‘দেহরক্ষী’ ছবির মুক্তির আগে যতটা না উচ্ছ্বসিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী আনিসুর রহমান মিলন, ঠিক ততটাই হতাশ জাকির হোসেন রাজুর ‘পোড়ামন’ মুক্তির আগে।
মুক্তির অনেক আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ইফতেখার চৌধুরীর ‘দেহরক্ষী’ ছবির প্রচারণায় মুখর হতে দেখা গেছে মিলনকে। কিন্তু ‘পোড়ামন’ মুক্তির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ছবিটি নিয়ে মিলনকে তেমন কিছুই বলতে শোনা যাচ্ছে না।
‘পোড়ামন’ ছবিটি নিয়ে অভিনয়জীবনে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন বলে জানান টেলিভিশন থেকে সদ্য চলচ্চিত্রে নাম লেখানো আনিসুর রহমান মিলন। ‘পোড়ামন’ ছবির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মিলন জানান, ‘পোড়ামন’ ছবির শুটিং থেকে শুরু করে মুক্তির আগমুহূর্ত পর্যন্ত সব ধরনের কাজে তিনি যেন উপেক্ষিত। এমনটা কেন হলো কোনোভাবেই বুঝতে পারছেন না তিনি।
জানা গেছে, ‘পোড়ামন’ ছবিতে মিলন অভিনয় করেছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে। এটি ছবির প্রধান তিন চরিত্রের একটি। অন্য দুটি প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীরা হলেন নবাগত মাহী ও সায়মন।
ছবিতে প্রধান তিন চরিত্রের মধ্যে দর্শকদের কাছে একমাত্র পরিচিত মুখ মিলন। অথচ তাঁকেই ছবির পোস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রচারণায় ‘গুরুত্বহীন’ করে রাখা হয়েছে। আর এ কারণে স্বাভাবিকভাবে ‘পোড়ামন’ ছবিটি নিয়ে হতাশ মিলন।
এ প্রসঙ্গে মিলন বলেন, ‘ছবির পুরো গল্প গড়ে উঠেছে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। অথচ শুটিং শুরুর কয়েক দিন পর থেকেই আমি কেন জানি কম গুরুত্ব পেয়েছি।
শুরুর দিকে বিষয়টি বুঝতে পারার পরও আমি ছবিটি শেষ করতে চেয়েছি। কারণ, ছবিটির প্রযোজক ও পরিচালক দুজনই আমার খুব পছন্দের মানুষ। ধারণা ছিল, পরে হয়তো এসব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে পোস্টারে ও অন্যান্য প্রচারণায় পর্যন্ত আমাকে গুরুত্বহীন করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ, যা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। ’
মাস দেড়েক আগে মুক্তি পাওয়া ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘দেহরক্ষী’ ছবিতে মিলনের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
সেই সুবাদে মিলন নতুনভাবে আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। মিলন বলেন, ‘প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছি ‘দেহরক্ষী’ ছবিটি নিয়ে। শুনেছি, বলাকা কর্তৃপক্ষ ছবিটি তাদের প্রেক্ষাগৃহে আবার প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে। ছবিটি যদি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হতো, তাহলে তো তারা পুনরায় প্রদর্শনের ব্যাপারে আগ্রহী হতো না। তাই নয় কি?’
মিলন জানান, ‘দেহরক্ষী’ ছবির মুক্তির পর তাঁর সঙ্গে আরও চারটি নতুন ছবি নিয়ে নির্মাতাদের কথা হয়েছে।
তাঁরা হলেন মুশফিকুর রহমান গুলজার, চন্দন চৌধুরী, ইফতেখার চৌধুরী ও শাহীন কবীর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।