আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতদন্ত কমিশন ও মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে মুখোশ উন্মোচন করা হবে

ভালো মানুষ হবার জন্য ভালো ছাত্র হতে চাই..সেটার জন্যই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র... স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ১০ তারিখের আল্টিমেটামের পরও যদি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা না হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজরে পক্ষ থেকে গণতদন্ত কমিটি করে ও মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে বলে ঘোষণা দেন বিএফইউজ একাংশ'র সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রসে ক্লাবের কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিমিয় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সাগর-রুনির বিচার না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক সমাজ ঘরে ফিরে যাবে না। ১০ অক্টোবর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের কথা বললে চলবে না, হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করারও দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে তিনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করবনে।

আমরা চাই তার এই আশ্বাসের বাস্তাবায়ন করা হোক। ইকবাল সোবহান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ১০ অক্টোবর মধ্যে সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হলে ১৫ অক্টোবর প্রেস ক্লাবরে সামনে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে সাগর-রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে আরো বৃত্তহর র্কমসূচি ঘোষণা করা হবে। আর সেই র্কমসূচির কারণে সরকাররে গদি নড়চড়ে উঠলে সাংবাদিক সমাজের কোনো কিছুই করার থাকবে না। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সরকারকে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো জজ মিয়া নাটক না সাজিয়ে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের প্রয়াস চালান। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা শুধু মাত্র সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে তারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যোগ দেয়নি।

সকল সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচারের জন্য সকল সাংবাদিক আজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। ইকবাল সোবহান বলেন, সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল হল সারা দেশের মানুষ আস্থার সাথে ধর্য্য ধরে আছেন এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশায়। আর বিশেষ করে সংবাদিকরা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি সাহসী হয়ে ওঠেছে। মুক্ত গণমাধ্যম সম্পর্কে তিনি বলেন, গণত্রন্ত্রকে সুরক্ষা করতে হলে মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম করতে হবে। কারণ একটি আরেকটির জন্য অপরিহার্য।

ইকবাল সোবহান হুঁশিয়ারী করে বলনে, যারা বিভিন্ন টেলিভিশন টকশো'তে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড বিচার দাবিতে সাংবাদিক সমাজকে চলমান আন্দোলন নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয় তাদরেকে আমরা সাংবাদিক সমাজ থেকে অবাঞ্চিত ও সকল সাংবাদিক সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হবে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, হলর্মাকের মূল নায়ক তানভীরকে যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে পারে, তাহলে কেন সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারবে না। মতবনিমিয় সভায় উপস্থিত ছিলেন , বিএফইউজে'র সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও রুহুল আমীন গাজী, বিএফইউজে'র মহাসচিব শওকত মাহমুদ ও আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি আবদুস শহিদ ও ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ। সূত্রঃ View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।