আমি পেশায় একজন স্পীচ থেরাপিষ্ট কিন্তু ব্লগ পড়া আমার নেশা। আর একটা নেশা আছে সেটা হল মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস প্রতিটা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া। আমি সে চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন ভালো লেখক নই কিন্তু আমি একজন ভালো পাঠক। পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনকেন্দ্রের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা ভেলোরি অ্যান টেলোরকে এক লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার দিয়েছে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট।
মানবতার সেবায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন। খবর ইউএনবির।
রোটারির ‘দ্য ওয়ান প্রোজেক্ট’ এই পুরস্কার ঘোষণা করে। বাংলাদেশের রোটারিয়ান ও রোটারি ক্লাব উত্তরার সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার শহীদুল হাসান এই পুরস্কারের জন্য ভেলোরিকে মনোনীত করেন। এক বিবৃতিতে হাসান বলেন, রোটারিয়ানরা ভোলোরিকে এই সম্মান দেওয়ায় তিনি খুবই আনন্দিত।
রোটারির দ্য ওয়ান অ্যাওয়ার্ড কমিটির বাংলাদেশের প্রতিনিধি হাসান আরও বলেন, ভেলোরির এই পুরস্কার বাংলাদেশের জন্য গর্বের। এই পুরস্কার আর্তমানবতার সেবায় মানুষকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
পুরস্কার কমিটি জানায়, ভেলোরির কাজ বাংলাদেশের পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের জীবনকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য ভেলোরির অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরস্কারের স্পনসর ছিলেন রিচার্ড এলমেন।
ভেলোরি অ্যান টেলোর একজন ব্রিটিশ ফিজিওথেরাপিস্ট। ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান। ৪৩ বছর ধরে দরিদ্র ও অক্ষম মানুষের জন্য তিনি কাজ করছেন। ১৯৭৯ সালে ভেলোরি সিআরপি প্রতিষ্ঠা ক|সিস্টারের সাথে তোলা আমার একটা ছবি ] রেন। সেখানে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সেবা নেন।
সিআরপি রোগীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও তাদের দুর্ঘটনার হার কীভাবে কমানো যায় সে ব্যাপারেও প্রশিক্ষণ দেয়।
শারীরিক অক্ষমতার জন্য বিতাড়িত দুই শিশুর আইনি অভিভাবক ভেলোরি। তাঁকে বাংলাদেশের মাদার তেরেসাও বলা হয়। ভেলোরির ভাষ্য, তিনি খুবই সাধারণ। তবে এত বেশি মানুষকে সেবা দেওয়ার কথা আগে কখনো ভাবেননি বলে জানান তিনি।
সূত্র- দৈনিক প্রথম আলো
[link|https://www.facebook.com/photo.php?fbid=164286073739903&set=t.100000873464289&type=3&permPage=1
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।