ফরিদা বেগম তার ৬ বছরের নাতিকে নিয়ে সকাল থেকেই সেখানে। ফরিদার একটাই পোলা আর পোলার বউ কাজ করে এখানে। পিচ্চি পোলা হাত দিয়া দেখাই এই বিল্ডিং এ কাজ করে ওর বাবা মা। বিল্ডিং ভাঙা গেছে। ওর বাবা মা কই জানে না।
দাদির হাত ধরে তাকাইয়া আছে। ফরিদার বয়স ৭০ আনুমানিক। সব চুল পাকা চোখ দুটা লাল টকটকা। মনে হয় অনেক কানছে। এখন চোখে পানি নেই শুধু তাকাইয়া আছে।
একটু পরপর আবার চিত্কার দিয়া ওঠে। ভিতরে যেতে পারছে না। কাউকে বের করলে দৌড়ে যায়। কিন্তু পোলারে পায় না। বেলা ৫টা।
ফরিদা আশা ছাড়েনাই। ভেবেছিল পোলা আর পোলার বউরে খুজে পাবে। কিন্তু পায় না। সূর্য ডুবে যাচ্ছে। সেই সাথে ফরিদার আশাও ডুবে যাচ্ছে।
যতক্ষন আলো ছিল ফরিদা ভাবছিল খুজে পাবে কিন্তু তা আর হলো না।
রাত ৯ টা। ফরিদা স্হানীয় এক স্কুলের মাঠে। লাশ গুলো এখানে এনে রাখা হচ্ছে। না এখানেও পেলো না।
ফরিদার বুকের ভিতরটা কেমন জানি করে উঠলো। তাহলে কোথাই তার পোলা আর পোলার বউ। হয়তো কাল আলো ফুটবে হয়তো আবার ফরিদার আশা জাগবে। সেই রাস্তায় আবার যাবে স্বজনের খোঁজে হয়তো আলো গড়িয়ে আবার রাত ও চলে আসতে পারে কিন্তু ফরিদা কি পাবে তার প্রিয় মানুষ দুটি কে ? নাকি ফরিদার পোলা আর পোলার বউয়ের লাশ সরিয়ে ফেলা হয়ছে তার অগচরেই ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।