আমি যা আছি তাই ভালো। :)
প্রতিদিন ই রাত ১২টায় একবার করে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়। তখন বুয়েটের ছেলেদের হল থেকে অনেক চিতকার শোনা যায়। গতকাল রাতে ঠিক ১২টার একটু আগেই অনেক নয়েজ আস্তেছিল। ভাবলাম,র্যাগের প্রোগ্রাম চলতেছে,ভাইয়ারা হয়ত মজা করতেছেন।
ফ্রেন্ডের রুমে গেলাম গল্প করতে। তার কিছুক্ষন পরেই সিভিল’০৯ এর এক ছোট আপু এসে বলল, র্যাগ ব্যাচের একজন নাকি শক খেয়ে মারা গেছেন ,সৌরভ নাম। খবরটা শুনে প্রথমে বিশ্বাস ই হচ্ছিল না,সত্যি,সত্যিই কি আরো একজন বুয়েটিয়ান কে আমরা হারালাম?বার বার শুন্তেছিলাম সিউর হওয়ার জন্য ,এফবিতে তখনও কোন আপডেট নাই,একজন শুধু লিখেছে ভাইয়াকে ডিএমসিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দাড়ালাম। দেখলাম অনেকএই বের হয়েছে,০৭এর আপুরা ডিএমসিতে যাচ্ছেন। অনেকেই কাদছে,সবার চেহারায় অবিশ্বাষ্য শোকের ছাপ।
এত কান্না পাচ্ছিলো, বুয়েটে তাও আবার নিজের হলে? আমি নিজেও তো রুমে মাল্টিপ্লাগে কত বার শক খাই/.
সিভিল ডিপার্ট্মেন্টের জন্য আরো বেশি খারাপ লাগতেছিল,কিছুদিন আগেই ’১১ ব্যাচের একজন মেয়ে মারা গেল,এখন আবার সৌরভ ভাইয়া। তার আগে ’০৯ ইইই এর একজনার দূর্ঘটনায় পা হারাল। প্রতি বছর র্যাগ ব্যাচ থেকে আমরা একজনকে না একজনকে হারাই। অথচ আমাদের বাবা-মা রা আমাদের কত আশা নিয়ে এখানে পাঠান। ভাইয়াতো আর কয়েকদিন পরেই বের হতেন,হয়ত ভালো কোন জব করে বাবা-মা’র মুখ উজ্জ্বল করতেন।
অথচ এখন। …
আমি বুঝিনা কেন এই দুর্ঘটনা গুলা আমাদের মাঝেই বারবার আসে?কেন বার বার হারাতে হয় প্রিয় কোন মুখ?ঘটনা গুলো আসলে মেনে নেয়াই যায় না। ভাইয়ার বাবা-মা;র কাছে আমরা কিভাবে মুখ দেখাবো?সবচেয়ে বড় কষ্ট তো ভাইয়ার ফ্রেন্ডদের,যারা তখনো তার পাশে ছিলেন ,বুঝতেই পারেননি তাদের একজন প্রানের বন্ধুর কি হতে যাচ্ছে।
জানিনা,লুন্ধক’০৭ আর র্যাগের প্রোগ্রাম করতে পারবে কিনা…………।
আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা উনার আত্তা যেন শান্তিতে থাকেন,যিনি এ পর্যন্ত ১২বার রক্ত দিয়েছেন,তিনি নিশ্চয়ই কষ্টে থাকবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।