আলোকিত মানুষ চাই টিভিতে কিছু দেখার মতো খুঁজে না পেয়ে একুশে ইটিভি ছেড়ে রাখলাম। রান্নার একটা প্রোগ্রাম হচ্ছিলো, নাম ভুলে গেছি। ক্যুজিন নেভিগেটর না কী যেন!
মাঝখান থেকে দেখছি, প্রথমে বুঝলাম না কিসের বড়া ভাজে। তাই রাঁধুনির আশপাশ তাকালাম।
উপস্থাপিকার কথায় কথায় জানলাম ওটা বগুড়ার কোন একটা গ্রাম আর বড়াটা পুঁইশাকের।
এরপর একে একে তৈরি হল কলার মোচা ভাজা ও কচুর বড়া। উপস্থাপিকা দাবী করলেন এগুলো বগুড়ার ইউনিক রান্না (আমি জানি না সত্যিই ইউনিক কিনা) ও তিনি কখনই এভাবে খাননি এবং তিনি জানতেনও না যে এভাবে কোন রেসিপি হয়। ওয়াও!! সব উনার একার, একাই সাবড়ে দিবেন। প্রচণ্ড উচ্ছাস!
রান্না হচ্ছে ঘরোয়া পরিবেশে। মাটির চুলা, যেভাবে গর্ত করে মাটিতে বা উঠানে লেপা চুলার জায়গা থাকে তেমন।
রাঁধুনি খুব সাধারণ, হরিণ রঙা শাড়ি পরা, তেলা মাথা, হাতে একজোড়া বালা (সাদা রঙ, বুঝিনি কিসের), নিত্যদিনের বাঙ্গালী নারী। চারপাশে ঘটিবাটি ছড়ানো, তেল-মসলা... তার মাঝে উনি ও আরেকজন বলছেন রান্নার উপায়।
ছাদ ছাড়া রান্নাঘরটি দুইপাশে ইটের দেয়াল দিয়ে ঘেরা, সামনে উঠান। আরেকপাশে প্লাস্টার করা দেয়াল আর টিনের দরজা, সম্ভবত কলের পাড়।
উপস্থাপিকা বসেছেন প্লাস্টার করা দেয়ালের দিকে।
ফিটিং জিন্স, উপরে ইকটু ঢিলেঢালা নীল-কমলা টপস, হাতে ম্যাচিং নীল ব্রেসলেট, আঙ্গুলে ম্যাচিং এতোবড় অর্ধগোলাকার নীল আংটি। চুলে কালার করা, এলোমেলো স্টাইলে ছড়ানো।
হ্যাঁ, ভালোই লাগছিলো তাকে, শুধু ঐ রাঁধুনির পাশে বেমানান।
একটা রেসিপিও শিখতে পারলাম না। ঘুরেফিরে শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিলঃ বাংলাদেশে শ্রেণীবৈষম্য প্রকট হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।