোবেল পুরস্কার নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক শান্তি পুরস্কার নিয়ে।

এমন সব লোককে এই শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে, যারা অপর দেশ ও জাতির ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া এবং গণহত্যার জন্য কুখ্যাত, যেমন—শিমন পেরেজ, আইজ্যাক রবিন, মেনাহেম বেগিন, হেনরি কিসিঞ্জার প্রমুখ, বা কমপক্ষে ইউরোপ-আমেরিকার রাজনীতি ও কূটনীতির সমর্থক বা ইউরোপ-আমেরিকার শত্রুর শত্রু। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার নিয়েও বিতর্ক কম নয়। প্রথম থেকেই যে বিতর্কের শুরু, সেটা হলো আলফ্রেড নোবেল যে লক্ষ্যে পুরস্কার দিতে বলেছেন, তা মান্য করা হচ্ছে কিনা। অবশ্য এ বিতর্ক এখন আর কেউ করে না। দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, কিসের ভিত্তিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়? এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি নেই।

হেনরিক ইবসেন, লিও টলস্টয়, প্রুস্ত, ফ্রানত্স কাফকা, জেমস জয়েস, নবোকভের মতো কালজয়ী সাহিত্যিকরা এই পুরস্কার পাননি। কেন পাননি, তার কোনো সন্তোষজনক জবাব নোবেল কমিটি দিতে পারেনি। অথচ এমন নোবেল লরিয়েটের সংখ্যা কম নয় যাদের নাম বর্তমান বিশ্ব ভুলেই গেছে। সুতরাং অভিযোগ ওঠা অস্বাভাবিক নয়। সে কারণে এ বিতর্ক এখনও চলছে।

ধারণা করা হয়, ইউরোপ-আমেরিকার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ এক্ষেত্রে প্রায়ই প্রভাবক ভূমিকা রাখে। কারণ, দেখা গেছে নোবেল লরিয়েটদের অধিকাংশই ইউরোপ-আমেরিকার লোক। এর বাইরের যারা নোবেল পেয়েছেন, বেশিরভাগ আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার, তারাও কোনো-না-কোনোভাবে ইউরোপ-আমেরিকা সংশ্লিষ্ট। হয় তারা ইউরোপ-আমেরিকায় অভিবাসী, নাহয় লেখেন ইউরোপ-আমেরিকার কোনো ভাষায়, কিংবা রাজনীতি-কূটনীতি-সংস্কৃতি, বা এমনকি বন্ধুত্বের সূত্রে ইউরোপ-আমেরিকায় অনূদিত, আলোচিত ও পঠিত। নোবেল পুরস্কার বাছাই প্রক্রিয়ায় সাংঘাতিক গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

কিন্তু ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম এর প্রথম পঞ্চাশ বছরের কার্যাবলী প্রকাশ করা হয়। এর থেকে এমন অনেক তথ্য জানা যাচ্ছে, যা নোবেল কমিটির নানা রকম পক্ষপাতিত্ব ও বিদ্বেষ প্রমাণ করে। ‘উচ্চ ও বলিষ্ঠ আদর্শবাদ’-এর দোহাই দিয়ে টলস্টয় ও আন্তন চেকভকে পুরস্কার দেয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে রাশিয়ার প্রতি সুইডেনের ‘বিদ্বেষমূলক মনোভাবই’ এর প্রকৃত কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। চেক লেখক ক্যারেল ক্যাপেককে পুরস্কার দেয়া হয়নি এজন্য যে, তার বই ওয়ার উইথ দি নিউটস -এ (তখন একটি বইয়ের ওপর নোবেল পুরস্কার দেয়া হতো) জার্মান সরকারের বিরুদ্ধে কথা ছিল।

১৯৫০-এর দশকে ফরাসি ঔপন্যাসিক ও বুদ্ধিজীবী আদ্রে মালরোর নাম বারবার বাছাই কমিটিতে উত্থাপিত হয়। কিন্তু তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়নি। এজন্য ‘তার উপন্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন না করা’কে দায়ী করা হয়। যদিও আসল কারণ তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা প্রায়ই ইউরোপীয় শাসকদের অনুসারী থাকত না। ডব্লিউএইচ অডেনকে পুরস্কার দেয়া হয়নি এই অজুহাতে যে তার একটি অনুবাদে ভুল (!) ছিল।

১৯৭৪ সালে গ্রাহাম গ্রিন, ভদ্মাদিমির নবোকভ এবং সল বেলো টপলিস্টে ছিলেন, কিন্তু পুরস্কার দেয়া হয় যৌথভাবে আইভিন্দ জনসন ও হ্যারি মার্টিনসনকে। এরা দু’জন কেবল যে অপরিচিত ছিলেন তাই নয়, ছিলেন নোবেল পুরস্কারের বিচারকও। সল বেলোকে পরে ১৯৭৬ সালে নোবেল দেয়া হলেও বাকি দু’জনের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। তাদের বামঘেঁষা দৃষ্টিভঙ্গিই এর কারণ বলে অনেকে মনে করেন। হোর্হে লুই বোর্হেসের নাম এসেছে বারবার, কিন্তু তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়নি দক্ষিণপন্থী স্বৈরশাসকদের সমর্থন করার অভিযোগে।

