প্রযুক্তি বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে প্রতিদিন। ২০৫০ সালে অনেক কিছুই বদলে যাবে। গৃহশিক্ষকতার ক্ষেত্রেও আসবে পরিবর্তন। স্যারকে ছাত্রের বাসায় কষ্ট করে আসতে হবে না। স্যার নিজের বাসায় বসেই শুধু বাটন চেপে চেপে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আসুন দেখি, কেমন হবে তাঁর ছাত্রের সেই সময়ের যন্ত্রে ঠাসা টেবিল এবং তার আশপাশ।
সাহারা লক
বাংলাদেশে তৈরি এই লক খুব শক্তিশালী। হাতে করা এই লকের কারণে কোনোভাবেই ছাত্র টেবিল থেকে উঠতে পারবে না। স্যার বাটন টেপামাত্রই এটি কাজ করবে। পড়া শেষে স্যারের রিলিজ ক্লিক পেলেই তা খুলবে।
তবে স্যার চাইলে পড়ার মাঝখানেও মাঝেমধ্যে রিলিজ দিতে পারেন।
ই-বুক অ্যান্ড ই-বুক হোল্ডার
এই ই-বুকে পড়া ভাসবে এবং ই-বুক হোল্ডার ই-বুক ধরে রাখবে।
জি-পেন
জি-পেন দিয়ে সে লিখবে এবং তা ইনস্ট্যান্ট নিজের স্ক্রিন ও স্যারের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
এই ক্যামেরা স্যারের স্ক্রিনে গোপন ছবি পাঠাবে এবং ছাত্রের পড়ার সময়ের আশপাশের চিত্র জানাবে।
হেডফোন
স্যারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা ও শোনার জন্য।
থ্রিডি গ্লাস
এই গ্লাস দিয়ে সে প্রত্যক্ষ করবে স্যারকে। স্যারের অগ্নিমূর্তি সহজেই অনুমেয় হবে। স্যারের অল্প চোখ-রাঙানি একটু বেশি ফুটিয়ে তুলবে। ফলে তাকে পড়ানো সহজ হবে।
খাঁটি কেরাত বেত
এটা চীনে নির্মিত কেরাত বেত।
বৈদ্যুতিক মোটর থাকবে তাতে। এটা স্যারের বাটন চাপার সঙ্গে সঙ্গে কাজ করবে। মোটরের সাহায্যে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ঘুরতে সক্ষম।
ওয়েব ক্যাম
এর মাধ্যমে স্যার ছাত্রকে তাঁর স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।
টিস্যু পেপার
এই ডিভাইসে রাখা টিস্যু স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রের নাক মুছে দিতে সক্ষম।
কান্না কিংবা সর্দি হলে যেন তার সমস্যা না হয়।
রোবটিক হাত
এ হাত স্যারের হাতের কাজ করবে। ছাত্র মাঝেমধ্যে কথা না শুনলে বা পড়া না শিখলে স্যার চুল ধরে টানতে কিংবা কানমলা দিতে এই হাত কাজ করবে।
রোবটিক মাদার
এই রোবটিক মাদার অনেকটা মায়ের কাজ করবে। ছাত্রের পড়ার সময় দুধ সরবরাহ করবে।
পড়ার সময় আপডেট জানানোর জন্য স্যারকে কখনো কখনো ছাত্রের মাকে ডাকতে হয়। রোবটিক মাদারে একটা ডিভাইস আছে, যার নাম মাদার কলিং ডিভাইস। স্যারের কমান্ড পেলেই এই ডিভাইস মাকে ডাকা শুরু করবে যান্ত্রিক স্বরে।
টেম্পারেচার মিটার
স্যারের টেম্পারেচার পরিমাপ করবে এই মিটার। এটি অ্যাকটিভ থাকলে স্যারকে কষ্ট করে বাটন চাপতে হবে না।
মিটারে ওঠা মেজাজের মাত্রাই ঠিক করে দেবে বেতের বাড়ি, নাকি চুলটান দরকার।
ব্রেইন মডারেটর
এত সব যন্ত্র এবং এর কাজ ব্রেইনকে ক্লান্ত করে দিতে পারে; করতে পারে অকেজো। তাই এই ব্রেইন মডারেটর সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে তাকে রাখবে স্বাভাবিক ও অ্যাকটিভ।
ভিজ্যুয়াল প্রতিমূর্তি
ছাত্র কখনো কখনো ভাবতে পারে যে স্যার তো নেই, তা হলে ভয় পাওয়ার কী আছে। এই যান্ত্রিক প্রতিমূর্তি স্যারের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
স্যারের আচরন এই মূর্তি দৃশ্যমান করবে। যেমন—খাঁটি কেরাত বেত কাজ করার সময় এটা অটোমেটিক বেত দিয়ে পেটাচ্ছে—এমন দেখাবে। আর এসব হবে একটা ভিজ্যুয়ালাইজারের মাধ্যমে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।