আলো আমার আলো ওগো আলো ভূবন ভরা আলো নয়ন ধোওয়া আমার আলো হৃদয় হরা। হিন্দু ও বৌদ্ধযুগে বাংলার আলাদা আলাদা অঞ্চলের আলাদা আলাদা নাম ছিল। পশ্চিম বাংলা রাঢ় এবং উত্তর বাংলা বরেন্দ্র, লক্ষণাবতী, এবং পুন্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল। উত্তর ও পশ্চিম বাংলার কিছু অংশ গৌড় নামে সুপরিচিত ছিল। পূর্ব ও দক্ষিন পূর্ব বাংলা বঙ্গ, সমতট ও বাংলা নামে পরিচিত ছিল।
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থে যে ষোলটি জনপদের উল্লেখ আছে তাদের মাঝে বঙ্গ জনপদের নাম পাওয়া যায়। মূলত মুসলমান শাসনামলে বাংলা ভাষাভাষী ভূভাগ বাংলা নামে পরিচিতি পায়। মুসলমান শাসনের প্রথম দিকে বঙ্গ ও বাঙ্গালা (বাংলা) বলতে দক্ষিন-পূর্ব বাংলাকে বুঝাত। সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ লক্ষণাবতী, রাঢ় ও বাঙ্গালা এদের রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে নিজে শাহ্-ই-বাঙ্গালা ও সুলতান-ই-বাঙ্গালা উপাধি ধারণ করেন। এই সময় থেকেই সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী ভূভাগ বাঙ্গালা নামে পরিচিতি পায়।
এর আগে শুধু বাঙ্গালার (পূর্ব বাংলার) অধিবাসীদের বাঙ্গাল বা বাঙ্গালী বলা হত। ইলিয়াস শাহের সময় থেকেই রাঢ় ও লক্ষণাবতীর লোকেরাও বাঙ্গালী নামে অভিহিত হয়। বৃটিশ শাসনকালে বাংলা ভাষাভাষী প্রদেশটিকে বেঙ্গল নামে ডাকা হত এবং বাংলা ভাষায় একে বাংলাদেশ এবং বাংলা এই দুটো নামেই ডাকা হত। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় বাংলাদেশ পূর্ব বাংলা ও পশিম বাংলা নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত হয়। পূর্ব বাংলা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং পশ্চিম বাংলা ভারত রাষ্ট্রে যোগ দেয়।
পরে পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে এবং এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশটির নামই হয় বাংলাদেশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।