অথচ বামপন্থী স্বৈরশাসক স্টালিনের সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও সার্ত্রে এবং নেরুদা পুরস্কৃত হয়েছেন। সার্ত্রে অবশ্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। স্বৈরশাসক ফ্র্যাঙ্কোর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করা সত্ত্বেও ক্যামিলো জোসে সেলাকে পুরস্কৃত করতে বাধেনি নোবেল কর্তৃপক্ষের। ২০০৪ সালে অলফ্রিদে জেলিনেককে পুরস্কার দেয়ার প্রতিবাদে নোবেল পুরস্কার কমিটির সদস্য নুট আনলুন্দ এই বলে পদত্যাগ করেন যে ‘জেলিনেককে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে নোবেল পুরস্কারের মর্যাদার অমেরামতযোগ্য ক্ষতি করা হয়েছে। ’ ২০০৫ সালে হ্যারল্ড পিন্টারের নাম ঘোষণা করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দু’দিন বেশি সময় লাগে।

তখন গুজব ওঠে যে নোবেল পুরস্কারের মাঝে ‘রাজনৈতিক ব্যাপার’ আছে। ২০০৬-এ অরহ্যান পামুক এবং ২০০৭-এ ডোরিস লেসিংয়ের নোবেল বিজয়ের পেছনে তাদের প্রকাশ্য ‘পাশ্চাত্যপ্রীতি’ কাজ করেছে বলে জোর রটনা। ২০১০ সালের নোবেল বিজয়ী ভার্গাস য়োসার যোগ্যতা নিয়ে কেউ কথা বলেননি বটে, কিন্তু তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানও এর পেছনে কাজ করেছে কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তিনি প্রথম জীবনে কমিউনিস্ট ছিলেন। কিন্তু পরে উদারনৈতিক গণতন্ত্রী এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির সোচ্চার প্রবক্তা বনে গিয়েছিলেন।

আর তা এতটাই যে, তিনি এমনকি ১৯৯০ সালে এই নীতি প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে নামেন। অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন। তখন থেকে তিনি সক্রিয় রাজনীতি ছেড়েছেন। আমেরিকা ও সাম্রাজ্যবাদের চিরশত্রু কিউবার অবিসংবাদী নেতা ফিডেল ক্যাস্ট্রো এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের কঠোর সমালোচক তিনি। তখন তিনি আমেরিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

প্রশ্নটা উঠেছে এসব কারণেই। এতদিন অভিযোগ করা হচ্ছিল, নোবেল কমিটি কিছুটা বামঘেঁষা হয়ে উঠেছে। বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে নিষ্ক্রিয় বা বামপন্থার প্রতি কিছুটা বিরক্ত—এ রকম লেখকদের গত কয়েক বছর থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছিল। সে অভিযোগ হয়তো বা ভার্গাস য়োসার ক্ষেত্রেও তোলা যায়, যদিও বাম রাজনীতিকে তিনি কেবল প্রত্যাখ্যানই করেননি, তার বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থানও নিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে জাপানি লেখক কেনজাবুরো ওয়ে, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জে. এম. কোয়েটজি এবং এবছর (২০১২) চীনা নাগরিক মো ইয়ান বাদে ইউরোপিয়ানরাই গত ১৬ বছর ধরে একাদিক্রমে নোবেল পুরস্কার পেয়ে আসছেন।

সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে অতীতেও ইউরোপিয়ানদেরই প্রাধান্য ছিল। হিসাব নিয়ে দেখা যাচ্ছে, ১৯০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে ইউরোপিয়ানরা এ পুরস্কার পেয়েছে ৭৯ বার, আমেরিকানরা ১০ বার, লাতিন আমেরিকানরা ৬ বার, আফ্রিকানরা ৪ বার, এশিয়ানরা ৪ বার এবং অস্ট্রেলিয়ানরা ১ বার। ২০১১ সালে নোবেল ঘোষণার কিছু আগে, সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব হোরেস এংদাল পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ‘... সব ভাষাতেই ভালো ভালো সাহিত্য রচিত হচ্ছে, কিন্তু ইউরোপই এখনও সাহিত্যের রাজধানী...। ’ বলা বাহুল্য, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার যারা নোবেল পেয়েছেন তারাও হয় ইউরোপ-আমেরিকার অভিবাসী, নয়তো ‘পাশ্চাত্যপ্রীতি’র ডোরে তার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা। সবশেষে এ বছর যে চীনের মো ইয়ানকে পুরস্কার দেয়া হলো, তা-ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি।

তার সাহিত্যকৃতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক ব্যাপার তো আছেই। এর আগে ২০০০ সালে চীনা বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক গাও জিংজিয়ানকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত। মো ইয়ানকে বোঝা মুশকিল। কারণ তিনি চীনা সরকারের দূরের মানুষ নন, সরকার লালিত লেখক সংঘের সহ-সভাপতি।

আবার কমিউনিস্ট শাসনের নানান ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা বলতেও পিছপা হননি। তার কয়েকটি বই চীনে নিষিদ্ধ, আবার সরকার কর্তৃক সংবর্ধিতও তিনি। তাকে নোবেল দেয়ার পেছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে জানা যাবে অচিরেই, সে কথা বিশ্বাস করা যায়। নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস সে বিশ্বাস জন্মায়।

আর এক্ষেত্রে স্মরণ করা যেতে পারে বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ আরনল্ড টয়েনবির (১৮৫২-১৮৮৩) সেই বিখ্যাত পর্যবেক্ষণ—যখন রাজনৈতিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বন্ধ্যত্ব দেখা দেয় তখন যোদ্ধারা স্বাপ্নিক বনে যায়। ইউরোপীয় (এবং মার্কিন) সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফল। ইউরোপ-আমেরিকা এই ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ থেকে কখনও সরে যাওয়ার চিন্তাও করেনি। নোবেল পুরস্কারও তার বাইরে নয়। না জি ব ও য়া দু দ Click This Link  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।